Sunday, March 16

টিনএজার টিপস : শীতে মর্নিং ওয়াকে যাওয়ার সাবধানতা

শীতেএই সময়ে অল্প-অল্প ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। তা ছাড়া, খবরে তো শুনছই যে দূষণের মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে অন্য সব শহরকেই।

সকাল-সকাল হাঁটতে না গেলে দিনটাই শুরু হয় না, এমন নিশ্চয়ই তোমরা অনেকেই আছ? মর্নিং ওয়াক নিঃসন্দেহে খুবই ভাল অভ্যাস। তবে শীতে সকালে হাঁটতে বেরলে কিন্তু মেনে চলতে হবে কিছু সাবধানতা। এই সময়ে অল্প-অল্প ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। ফলে মাটির কাছাকাছি বাতাসের স্তর ভারী হয়ে আটকে থাকছে। এই স্তরেই জমে থাকে সবচেয়ে বেশি দূষণ। আর এই দূষণের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি থাকে ভোরবেলা। তা ছাড়া, খবরে তো শুনছই যে কলকাতার দূষণের মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে অন্য সব শহরকেই। তাই কিছু সাবধানতা তো মেনে চলতেই হবে।

 

  • সম্ভব হলে কিছুদিন মর্নিং ওয়ক বাদ দাও, সন্ধেবেলা হাঁটতে চেষ্টা করো৷
  • যারা এক্সারসাইজ় করতে ভালবাস, তারা জিম বা যোগব্যায়ামও করতে পার। বাইরে বেরনোর দরকার পরবে না, ঘরের ভিতরই করে নিতে পার ব্যায়াম।
  • কোনওটাই সম্ভব না হলে মাস্ক পরে বেরতে পার৷ তবে সাধারণ সার্জিকাল মাস্কে কোনও কাজ হবে না, বিশেষ পলিউশন মাস্ক পরতে হবে৷ ডিসপোজ়েবল মাস্ক ব্যবহার করতে পারলে খুব ভাল হয়, সে ক্ষেত্রে জীবাণুর বংশবৃদ্ধি ঠেকানো সম্ভব৷ যদি কাপড়ের তৈরি মাস্ক ব্যবহার করো, তবে সেটা ভাল করে কেচে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে৷
  • নজর দাও খাওয়াদাওয়ার দিকেও৷ প্রচুর ভিটামিন সি রাখো খাদ্যতালিকায়, তাতে বাড়বে তোমার রোগ প্রতিরোধক্ষমতা৷ প্রসেসড ফুডের জায়গায় খাদ্যতালিকায় রাখো ফল, তাজা শাকসবজির মতো প্রাকৃতিক খাবার৷ শরীর শক্তপোক্ত হলে কোনও কিছুই তোমাকে ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না৷
  • এখন অল্প ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। সারাদিন ঠান্ডা না লাগলেও ভোরবেলায় তাপমাত্রা কিছুটা কমই থাকে। তাই হালকা একটা শীতের পোষাক পরে হাঁটতে বেরিয়ো। বেশি মোটা কিছু না পরাই ভাল, কারণ এক্সারসাইজ় করলে তোমার এমনিই আর শীত করবে না।
  • অনেকেই ভাবো যে শীতকালে হাঁটতে বেরলে জলের বোতল নিয়ে বেরনোর প্রয়োজন নেই। তবে ঘাম না হলেও শীতের মর্নিং ওয়ক কিন্তু তোমাকে ডিহাইড্রেট করে দিতে পারে। তাই জলের বোতল সঙ্গে রেখো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *