Friday, March 29
Shadow

Tag: গল্প

হুমায়ূন আহমেদের সেরা বই | রইল ১০টি বইয়ের রিভিউ

হুমায়ূন আহমেদের সেরা বই | রইল ১০টি বইয়ের রিভিউ

Stories
হুমায়ূন আহমেদ- বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় লেখক। ১৯৪৮ সালে নেত্রকোনা জেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকাশিত বই তিন শতাধিক। ৬৩ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মারা যান তিনি। আজ রইল হুমায়ূন আহমেদের সেরা বই নিয়ে বিশেষ আয়োজন।   হুমায়ূন আহমেদের সেরা বই | রইল সেরা ১০   সে ও নর্তকী হুমায়ূন আহমেদের সেরা বই গুলোর মধ্যে ‘সে ও নর্তকী’র নাম আসবেই। উপন্যাসটি স্বাতীকে নিয়ে শুরু হলেও আরও দুই চরিত্র রুবি, লিলিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তিনজনের জীবন জড়ানো হাসনাত নামের এক চিত্রকরের সঙ্গে। স্বাতী একজন চমৎকার পরিবারের মেয়ে। ওর মা বাবা ওকে অনেক ভালবাসে। কিন্তু ও এটাকে তাদের নাটক ভাবে। ছোট থেকে তাদের ঝগড়া দেখে আসছে। বাবা মায়ের ঝগড়া কেমন প্রভাব ফেলে সন্তানের উপর তা লেখক সুন্দর ভাবে লিখেছেন। মাকে শাস্তি দিতে গিয়ে একজন ডিভোরসি চিত্রকরের সঙ্গে জড়িয়েছে। লিলি স্বাতীর একজন কাছের ...
হরর গল্প : তার ভেজা চুল

হরর গল্প : তার ভেজা চুল

Stories
হরর গল্প : তার ভেজা চুল। লিখেছেন সজল সরকার। মাথার ওপর যে সিলিং ফ্যানটা ঘুরছিল তার গতি হঠাৎই কেমন জানি একটু কমে গেল। ওপরে তাকাতেই চোখ ছানাবড়া হলো আবিরের। ফ্যানের তিনটি পাখায় ঝুলে আছে মেয়েদের লম্বা ভেজা চুল। মনে হচ্ছে যেন তিন পাখার ওপরেই বসানো রয়েছে তিনটি মেয়ের কাটা মাথা, আর তাদের চুলগুলো ঝুলছে পাখার নিচে। ফ্যান তখন কিছুটা ধীর গতিতে ঘুরছে, সঙ্গে সঙ্গে চুলগুলোও দুলছে। দলা পাকানো চুল থেকে দু’একটা ফোটা করে পানি ঝরছে অবিরত। রাতের অন্ধকারে লিফ্টে ওঠার পর যে আবছা ছায়ায় কিছু একটা দেখেছিল তা-ই এখন পর্যন্ত মাথা যাচ্ছে না আবিরের। এখন আবার সিলিং ফ্যানের এই দৃশ্য। ভেতরটা দুমরে মুচরে আসছে, ভয়ে বুকটা কেঁপে উঠার সমানতালেই মাথাটাও চক্কর দিচ্ছে এবার। দুই দিনের মধ্যেই এ্যাসাইনমেন্ট দিতে হবে, ল্যাপটপের দিকে তাকাতে পারছে না এখন। সারাদিন ক্লাস করতেও ভাল লাগেনি। গত কয়েকদিন ধরেই ঘুম হচ্ছে না। মাথাটা ঝিমঝিম করে ...
সায়েন্স ফিকশন গল্প টিম্ভুত

সায়েন্স ফিকশন গল্প টিম্ভুত

Stories
ধ্রুব নীলের সায়েন্স ফিকশন গল্প টিম্ভুত   ১ ‘ওই যে দেখতাসো। সামনের দাঁত নাইওয়ালা লোকটা। খবরদার ওর সামনে যাইবা না!’ ‘টেকো মাথা? চা খাচ্ছেন যিনি কপাল কুঁচকে?’ ‘হ। ও কিন্তুক মানুষ না, ওইটা একটা ভূত। দিশাভূত।’ ‘দিশা ভূত কী জিনিস? দিয়া ভূত টাইপের?’ ‘ওই একই কথা। দিয়া ভূতের বাপ! যারে ধরে সে দিশহারা হয়। পুরা ভ্যাবলা হইয়া ঘুরতে থাকে। আমারে অবশ্য এহনও ধরে নাই।’ এসেছিলাম মটুয়া গ্রামে বেড়াতে। বিকেলটা ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম এদিক ওদিক। গ্রামটা বেশ মায়াময়। যেতে ইচ্ছে করে না। আমার স্কুল বন্ধুদের অনেকের বাড়ি এখানে। চাকরিজীবনে ঢোকার পর অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। তবে অনেক দিন পর ইদ্রিস কাকার দেখা পেলাম। তিনিই আমাকে সতর্ক করলেন লোকটার ব্যাপারে। আগাগোড়া যাকে মানুষই মনে হচ্ছে। তবে অদ্ভুত একটা ব্যাপার তো আছেই। চোখে ঠিকমতো ধরা পড়ছে না এখনও। স্মার্টফোনের স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে লোকটাকে ভাল করে দেখলাম। চোখে...
অতিপ্রাকৃত গল্প: কে? – ধ্রুব নীল

অতিপ্রাকৃত গল্প: কে? – ধ্রুব নীল

Stories
দরজায় টোকা দিল কেউ। মানুষের মগজের প্রসেসিং ক্ষমতা নিয়ে কোনো গবেষণা হয়েছে? একটি টোকার শব্দ থেকে কতদ্রুত কত কী আমরা একসঙ্গে ভেবে বসতে পারি? আমি লেখক বলে একটু বেশি বা দ্রুত ভাববো ব্যাপারটা তা নয়। লেখালেখিটা নিছক ক্রাফট। মাথার ভেতর আমরা সবাই লেখক। আবারও টোকা। কিছুই ভাবিনি দুই টোকার বিরতিতে। বসেছিলাম কম্পিউটারের সামনে। একটা কিছু লেখা দরকার। মাথায় ঘাপটি মেরে বসে আছে মধ্যবয়সী এক লোক। দাঁত কেলিয়ে হেসে যাচ্ছে অনেকদিন ধরে। তাকে নিয়ে একটা আধিভৌতিক গল্প লিখতেই হবে নাকি। লেখক হিসেবে কাউকে উপেক্ষা করার শক্তি আমার নেই। রাত আড়াইটা। ইন্টারনেট থাকায় কম্পিউটার-মোবাইলে এখন ভুল সময় দেয় না। অবশ্য সময়ের আবার ভুল সঠিক কী! কে আসতে পারে? এত রাতে সিকিউরিটিকে পাশ কাটিয়ে কেউ ঢুকতে পারবে না। গেট বন্ধ থাকবে। ভদ্রোচিত কেউ এলেও গার্ড ইন্টারকমে জানাবে। আশপাশের কোনো ফ্ল্যাট থেকে কেউ আসবে...
ধ্রুব নীলের গল্প : ক্লেপটোম্যানিয়া

ধ্রুব নীলের গল্প : ক্লেপটোম্যানিয়া

Stories
ধ্রুব নীলের গল্প : ক্লেপটোম্যানিয়া পিন্টু তালুকদারের মতে চুরি করা পৃথিবীর সবচয়ে সহজ কাজ। ধরা পড়ার অংশটুকু নিয়ে কখনই মাথা ঘামান না তিনি। মিন্টুকে সাহেব বলার কারণ তিনি সবসময় কেতাদুরস্থ চলাফেরা করেন। আংশিক টাক পড়া কাঁচাপাকা চুলে হাত বুলোতে বুলোতে কথাও বলেন বুদ্ধিদীপ্ত। তার সমস্যা একটাই। চুরি না করে থাকতে পারেন না তিনি। চুরি করাটা মিন্টু সাহেবের অভ্যাস। তিনি এটাকে বদভ্যাস বলতেও রাজি না। বদভ্যাস হলো ধূমপান, মদ্যপান এসব। চুরি করাটা শরীর-স্বাস্থ্যের জন্য যেহেতু ক্ষতিকর নয়... যাক সে আলাপ। মিন্টু সাহেবের যথেষ্ট টাকাকড়ি আছে। সব কিন্তু চুরি করে পাওয়া নয়। তিনি চাকরি করেন। ঢাকায় ফ্ল্যাট না থাকলেও বেশ ভালো একটা বাসা ভাড়া করে থাকেন। তার স্ত্রী কলেজের প্রভাষক। ছেলে মোবাইলে গেমস খেলে। ছোট মেয়ে ইউটিউবে ভিডিও দেখে। বাইরে থেকে দেখে কে বলবে যে মিন্টু সাহেব মানুষের বাসায় চুরি করে বেড়ান। মিন্টু সাহেব ক...
রহস্যজট : রহস্য গল্প ধাঁধা – অন্তর্ঘাত

রহস্যজট : রহস্য গল্প ধাঁধা – অন্তর্ঘাত

Stories
  রহস্যজট : রহস্য গল্প ধাঁধা - অন্তর্ঘাত লিখেছেন: ধ্রুব নীল অন্যসব দিনের মতো সূর্যের অতটা তেজ নেই। তবু কপাল বেয়ে এক ফোঁটা ঘাম গিয়ে পড়ল ডিইএম-ফিফটি রাইফেলের হাতলে। ঝটপট দুবার পলক ফেলে চোখের ঘাম ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করল এজেন্ট মেহরীন। এক মিলি সেকেন্ডের জন্যও চোখ সরাতে চায় না ব্রিটিশ স্নাইপার রাইফেলটির ভিউ ফাইন্ডার থেকে। কারণ এক সেকেন্ডই যথেষ্ট ওদের জন্য। ‘এজেন্ট নাইন। এজেন্ট নাইন। টুয়েলভ ও’ক্লক। মুভমেন্ট অন নাইনথ ফ্লোর। ওভার।’ ‘ক্লিয়ার। ইটস এয়ার।’ বাতাসকেও বিশ্বাস করতে চাইছে না মেহরীন। মনে হচ্ছে, ওরা বাতাসে মিশে আছে। যেকোনো মুহূর্তে হামলে পড়বে মন্ত্রীর ওপর। ঠিক ৩টায় ভাষণ দেবেন মন্ত্রী। সঙ্গে আছেন কয়েকজন বিদেশি অতিথি। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁদের কাছে। সরকারও চায় গজিয়ে ওঠা বিষদাঁত গুঁড়িয়ে দিতে; কিন্তু গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া খবরে গত দুই র...
তৈয়ব আখন্দ ঘড়িবিতান

তৈয়ব আখন্দ ঘড়িবিতান

Stories
অতিপ্রাকৃত বাংলা গল্প : তৈয়ব আখন্দ ঘড়িবিতান লিখেছেন ধ্রুব নীল   পাহাড়ি টিলার ওপর একচালা ঘর। ঘড়ির দোকান। চা-বিস্কুট বা মুদি দোকান হলে কথা ছিল। কিন্তু তৈয়ব আখন্দ ঘড়ির দোকানটা ছাড়েন না। বাপদাদার আমলের দোকান। পরিবারে বড় অশান্তি। আয়-রোজগার নেই। লোকে এখন ঘড়ি তেমন কেনে না। তৈয়ব আখন্দের স্ত্রী রাস্তার মোড়ে সবজি বিক্রি করে কিছু রোজগার করেন। ‘আব্বা, ঘড়িতে ফুঁ দাও ক্যান?’ ‘এমনি এমনি দিই। অভ্যাস। ঘড়ি ঠিক করার টাইমে একটু ফুঁ ফাঁ দিতে হয়।’ ‘আব্বা, সিন্দুকের ঘড়িটা কবে ধরতে দিবা?’ মিজানের তর সয় না। সে যা-ই বলুক, শেষে সেটা সিন্দুকের ঘড়িতে গিয়ে আটকে যায়। তৈয়ব জবাব দেন না। সিন্দুকের ঘড়ির ব্যাপারে তিনি বিশেষ কথা বলেন না। ছেলের অতি আগ্রহে তার কিছু যায়-আসে না। পোলাপানের আগ্রহ সবখানেই। তৈয়ব আবারও ফুঁ দেন। মিজান জানে, এটা হলো ফাইনাল ফুঁ। মানে ঘড়ি ঠিক হয়ে গেছে। ‘আইজকা তো স্কু...
রোমান্স গল্প : উপভোগ

রোমান্স গল্প : উপভোগ

Cover Story, Stories
রোমান্স গল্প : উপভোগ লিখেছেন মৌমতিা শকিদার লাবনী ১ সুপ্রভার মনে হলো তার উপমাগুলো বাক্সে পুরে তালা লাগিয়ে দেয়ার দিন এসে গেছে। এ যুগে নাকি এসব অচল। রুজুর ভাষায় এ নাকি সেকেলে গন্ধ ছড়ায়। রঞ্জিতকে রুজু ডাকে সুপ্রভা। এই রুজুই তার কবিতার সমঝদার। মাপ মতো প্রশংসা সমালোচনা দুটোই করে। তবে ইদানীং রুজু সবকিছুতে কেমন যেন আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। কবিতা-গদ্য সবই এড়িয়ে চলছে। সুপ্রভা বিজ্ঞানের ছাত্রী। তার সবকিছুতেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্তি আসবেই। রঞ্জিতকে সে মাঝে মাঝে বোঝানোর চেষ্টা করে, কবিতায় কাল ব্যাপারটা অন্যরকম। সুপ্রভার কাছে কবিতার সংজ্ঞা হলো, কালকে আলগোছে একপাশে সরিয়ে পরিচ্ছন্ন কিছু অনুভূতি। রঞ্জিত আবার এসব শুনতে পছন্দ করে না। ভ্রূ কুঁচকে অন্যদিকে তাকিয়ে থাকে। আজও যেমনটি আছে। সুপ্রভা বলল, এই যে তুমি এখনকার ভিজুয়াল প্রডাকশানগুলোকে অতিমাত্রায় মেলোড্রামাটিক বলছ, এটা ভুল। রঞ্জিত রিকশাওয়ালার পি...
বাংলা গল্প : কবি ও মুক্তা

বাংলা গল্প : কবি ও মুক্তা

Cover Story, Stories
বাংলা গল্প : কবি ও মুক্তা লিখেছেন - নাবিলা সিদ্দিকা   বেদনার নীল রং..। আব্বে রাহো তোমার কবিতা। কী কইলা? বেদনার কালারডা জানি কী? নীল? নীলতো অইবোই! ঠ্যাঙ্গের নলিতে পটাশ পটাশ দুইখান বাড়ি দিলে নীল রঙা ছোপতো পড়বোই। নতুন কিছু কও। কবি রানা মজুমদার তাৎক্ষণিকভাবে নতুন কিছু বলতে পারে না। সে উঠতি কবি। এখনো আঙ্গুল টিপে মাত্রা গোনে। অক্ষরবৃত্তে যুগ্মধ্বণিতে সে প্রায়ই তালগোল পাকায়। মাত্রাবৃত্তকে যথাসম্ভব এড়িয়ে চললেও চর্চায় তার ত্রুটি নেই। কবিতার জন্য চাই আইডিয়া। আইডিয়ার জন্য ভেরিয়েশন। সেই জন্যই দিন দশেক হলো পুরান ঢাকার একদল উঠতি বখাটের সঙ্গে রানার ওঠাবসা শুরু। আড়াই টাকার সিগারেটে টান দিতে কবির বেজায় কষ্ট। বখাটেরা এজন্য তাকে চার টাকার সিগারেট খাওয়ায়। কবিতার জন্য না, নিতান্ত ভদ্র ছেলে বলেই তারা পছন্দ করে। চা-সিগারেটের বিলটা তাই তারাই দেয়। বিল দেয়ার সময় রানা তাকিয়ে থাকে আকাশের দিকে। পেঁজা ...
ধ্রুব নীলের মজার ভূতের গল্প : থিংক লাইক ভূত

