সিঁড়ি ব্যবহারের উপকারগুলো জানলে লিফটে উঠবেন না
অফিসে বা বাসায় লিফট ব্যবহার করেন না সিঁড়ি? একাধিক সমীক্ষায় এই প্রশ্নটি করা মাত্র প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ উত্তর দিয়েছেন তারা সিঁড়ির ব্যবহারের পরিবর্তে লিফটের হাওয়া খেতে খেতে নিজের ফ্লোরে পৌঁছাতেই বেশি পছন্দ করেন। আর এমনটা করার কারণে শরীরের উপর কতটা খারাপ প্রভাব পরে জানা আছে?
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে সিঁড়ির ব্যবহার কম করার কারণে আমাদের শরীরের ভেতরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে থাকে যে, যার প্রভাবে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা তো বাড়েই। সেই সঙ্গে হার্টের কর্মক্ষমতাও কমতে শুরু করে। অন্যদিকে, সিঁড়ি ব্যবহারের অভ্যাস করলে পাওয়া যায় অনেক উপাকারিতা। যেমন…
১. আয়ু বৃদ্ধি পায়:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহারের ভিতর এবং বাইরে থেকে শরীর এতটা শক্তিশালী এবং কর্মক্ষম হয়ে ওঠে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে আসতে পারে না। ফলে আয়ু বাড়ে চোখে পরার মতো।
২. হার্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা করার সময় সারা শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বেড়ে যায়। সেই শঙ্গে হার্টের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। যাদের পরিবারে হার্টের রোগের ইতিহাস রয়েছে,তাদের তো এই কারণেই বেশি করে সিঁড়ি ব্যবহারের প্রয়োজন রয়েছে।
৩. পায়ের পেশীর সচলচতা বৃদ্ধি পায়:
সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামার সময় আমরা আমাদের গ্র্যাভিটির বিপরীত মুখি হই। তাই এই সময় নিজের ওজনকে সামলে একের পর এক ধাপ নিয়ে উপরে ওঠার সময় পায়ের পেশীর উপর চাপ পরতে থাকে। এমনটা দিনের পর দিন হতে থাকলে একদিকে যেমন পায়ের নিচের অংশের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তেমনি পেটের পেশীর সচলতাও বাড়তে থাকে। ফলে বেলি ফ্যাট কমার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
৪. মনকে চাঙ্গা করে তোলে:
কথাটা শোনার পর নিশ্চয় অবাক হচ্ছেন, কিন্তু একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে মন খারাপের প্রকোপ কমিয়ে মুডকে চাঙ্গা করে তুলতে সিঁড়ির ব্যবহার বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে সিঁড়ি দিয়ে ওঠা বা নামার সময় আমাদের মস্তিষ্কের ভেতরে এন্ডোরফিন নামক “ফিল গুড” হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মন চাঙ্গা হয়ে উঠতে সময় লাগে না। তাই তো এবার থেকে কাজের চাপে বা অন্য কারণে মন ক্ষতবিক্ষত হলেই সিঁড়ির সামনে এসে দাঁড়াবেন, দেখবেন নিমেষে সব ভাল লাগতে শুরু করবে।
৫. হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:
সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করলে বোন ডেনসিটির উন্নতি ঘটতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হাড় শক্তপোক্ত হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। এই কারণেই তো ৪০-এর পর থেকে মহিলাদের লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।





















