মানুষের যৌবন বেশি দিন থাকে না। বয়সের ভারে তা চলে যায়। চোখের নীচে অসংখ্য বলিরেখা, কানের কাছে পাক ধরা চুল— আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে এ সব দেখলে কার না মন খারাপ হয়! কিন্তু সময়ের নিয়মে বয়স তো বাড়বেই। ত্বকে আর চুলেই বয়সের ছাপ সবচেয়ে আগে পড়ে। তবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং খাদ্যভ্যাস চেহারায় বয়সের ছাপ সহজে পড়তে দেয় না। এমন বেশ কিছু খাবার আর পানীয় আছে যেগুলি নিয়মিত খেতে পারলে চেহারায় দীর্ঘদিন পর্যন্ত বয়সের ছাপ পড়বে না। এই খাবারগুলি ত্বককে বলিরেখা পড়ার হাত থেকে বাঁচিয়ে করে তুলবে যৌবনদীপ্ত। আসুন সেই সব খাবারের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক…
১) পঁয়ত্রিশ পেরোলেই হাড় দুর্বল হতে থাকে। বাত বা অস্টিওপরেসিসের মতো সমস্যা দেখা দেয়। বাত বা অস্টিওপরেসিসের মতো সমস্যায় শরীরে, চেহারায় ‘বুড়োটে’ ছাপ পড়ে যায়। এই সমস্যা ঠেকাতে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপাদান হল ক্যালসিয়াম। আর টক দইয়ের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম। তাই হাড় সুস্থ রাখতে প্রতিদিন পাতে রাখুন ১ বাটি টক দই।
২) চেহারার তারুণ্য ধরে রাখতে বাদামের জুড়ি মেলা ভার। বাদাম, বিশেষ করে আখরোটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা ত্বককে মসৃণ করে ভিতর থেকে উজ্জ্বল করে তোলে। আখরোটে কোলেস্টেরলের মাত্রা একেবারে সামান্যই থাকে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন যে কোনও বাদাম। উপকার পাবেন।
৩) টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপেন। এই লাইকোপেন এমন একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা বিভিন্ন চর্মরোগ প্রতিরোধ করতে খুবই কার্যকর। এটি ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক থাকে উজ্জ্বল, যৌবনদীপ্ত।
৪) অলিভ অয়েল ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং একই সঙ্গে যে কোনও দাগ দূর করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন রান্নায় অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন। তাছাড়া ১ চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে প্রতিদিন অন্তত দু’বার করে ত্বকে মালিশ করুন। উপকার পাবেন।
৫) পালং শাকে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়েম, ফাইবার, ভিটামিন আর মিনারেল (খনিজ)। এই শাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেণ্ট রয়েছে যা শরীরের ‘ফ্রি র্যাডিকেল’ ধ্বংস করে দিয়ে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
৬) হলুদে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আর অ্যান্টি ইনফ্লামমেটরি উপাদান যা আমাদের হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এরই সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের শুষ্কতা দূর করে তাকে করে তোলে উজ্জ্বল, দীপ্তিময়।
৭) ত্বকের যৌবন ধরে রাখতে ডালিম অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। ডালিমে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বকের নমনীয়তা বজায় রেখে তাকে টানটান রাখতে সাহায্য করে। তাই দিন শুরু করুন ১ গ্লাস ডালিমের রস খেয়ে। এর ফলে আপনার ত্বক থাকবে টানটান, সতেজ।
৮) ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে তার ডিটক্সিফিকেশন অত্যন্ত জরুরি। ব্রকোলিতে রয়েছে এমন অনেক উপাদান যা শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদান বের করে দিয়ে কোষ যৌবন কে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন পাতে রাখুন ব্রকোলি। উপকার পাবেন। যৌবন