ধ্রুব নীলের মজার ভূতের গল্প : থিংক লাইক ভূত

Cover Story, Kidz, Stories, Stories for Kids
এ নিয়ে কয়েকশবার হাতে চিমটি কাটা হয়ে গেল। তবু একবারও ব্যথা লাগেনি! তারমানে এ নিশ্চয়ই স্বপ্ন। খুব খারাপ স্বপ্ন। কিন্তু স্বপ্ন মানুষ এতোক্ষণ দেখে কী করে! দু’চার মিনিট হলে না হয় কথা ছিল, তাই বলে টানা তিনদিন! তবে কি ঐ তিনচোখা দানবটার কথাই সত্যি! সে কি তাহলে..! না এ কিছুতেই সম্ভব নয়। এ হতে পারে না! সে একটা পুরনো পোড়াবাড়িতে না খেয়ে না ঘুমিয়ে তিনদিন একটা চেয়ারে টানা বসে থাকবে, এটা বিশ্বাস করা যায় না কিছুতেই। ঐ তিনচোখা দানব বললেই হলো! ব্যাটা নিজে তো একটা ভূত, বলে কিনা সেও ভূত হয়ে গেছে! অসম্ভব। - এ সম্ভব ম্যাডাম। পৃথিবীতে অসম্ভব বলে কিছু নেই। দরজা নেই। তাই নক করার দরকার হলো না। বাইরে ফকফকা চাঁদের আলো। যিনি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে এ কথা বললেন তাকে বেশ ভয়ার্ত দেখাচ্ছে। তার হাতে একটা ব্রিফকেসের মতো ব্যাগ। দুবার কাশি দেয়ার মতো শব্দ করলেন। তবে তাতেও ঘরের ভেতরে যে বসে আছে তার কোনো সাড়া মিলল না। ...
হরর-থ্রিলার গল্প পদ্মলতা

হরর-থ্রিলার গল্প পদ্মলতা

Cover Story, Stories
ধ্রুব নীল ভূতের প্রসঙ্গ উঠলেই নাঈমের দাদি খ্যাটখ্যাট করে ওঠেন। খ্যাটখ্যাটের একপর্যায়ে তিনি অশালীন গালিগালাজ শুরু করেন। গ্রামে এসব গালিগালাজ কমন ব্যাপার। নাঈমের সঙ্গে তার ভার্সিটির বান্ধবী উপমাও বেড়াতে এসেছে। উপমার সামনে দাদির অশ্লীল গালিগুলো হজম করতে হচ্ছে নাঈমকে। ‘যা যা। ভূত আমার ইয়ে করবে।’ তারপর ভূত আর কী কী করতে পারবে না সেটার একটা ফিরিস্তি দিলেন দাদি। ‘দাদি, উপমা এসেছে ঢাকা থেকে। ওর কথাই বলেছিলাম। ও এসেছে আমাদের বাড়ির ভূত দেখতে।’ দাদি একটা কিছু বলতে গিয়ে আটকে গেলেন। উপমা চোখ বড় বড় করে তার দিকে তাকিয়ে আছে। এমন গোটা গোটা চাহনির সামনে গালিটালি মুখ দিয়ে আসে না। হামানদিস্তায় পান ছেঁচতে লাগলেন দাদি। চোখে ছানি পড়ায় কোন দিকে তাকিয়ে আছেন বোঝা গেলো না। রাত এগারোটা। এখনকার গ্রামে এগারোটা অতো গভীর নয়। অবশ্য আজ সম্ভবত অমাবস্যা। ঘুটঘুটে অন্ধকার বলে যে একটা বিষয় আছে সেটা মনে হয় এই প্র...
অতিপ্রাকৃতিক সায়েন্স ফিকশন গল্প : পরীবিবির দোলনা

