Friday, March 29
Shadow

Tag: গল্প

একটি চাকরির গল্প : এক কোম্পানীতে ছিলো এক পিঁপড়া

একটি চাকরির গল্প : এক কোম্পানীতে ছিলো এক পিঁপড়া

Jokes, Stories
এক কোম্পানীতে ছিলো এক পিঁপড়া। সে প্রতিদিন ৯টায় অফিসে ঢুকতো। তারপর কারো সঙ্গে সময় নষ্ট না করে সঙ্গে সঙ্গে কাজে বসে যেত। সে যে পরিমাণ কাজ করত, তাতে কোম্পানির উৎপাদন হতো প্রচুর এবং এর ফলে সে আনন্দের সঙ্গেই জীবন নির্বাহ করত। ওই অফিসের সিইও সিংহ অবাক হয়ে দেখত, এই পিঁপড়াটি কোনো ধরনের সুপারভিশন ছাড়াই প্রচুর কাজ করছে। সিংহ ভাবল, পিঁপড়াকে যদি কারও সুপারভিশনে দেওয়া হয়, তাহলে সে আরও বেশি কাজ করতে পারবে। কয়েক দিনের মধ্যেই সিংহ একটি তেলাপোকাকে পিঁপড়ার সুপারভাইজার হিসেবে নিয়োগ দিল। সুপারভাইজার হিসেবে এই তেলাপোকাটির ছিল দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, আর সে দুর্দান্ত রিপোর্ট লিখতে পারত।তেলাপোকাটি প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিল, এই অফিসে একটি অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম থাকা উচিত। কয়েক দিনের মধ্যেই তেলাপোকার মনে হলো, তার একজন সেক্রেটারি দরকার, যে তাকে রিপোর্ট লিখতে সাহায্য করবে। … সে একটা মাকড়সাকে নিয়োগ দিল এই কাজে যে ...
মুক্তিযুদ্ধের কিশোর গল্প : বুড়ো আঙুল

মুক্তিযুদ্ধের কিশোর গল্প : বুড়ো আঙুল

Kidz, Stories, Stories for Kids
(মুক্তিযুদ্ধের কিশোর গল্পটি লিখেছেন বাংলাদেশের খ্যাতনামা গল্পকার ধ্রুব নীল। এ গল্পে এক দারুণ মেধাবী কিশোরের গাণিতিক দক্ষতার কারণে কী করে একটি গ্রামের বাসিন্দারা পাকিস্তানি সেনাদের অত্যাচারের হাত থেকে বেঁচে গেল, সেটাই দেখানো হয়েছে। শিশু কিশোরদেরকে অঙ্কের একটা মজার খেলাও শেখা হবে এই গল্পে। এই গল্পে দূরত্ব মাপার কৌশলটি পুরোপুরি সঠিক ও প্রমাণিত।) ‘গেলরে! বলটা একেবারে মরণ কুয়োয়। তুলবো কী করে! খেলা ডিসমিস। ওই সবুজ, তুই ফেলেছিস, তুই তুলবি।’ শরিফুলের কথায় উসখুস করছে সবুজ। তার কিকেই ফুটবলটা সোজা গিয়ে পড়েছে গভীর এক পরিত্যক্ত কুয়ায়। নিচে পানি থাকলেও কেউ জানে কত গভীর ওই কুয়া। মায়াপুর হাইস্কুলে পড়া ওরা সবাই। কেউ এইটে তো কেউ টেনে। রতনও আছে দলে। সে হলো ‘দুধভাত পেলেয়ার’। টিংটিঙে সরু। জোরে বাতাস এলেও নাকি তার হাঁটতে কষ্ট হয়। পাওয়ারওয়ালা চশমা পরে। অবশ্য কেউ তার মাথায় গাট্টা মা...
ভয়াল : ধ্রুব নীলের হরর গল্প

ভয়াল : ধ্রুব নীলের হরর গল্প

Stories
হেমন্তের শুরুতে শীত শীত লাগা এক সন্ধ্যায় কিশোরী বিনু বুঝতে পারল তার ভয়ডর কম। নেই বললেই চলে। লাতু মুনসির মতো পালোয়ানও নির্ঘাৎ অজ্ঞান হয়ে যেত। বিনু ভয় তো পেলই না, উল্টো জিনিসটাকে হাতে নিয়ে বাড়িতে এলো। এসেই বিড় বিড় করতে থাকল, এখন এটারে লুকাই কই, রক্ত পামু কই, কী আপদ নিয়া আইলাম! শাহ দৌলতপুর গ্রামের পশ্চিম সীমানায় পুরানা ভাঙা জমিদার বাড়ি। শিয়াল আর সাপখোপের আনাগোনা থাকায় ওই বাড়ির ত্রিসীমানা সুরক্ষিত। তবে ডোবা ঘেঁষে থাকা পশ্চিমের ভাঙাচোরা দেয়াল আর দুটো সুপারি গাছের মাঝ দিয়ে চার নম্বর সীমানাটা আবিষ্কার করে ফেলল কানাই তরফদারের মেয়ে বিনু। হেমন্তের ওই বিকালে বাড়িটার উঠানে থাকা ডেউয়া খাবে ঠিক করল। পা টিপে পা টিপে ঢুকে পড়ল বুনোলতায় ঠাঁসা ঘরটার অন্দরমহলে। উৎকট গন্ধে নাক চেপে ধরলেও কান খোলা। শুনতে পেল ঘরের ভেতর থেকেই কেউ একজন ফ্যাসফ্যাসে গলায় বলল, ‘কে গো! এককু রক্ক দিবানি? কে গ...
সায়েন্স ফিকশন গল্প : সময়পুর

সায়েন্স ফিকশন গল্প : সময়পুর

Kidz, Stories, Stories for Kids
লেখক : ধ্রুব নীল সময়পুর। এ নামে বাংলাদেশে কোনো গ্রাম নেই। মানে এখন আমাদের যে মানচিত্র তাতে এর অস্তিত্ব নেই। গ্রামের নামটা আমারই দেওয়া। কারণ, আমার মতে নামটা সময়পুরই হওয়া উচিত। যদিও ওই গ্রামের লোকজন নাম-ধাম নিয়ে ভাবে না। তাদের কাছে গ্রাম মানে গ্রাম। সময়পুর গ্রামে সময় যেতে চায় না। সবার হাতেই অফুরন্ত সময়। কাজ করতে করতে কোনো কৃষকের মনে হলো আজ নিড়ানি বাদ দিয়ে বসে থেকে শরতের ঘ্রাণওয়ালা বাতাস খাবে। তো সে সেটাই করে যাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এক সময় রাত হবে। শেয়াল ডাকবে। শেয়ালের ডাক শুনে শুনে কোনো শিশুকে তার মা গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়াবে। সেটাও অনেক সময় নিয়ে। তারপর নিশাচর পাখির গাছের গর্তে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে নেমে আসবে গভীর রাত। যে রাতটাও কাটতে চাইবে না অনেকক্ষণ। এখানে আসার পরই আমি গ্রাম কাকে বলে শিখেছি। গ্রাম হওয়ার মতো সবই আছে সময়পুরে। চিকন লতার মতো সজনে, খালের পাড়ে বেড়ে ওঠা ...
Bangla Horror Story হরর গল্প : অন্ধ চাঁদের কালো আলো

Bangla Horror Story হরর গল্প : অন্ধ চাঁদের কালো আলো

Stories
ধ্রুব নীলের লেখা ভয়ানক এ আধিভৌতিক এ Bangla Horror Story হরর গল্প দুর্বলচিত্তের পাঠকদের জন্য নয়। গল্পটি লেখকের প্রকাশিতব্য ভয়াল সিরিজের পাণ্ডুলিপি থেকে নেওয়া। ভোরের আগে ব্রিটিশ আমলের গোডাউন। ঝাড়পোঁচ করার পরও স্যাঁতস্যাঁতে ভাবটা কাটেনি। শূন্য ঘরের মাঝে চার ফুট উঁচু বেঞ্চি। তাতে নিথর দেহটি রাখা। ঘরের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সরানো হয়েছে। হারিকেন আর মোমবাতির ব্যবস্থা করা ছিল আগেই। ওগুলো জ¦লছে স্থির শিখায়। পুরো প্রক্রিয়াটার তারাও সাক্ষী হতে এসেছে যেন। বেঞ্চির একপাশে মনোয়ারা। অন্যপাশে বৃদ্ধ জিঁয়ৎ কুন্ডু। অশীতিপর বৃদ্ধ তার ধাতব বাক্সটা গোছালেন ধীরেসুস্থে। মেঝেতে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন কোনো একটা তরল। যে কারণে জমাট রক্ত ও অন্যান্য জৈবিক অংশগুলো থেকে বোঁটকা গন্ধ নাকে বাড়ি খেল না। মনোয়ারা তার হাতব্যাগ থেকে টাকাটা এগিয়ে দিল। বৃদ্ধ ইশারায় অপেক্ষা করতে বলল তাকে। ধাতব বাক্সটায় ছুরি, ক...
ভুতের গল্প Bhuter Golpo : বাঁশঝাড়ের নিঃশ্বাস

ভুতের গল্প Bhuter Golpo : বাঁশঝাড়ের নিঃশ্বাস

Stories
ধ্রুব নীলের ভুতের গল্প Bhuter Golpo । দুর্বল চিত্তের পাঠক আশা করি এ গল্প পড়বেন না। নব্বই কি একানব্বই সালের কথা। কালীডাঙ্গা গ্রাম সন্ধ্যা পেরোতেই সুনসান। ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক, নিশিবকের ওড়াওড়ি, তেঁতুল গাছে ভূতের ভয়; সবই আছে এ গ্রামে। জয়নাল রাত করে বাড়ি ফেরে। সবসময় যে দোকানের কাজে রাত হয় তা নয়। ইচ্ছে করেও রাত করে। নিশুতি রাতে গ্রামের শ্মশান, গোরস্থান আর ঘন ঝাঁকড়া বাঁশঝাড় ঘেঁষা মাটির চিকন রাস্তায় সাইকেল চালানোর মধ্যে এক ধরনের শিহরণ টের পায়। রাতে এ পথে আরও অনেকে আসা-যাওয়া করে। সবাই তো আর শিহরণ বোঝে না। আশ্বিনের এক ঝিরঝির বৃষ্টির রাত। সাইকেলের সামনে কায়দা করে তিন ব্যাটারির টর্চলাইট লাগিয়েছিল জয়নাল। হেডলাইটের মতো দেখায়। শ্মশান পেরোতেই ওটা নিভে গেল। ঘুটঘুটে অন্ধকারে কড়া ব্রেক কষল জয়নাল। ভুতের গল্প ( Bhuter Golpo ) ‘পানি ঢুকল নাকি!’ টর্চটায় থাপ্পড় মারল। মেরেই বুঝল ভুল হয়েছে। একটা ব্যা...
মুক্তিযুদ্ধের গল্প : আরেক যুদ্ধের শুরু : মুহম্মদ মোফাজ্জল

মুক্তিযুদ্ধের গল্প : আরেক যুদ্ধের শুরু : মুহম্মদ মোফাজ্জল

Stories
‘বাবা, যুদ্ধ এখন শেষ।’ দরজায় দাঁড়ানো কাজলের এ কথায় উমেদ আলী অবাক হয়ে তাকালেন। নাতি সকালের চোখেও বিরক্তি। বৌমা কাজলের এমন বেরসিক কথায় উমেদ আলী ভেতরে ভেতরে আহত হলেও মুখে হাসিটা ঝুলিয়ে রাখেন। ‘বাবা, ওকে এখন ছাড়ুন। ও ঘুমুতে যাবে। কাল ওর স্কুল আছে। সকাল সকাল উঠতে হবে।’ কাজল একনাগাড়ে বলে গেল। তার কথায় মাধুর্য নেই। চেহারায় কাঠিন্য আছে। উমেদ আলী এবার নাতির দিকে তাকিয়ে হাসলেন। ‘ও তাই তো! আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম। যুদ্ধের গল্পের বাকিটা আরেক দিন শোনাব। এখন তুমি ঘুমুতে যাও।’ উমেদ আলী সকালের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন। ‘দাদু ভাই, প্রতিদিন এত সকাল সকাল আমার ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না।’ গাল ফুলিয়ে বলল সকাল। ‘সে কী কথা! ওই যে কবিতায় পড়েছ না—আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে?’ ‘কিন্তু দাদু ভাই, যেদিন আমার স্কুল বন্ধ থাকে না সেদিন তো আমি সকালে উঠি না। তাই বলে কি আমি ওঠার আ...
প্রেমের গল্প : মধুরিমা একটি নদীর নাম

প্রেমের গল্প : মধুরিমা একটি নদীর নাম

Stories
মধুরিমা জলের মতো। আমি এমন কাউকেই চাচ্ছিলাম, যার ভেতর নিজেকে দ্রবীভূত করা যায়। গলে যাওয়া যাকে বলে। আমার ডিভোর্সটা সুপারনোভা ছিল না। সব নক্ষত্র তো বিস্ফোরিত হয় না। কিছু তারা ফুলেফেঁপে বড় হয়ে ফোঁড়ার মতো লাল হয়ে যায়। বড় হতে হতে ওটার কোনো মানে থাকে না। নীলিমার সঙ্গে আমার সংসারটা অমনই হয়ে গেল। তারপর একদিন ‘কী যেন মনে হলো’ ভান করে দুজন ঠিক করলাম, এভাবে চলতে পারে ঠিকই, তবে কী দরকার চালানোর। তারচেয়ে দুজন আরও বেশি সুখের সন্ধান করি। মধুরিমাই কি আমার সেই আরও বেশি সুখ? আমরা আজ বিয়ে করেছি। পরিচয় কয়েক মাস আগে। মধুরিমা আমার মতো কোনো সুখের সন্ধানে ছিল না সম্ভবত। আমি তার জীবনে অনেক উড়ে আসা ড্যান্ডালিয়ন ফুল। আর সে বুকভরা নদী। যে কিনা জল হয়ে অনায়াসে ধূসর বালিয়াড়িকেও গলিয়ে দিতে পারে এক লহমায়। ‘হুকটা খুলে দাও তো।’ ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে মধুরিমা কানের দুল খুলছিল। আয়ন...
ব্যর্থ প্রেমের গল্প : অপূর্ণ প্রেম

ব্যর্থ প্রেমের গল্প : অপূর্ণ প্রেম

Stories
দীর্ঘ ছুটি শেষে আজ লাবণ্য ও অমিতের দেখা হতে যাচ্ছে, অমিত প্রতিবার দেরি করে বের হলেও আজ একটু তাড়াহুড়ো করে বেরিয়েছি; নীলাভ একটা পাঞ্জাবি গায়ে একগুচ্ছ গোলাপ নিয়ে কদমতলায় অপেক্ষা করছে। প্রতিবার লাবণ্য আগে থেকে অপেক্ষা'র প্রহর গুনলেও আজ ওর আসতে অনেক দেরি হচ্ছে! অবশেষে লাবণ্য অনেকটা অগোছালো অবস্থায় রিক্সা থেকে নামল, লাবণ্যের মুখটা আজ ফ্যাকাসে হয়ে আছে, চোখ তার যেন শত শতাব্দীর নীল অন্ধকার! সব সময় পরিপাটি ও গুছানো থাকা লাবণ্য আজ অগোছালো! বিষন্ন কেন? এই প্রশ্ন অমিতকে খুব বিচলিত করে তুলল! কি হয়েছে তোমার? লাবণ্য কোনো উত্তর না দিয়ে বলল চন্দ্রবিন্দু ক্যাফেতে চল, তোমার সাথে কথা আছে। হঠাৎ লাবণ্যের মাঝে এত পরিবর্তন অমিতের ভেতর ভয় সৃষ্টি করে! বসা মাত্রই জিজ্ঞেস করল তোমাকে এমন লাগছে কেন? লাবণ্যের চোখ অশ্রুতে টলমল করছে, কিছু একটা বলতে চেয়েও বলতে পারছে না: মৃদুস্বরে কাঁপা গলায় বলল তোম...
রহস্যজট : বাগেশ্রীর শেষ আলাপ : ধ্রুব নীল

রহস্যজট : বাগেশ্রীর শেষ আলাপ : ধ্রুব নীল

Stories
আজ রইল ধ্রুব নীলের লেখা রহস্যজট বাগেশ্রীর শেষ আলাপ । এটি মূলত একটি গল্প ধাঁধা। প্রথম সমাধান করার চেষ্টা করুন। উত্তর দেখার জন্য একদম শেষে দেওয়া লিংকে ক্লিক করুন। রহস্যজট : বাগেশ্রীর শেষ আলাপ : ধ্রুব নীল আকাশের চাঁদ আর জলের চাঁদকে যখন এক বলে ভ্রম হয়, তখন অনেক আপাত সত্য নিরেট অর্থহীন ঠেকে কারও কারও কাছে। সবার কাছে সে অনুভূতি এক মনে না হলেও একেবারেই যে আলাদা আলাদা তা কিন্তু নয়। এমন কূলহারা পূর্ণিমায় সত্য গোসাইয়ের বড় মেয়েটা যখন আশপাশের শত অচেনা শঙ্কাকে চুলোয় তুলে এবং রাতের নিরবতাকে আরও এক ধাপ গভীরে পৌঁছে দিয়ে হারমোনিয়াম বাজিয়ে ধীরলয়ে গাইতে শুরু করে বাগেশ্রীর আলাপ, তখন পাইনসাদের পুকুর পাড়ের আধমরা নারকেল গাছের কাণ্ডের ফোকরে বাসা বাঁধা রহস্য পাখিটা সে গানে কান দেয়। তার সঙ্গে আরও একজন কান পেতে শোনে রাতের কিশোরীর আকুলতা। সে পান চাবায় আর আলাপের তালে মাথা নাড়ায় কিছুটা। ...
আশরাফ উদ্‌দীন আহ্‌মদের গল্প : স্বপ্নভূমি

আশরাফ উদ্‌দীন আহ্‌মদের গল্প : স্বপ্নভূমি

Stories
স্বপ্নভূমি আশরাফ উদ্‌দীন আহ্‌মদের গল্প । ভোর-ভোর থাকতেই, হাঁড়ির কোণে থাকা একটু পান্তা কাঁচা লঙ্কা আর লবণ চটকে খেয়ে নেয় আকালু... ভোর-ভোর থাকতেই, হাঁড়ির কোণে থাকা একটু পান্তা কাঁচা লঙ্কা আর লবণ চটকে খেয়ে নেয় আকালু। তারপর সাইকেলে চেপে বাতাসের বেগে ছুটে যায় ইউনিয়ন পরিষদে। আগেভাগে ধরতে হবে, সময় বলে কথা, সময়ের কাজ সময়ে না করলে পস্তাতে হয়; কিন্তু আকালু তো জীবনভর পস্তেই যাচ্ছে, হয়তো ওর ভবিতব্য! ফজর নামাজ পড়েই মেম্বার পরিষদে আসে। প্রথম সাক্ষাতে মেম্বারকে জানাতে হবে। খাঁড়ির জমিটুকুর জন্য যে গত মাসের আগের মাসে খুনোখুনির মতো একটা কিছু ঘটে গেছে, তার মামলার দিন পড়েছে, তাকে সদরে যেতে হবে। মামলা-মোকদ্দমা বলে কথা! ওই জায়গায় কেউ কি নিজের ইচ্ছেয় যেতে চায়। তারপরও যেতে হয়, ঠেকায় পড়ে। আকালু শেখ সাধারণত কারও সাতপাঁচে থাকে না বটে; কিন্তু বিপদ পিছু ছাড়ে না তার। সবকিছুতেই সে জ...
ধ্রুব নীলের পরাবাস্তব হরর গল্প : টোপ 

ধ্রুব নীলের পরাবাস্তব হরর গল্প : টোপ 

Stories
ধ্রুব নীলের আধিভৌতিক পরাবাস্তব হরর গল্প টোপ  ‘আপনারে একটা জিনিস দেখাব। ভয়ানক জিনিস।’ধীরে, গুছিয়ে ও তাগাদা চাপা দেওয়ার কৃত্রিম চেষ্টা করে কথাটা বলল লোকটা। মুখে চওড়া হাসি টেনে বোঝানোর চেষ্টা করছে, কথাটা শুনে যেন গ্রামে বেড়াতে আসা খ্যাতনামা অভিনেতা অরিন্দম চক্রবর্তী তাকে পাগল না ভেবে বসে। যদিও এমনটা ভাবার বিশেষ কারণ ছিল না এবং লোকটার গায়ের ছেঁড়া চাদর ও উঁচু-নিচু হয়ে থাকা প্যান্ট দেখে যে তাকে উদ্ভটই ভাবতে হবে, এমন কথা নেই।‘জি দেখব।’লোকটা আরও বিনয়ী হওয়ার চেষ্টা করল এবং এ কাজে চওড়া কৃত্রিম হাসিই যেন একমাত্র সম্বল। সে চাইলে চাদরটা আরও শক্ত করে জড়িয়ে, হাত ঘষাঘষি করে মাথা নিচু করে এবং অকারণে পাখির ডাকের মতো শব্দ করে থুথু ফেলে পরিবেশ পাল্টে দিতে পারে মুহূর্তে। কিন্তু অরিন্দম চক্রবর্তীর কথার কোনে লুকিয়ে থাকা শ্লেষটা ধরতে পারল না। কোথায় কখন আসতে হবে, তা না জেনেই ‘যাবে’ বলেছ...
রক্তখেলা | পর্ব ১ | ধারাবাহিক থ্রিলার গল্প

রক্তখেলা | পর্ব ১ | ধারাবাহিক থ্রিলার গল্প

Stories
ছয় জগতের ছয়জন মানুষ। আচমকা একদিন আটকা পড়েছেন একটি ঘরে। সেখানে বেজে চলেছে একটি রেকর্ডিং। বদ্ধ সেই ঘরে নেই কোনো খাবার। আছে শুধু ছয়টি পানির বোতল। ভেতরের ছয়জনকে খেলতে হবে একটি খেলা। যে খেলার ফল ঠিক করে দেবে ছয়জনের মধ্যে কারা শেষ পর্যন্ত বেঁচে থাকবে। গল্পটি লিখেছেন জনপ্রিয় গল্পকার ধ্রুব নীলএই লেখকের সমস্ত বই পাবেন এই লিংকে ধ্রুব নীলের রক্তখেলা ( রহস্য ও থ্রিলার গল্প ) পর্ব-১কাবাডি ‘আসুন আমরা একটা খেলা খেলি। খেলার নাম কাবাডি। নিয়মটা হলো…।’‘কে!’যে চেঁচিয়ে উঠল তার ঘুম ভেঙেছিল সবার আগে। টিমটিমে একটা টিউবলাইটের আলোয় চোখ সয়ে আসার পর কোটের ধুলো ঝাড়তে ঝাড়তে পুরোনো ঘরটার মলিন আসবাব ও ছুড়ে ফেলা জামাকাপড়ের মতো দলা পাকিয়ে থাকা বাকি দেহগুলোও তার নজরে আসে। শুনতে পায় রেডিওর অনুষ্ঠানে বিরতিতে বেজে ওঠা স্টিংগারের মতো মিউজিক। এরপর রেকর্ড করা কণ্ঠ- ‘আসুন আমরা একটা খেলা খেলি…।’‘কে কথা বলে! বেরিয়ে আসেন।...
গল্প: গুম

