যে খাবারগুলো আপনার ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে
সুন্দরী হয়ে উঠতে কে না চায় বলুন! তাই না গত এক দশকে দেশি-বিদেশি কসমেটিক্সের রমরমা এত বেড়েছে। একথা ঠিক যে কসমেটিক্স ব্যবহার করে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা সম্ভব, কিন্তু আপনাদের কি জানা আছে ত্বককে সুন্দর করে তুলতে শুধু দামি প্রসাধনী দ্রব্যের ব্যবহার করলেই চলে না। সেই সঙ্গে কী ধরনের খাবার খাচ্ছেন, তার উপরও নজর দিতে হয়। কারণ আমাদের ডায়েটের সঙ্গে স্কিনের ভাল-মন্দের সরাসরি যোগ রয়েছে। এই কারণেই তো এই প্রবন্ধ এমন কিছু খাবার সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা বেশি মাত্রায় খেলে ত্বকের সৌন্দর্য একেবারে কমে যায়।
কেন এই খাবারগুলি বেশি খেলে কী হতে পারে? গবেষণা বলছে এই প্রবন্ধে আলোচিত খাবারগুলি যদি কেউ বেশি মাত্রায় খাওয়া শুরু করেন, তাহলে ধীরে ধীরে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হতে শুরু করে, সেই সঙ্গে কোলাজেনের উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে ত্বকের সৌন্দর্যও কমে যায় চোখে পরার মতো। এই কারণেই তো রোজের ডায়েট থেকে এই খাবারগুলিকে বাদ রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডার্মালজিস্টরা। যে যে খাবারগুলো ত্বকের “দুশমন” বলে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা, সেগুলি হল…
১. নুন:
একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে শরীরে নুনের মাত্রা বাড়তে থাকলে ওয়াটার রিটেনশন রেটও বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের উপর খারাপ প্রভাব পরে। তাই তো আচার থেকে শুরু করে সল্টি চিপস, যে ধরনের খাবারে নুনের পরিমাণ বেশি থাকে, তা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। অনেক রাত করে খাবার খেলেও শরীরে নুনের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। তাই ত্বককে সুন্দর এবং প্রাণচ্ছ্বল রাখতে এই উপদেশগুলি মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন।
২. চর্বিজাতীয় খাবার:
রোজের ডায়েটে এই ধরনের খাবারের পরিমাণ বেড়ে গেলে ত্বকের সৌন্দর্য কমতে একেবারেই সময় লাগে না। কারণ চর্বি মানেই তাতে থাকে প্রচুর মাত্রায় অ্যাক্সিডাইজ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ধীরে ধীরে শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল এবং ফ্যাটি অ্যাসিডদের নষ্ট করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের ভেতরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেওয়ার কারণে সৌন্দর্য কমতে শুরু করে। ভাজা জাতীয় খাবার বেশি মাত্রায় খেলেও সমান ক্ষতি হয়। তাই ত্বককে যদি বহুদিন সুন্দর রাখতে চান, তাহলে ভুলেও বেশি মাত্রায় চর্বি এবং ভাজা জাতীয় খাবার খাবেন না যেন!
৩. কফি:
এনার্জি বর্ধক এই পনীয়টি নানাভাবে শরীরের উপকারে লাগে ঠিকই, কিন্তু একথা ভুলে গেলে চলবে না কফির ভেতরে থাকা ক্যাফিনের মাত্রা শরীরে বাড়তে শুরু করলে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হয়। কারণ এই উপাদানটির কারণে ত্বকের ভেতরে জলের ঘাটতি দেয়। ফলে সময়ের আগেই বলিরেখা প্রকাশ পেতে শুরু করে। আর এমনটা হলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের বয়স বেড়ে যাওয়ার কারণে সৌন্দর্য যায় কমে। আরেকভাবেও কফি, ত্বকের ক্ষতি করে থাকে। কীভাবে? বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে শরীরে ক্যাফিনের মাত্রা বাড়তে শুরু করলে কর্টিজল নামক স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণও বেড়ে যায়। এর প্রভাবেও স্কিন খারাপ হতে শুরু করে।
৪. অ্যালকোহল:
খেয়াল করে দেখবেন যেদিন বেশি মাত্রায় মদ্যপান করেন, তার পরের দিন তৃষ্ণা বেড়ে যায়। শরীরের যদি এমন অবস্থা হয়, তাহলে ত্বক কতটাই না শুকিয়ে যায় বলুন! আসলে অ্যালকোহল শরীর এবং ত্বককে ভিতর থেকে শুষ্ক করে তোলে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দেহের পাশাপাশি স্কিনেরও মারাত্মক ক্ষতি হয়। এই কারণেই তো ত্বককে সুন্দর রাখতে বেশি মাত্রায় অ্যালকোহল পান করতে মানা করেন বিশেষজ্ঞরা।
৫. পিৎজা, পাঁউরুটি এবং পাস্তা : বেশ কিছু কেস স্টাডি করে দেখা গেছে এই ধরনের খাবার বেশি মাত্রায় খেলে সুগার লেভেল মারাত্মক ওঠা-নামা করতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের ভেতরে এমন নেতিবাচক পরিবর্তন হয় যে তার প্রভাবে ব্রণর মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।
যে খাবারগুলো