অতিপ্রাকৃতিক সায়েন্স ফিকশন গল্প : পরীবিবির দোলনা

Stories, Stories for Kids
ধ্রুব নীল ১ ঘটনার কিছুটা কানে আসার পর জারা গোঁ ধরে, দাদির বাড়ি যেতেই হবে। কনকনে পৌষের শীতে জমজমাট রহস্য পেয়েছে। পরীবিবির বাড়িতে কদিন ধরে ভূতের উপদ্রব। পরীবিবি হলেন জারার দাদি। বয়স সত্তরের মতো। নামের মতো বাড়িটাও রাজকীয়। জমিদারবাড়ির মতো খিলান, কুয়ো সবই আছে। পেছনে জঙ্গলের মতো। বাঁশঝাড়ের ফাঁকে একে অন্যের লেজ কামড়ে হেঁটে বেড়ায় শিয়ালের দল। বাড়িতে যারা থাকে তারা সরাসরি ভূত না দেখলেও ভৌতিক কাণ্ড ঘটতে দেখেছে। আর সেটাকে স্বাভাবিক বলে মেনেও নিয়েছে। ‘ভূত থাকবে না কেন? আমরা তো আছি, ভূত থাকলে দোষ কোথায়!’ জারার বাবার ভূত বাবদ আগ্রহ নেই। তিনি আমুদে লোক। জারা ইনিয়ে বিনিয়ে দাদির কাছ থেকে ভূতের গল্পের আদিঅন্ত আদায় করে নিচ্ছে। ‘দোলনাটা আনছিল আমার আব্বা। আব্বার নাম জমিরুদ্দিন বাদশা। ১৩৫০ সনের কথা মনে হয়। ঠিক মনে নাই।’ ‘কী বলো! এত আগে...।’ ‘ওটা বাংলা সাল জারা।’ শুধরে দিয়ে গেলেন জারার বাবা। তিনি নি...
রোমান্টিক হরর গল্প : দম্পতি

রোমান্টিক হরর গল্প : দম্পতি

Cover Story, Stories
\   ধ্রুব নীল ‘আমার মনে হয় তোর ভাবী মানুষ না।’ ‘অ্যাঁ!’ ঝেড়েকেশে সরাসরি কথাটা না বললেও হতো। কিন্তু সজল ভ‚মিকা করতে পারে না। কথা পেটে থাকলে চিনচিনে একটা ব্যথা করে তার। ‘তা হলে ভাবী কি অমানুষ? মানে তোর ওপর নিদারুণ...।’ ‘আরে না! রেনুর মতো মানুষ হয় নাকি! ইয়ে মানে, ও অনেক ভালো। কদিন আগে আমার সামান্য জ্বর হয়েছিল, তাতেই পানিটানি ঢেলে একাকার অবস্থা। হে হে হে।’ ‘অ্যাঁ!’ বার বার অ্যাঁ অ্যাঁ করা লোকটা হলো সজল সরকারের ভার্সিটি লাইফের বন্ধু ইন্দ্রজিত। ওর কাছেই মাঝে মাঝে পেটের কথা উগড়ে আসে সজল। আজও সন্ধ্যায় দুজনের আড্ডা চলছে শ্যামলী পার্কে। ‘তা হলে?’ ‘বলছিলাম ও মানুষ না। অন্য কিছু। মানে.. ওই যে অশরীরী...।’ ধন্ধে পড়ে গেল সজল। তার স্ত্রী রেনু বাতাসে উড়ে বেড়ায় না। শরীরটা একটু রোগাপাতলা। তবে শক্তি আছে বেশ। পাড়ায় মারকুটে হিসেবে ভালো খ্যাতিও আছে। একবার তো দুই ছিনতাইকারীকে জুডোর প্যাঁচে খ...
হরর গল্প : মৃত্যুছায়া