গল্প: গুম

Stories
আমি ভাবছিলাম রসুনরঙের দিনগুলোর কথা। যখন রোদের আলো তেরছাভাবে এসে পড়ত মানুষের গায়ে আর রসুনের ক্ষেতে। মানুষ নিজে এ রোদ থেকে বাঁচতে চাইলেও রসুনের ক্ষেতকে থাকতে দিতে চাইত এ রোদের তলেই। এরপর রসুনগুলো তাদের বার্ধক্যের কাছাকাছি এলেই এনে জড়ো করা হতো পুরাতন পৃথিবীতে বেড়ে ওঠা কোনো এক ঘরে। সেই ঘরের ওপরের দিকে ছনের চালার ঠিক নিচে, আগে থেকে বেঁধে রাখা বাঁশের কাঠামোর মধ্যে গিট্টু দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হতো। আর একটা বালক পথ ভুলে সেই পুরাতন পৃথিবীর ঘরটাতে গিয়ে তাকাত ঝুলন্ত রসুনগুলোর দিকে। রসুনের ঝাঁজ নাকে প্রবেশ করতেই তার মনে হয়েছিল, একদিন সে এই গন্ধের কথা বলবে সবাইকে। ঠিক এ সময় আমার পাশের খালি সিটটিতে আমারই বয়সী একটা লোক এসে বসলে আমি তাকাই তার দিকে। তাকে আমার পরিচিত কেউ মনে হয় না। যদিও আমরা একই শহরে যাব, শুধু আমরা না, এ বাসের সব যাত্রীই। তবুও কাউকেই আমার পরিচিত মনে হয় না। আমি প্রতিবারই বাস...
ধ্রুব নীলের আধিভৌতিক হরর গল্প : তিনি

ধ্রুব নীলের আধিভৌতিক হরর গল্প : তিনি

Stories
আধিভৌতিক হরর গল্প : তিনি ধ্রুব নীল চুলায় ডাল ফুটে উঠতেই রাবেয়ার বুক কাঁপতে শুরু করে। বারবার মিলির দিকে তাকায়। মনের মধ্যে কু-প্রশ্ন ভর করে—এই ডাল যদি মিলির গায়ে ছিটকে পড়ে! মিলি রাবেয়ার একমাত্র মেয়ে। বয়স ছ-সাত হবে। মিলি চায় রাতের বেলায় মায়ের পাশে গুটিসুটি মেরে বসবে আর মাটির চুলায় লাকড়ি ঠেলবে। রাবেয়া সেটা হতে দেয় না। কড়া ইশারায় মিলিকে বুঝিয়ে দিল চুলার আসপাশ আসলে তার পিঠে লাকড়ি ভাঙা হবে। রাবেয়া নিজেও জানে তার এ ভয় অহেতুক। ফুটন্ত ডাল খামাকা মেয়ের গায়ে পড়বে কেন? ‘আম্মা, একটা হিয়াল।’ ‘কোনো দিক যাবি না কইলাম। চুপচাপ ঘরে বইসা থাক। কোন দিকে হিয়াল?’ ‘জানি না।’ ‘কই দেখছস? সামনে যাইস না কইলাম।’ ‘ঘরের পিছে। ডেউয়া গাছের তলায়।’ রাবেয়ার মনে হলো তার লাফিয়ে উঠে এগিয়ে যাওয়া উচিত। কিন্তু নড়তে পারল না। হাত-পা অবশ লাগছে। চোখ বন্ধ করে দোয়া-দুরুদ...

Please disable your adblocker or whitelist this site!

error: Content is protected !!