হরর গল্প : মৃত্যুছায়া

Stories
ধ্রুব নীলের হরর গল্প  ‘কেউ মারা যাবে কিনা সেটা আমি আগেভাগে বলে দিতে পারি। চেহারা দেখলেই বুঝতে পারি।’ ‘আপনার নামটা কী যেন...।’ ‘সিদ্দিকুর রহমান। আমার বয়স পঞ্চাশ। ডায়াবেটিস আছে।’ সিদ্দিকুর রহমানকে দেখেই বোঝা যায় তিনি অস্বস্তিতে আছেন। মাথা নিচু করে পায়ের নখ দিয়ে ফ্লোর খোঁটার চেষ্টা করছেন। টাইলস শক্ত হওয়ায় পারছেন না। অস্বস্তিতে পড়ার কারণ হলো তিনি এর আগে কোনোদিন মনরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে আসেননি। তার ধারণা, মনরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে আসবে মাথা খারাপ হওয়া লোকজন। তার মতে, তার মাথা পুরোপুরি ঠিক আছে। তা না হলে টানা বিশ বছর ব্যাংকের চাকরি করতে পারতেন না। ডা. কায়সার বয়সে তরুণ। চেম্বারে রোগী কম। সিদ্দিকুর রহমানের দিকে তাকিয়ে প্রথমে একটা কিছু বোঝার চেষ্টা করলেন। মুখে নকল হাসি টেনে বললেন, ‘আপনার ডায়াবেটিস আছে কিনা সেটা দিয়ে তো আমার কাজ নেই। আমার কাজ মনের কারবার নিয়ে। তবে ডায়াবেটিস খুব খারাপ জিনিস। শরীরের ...
ধ্রুব নীলের বাংলা থ্রিলার উপন্যাস রক্তদ্বীপ পর্ব-৪

ধ্রুব নীলের বাংলা থ্রিলার উপন্যাস রক্তদ্বীপ পর্ব-৪

Cover Story, Stories
ধ্রুব নীলের বাংলা থ্রিলার উপন্যাস রক্তদ্বীপ পর্ব-৩ সায়েন্স ফিকশন রক্তদ্বীপ : পর্ব ১-২ খেপা ঝড়   ঢাকায় আসার পর তুষারের মনে হলো আইনস্টাইন সঠিক। সময় আপেক্ষিক। দ্রুত চলে যেতে লাগল। কুসুমচর থেকে আনা কীটপতঙ্গখেকো গাছের চারাগুলো পাঠিয়ে দিয়েছে ল্যাবরেটরিতে। এর মাঝে নতুন কোনো প্রজাতি আবিষ্কার হয় কিনা সে আশায়। একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বোটানির ওপর পার্টটাইম ক্লাস নেয়। তা ছাড়া সিনিয়ররা তাকে পছন্দ করে বলে যখন তখন ল্যাব ব্যবহার করতে পারে তুষার। আপাতত গবেষণার দায়িত্বটা বুঝিয়ে দিয়েছে পারমিতাকে। এ দুই কলিগ এখনো নিজেরা নিজেদের সম্পর্কের বিষয়ে পরিষ্কার নয়। যদিও মিলন এটাকে প্রেম স্বীকৃতি দিয়েছে, তথাপি দুজন একসঙ্গে গাছপালা নিয়ে গবেষণা করাটাই বেশি উপভোগ করছে। কুসুমচর থেকে ফেরার পঞ্চম দিনের মাথায় পড়ানোর চাপ আর একটা জমজমাট থ্রিলার গল্প লেখার চাপে দ্বীপটার কথা ভুলতেই বসেছিল। মনে করিয়ে দ...

Please disable your adblocker or whitelist this site!

error: Content is protected !!