Sunday, May 5
Shadow

Tag: গল্প

রোমান্টিক থ্রিলার গোয়েন্দা উপন্যাস: ছায়া এসে পড়ে পর্ব-৩

Stories
রোমান্টিক-থ্রিলার গোয়েন্দা উপন্যাস: ছায়া এসে পড়ে পর্ব-৩ রোমান্টিক থ্রিলার ঘরানার বইটি মধ্যবয়সী পুরুষ তৈয়ব আখন্দকে ঘিরে। জীবন সংসারের প্রতি খানিকটা উন্নাসিক কিন্তু বুদ্ধিমান এ মানুষটা পালিয়ে বেড়াতে চায়। কিন্তু আচমকা টাঙন নদী ঘেঁষা গ্রাম পদ্মলতায় এসে সে আটকা পড়ে চাঁদের আলোয় ঝুলতে থাকা একটা লাশ আর লাবনীর জালে। তৈয়ব নিজেকে বের করে আনার চেষ্টা করে। চলতে থাকে জড়িয়ে পড়া ও ছাড়িয়ে আনার মাঝে এক সমঝোতা। রোমান্টিক প্রেমের গল্প ও একই সঙ্গে থ্রিলার স্বাদের উপন্যাস ছায়া এসে পড়ে । লেখক ধ্রুব নীল কুরিয়ারে হার্ড কপি পেতে এই পেইজে অর্ডার করুন   ছায়া এসে পড়ে ছায়া এসে পড়ে পর্ব -১  এর লিংক ছায়া এসে পড়ে পর্ব -২  এর লিংক     ৩ সন্ধ্যা পর্যন্ত কিছুই ভাবলো না তৈয়ব। জ্বর একবার আসে একবার যায়। চোরা জ্বর। ঘাপটি মেরে বসে থাকে। জ্বর গায়ে গ্রামে টোঁ টোঁ করতে ভালোই লাগছে। মিনু থা...
রোমান্টিক-থ্রিলার গোয়েন্দা উপন্যাস: ছায়া এসে পড়ে পর্ব-২

রোমান্টিক-থ্রিলার গোয়েন্দা উপন্যাস: ছায়া এসে পড়ে পর্ব-২

Stories
রোমান্টিক-থ্রিলার গোয়েন্দা উপন্যাস: ছায়া এসে পড়ে পর্ব-২ রোমান্টিক থ্রিলার ঘরানার বইটি মধ্যবয়সী পুরুষ তৈয়ব আখন্দকে ঘিরে। জীবন সংসারের প্রতি খানিকটা উন্নাসিক কিন্তু বুদ্ধিমান এ মানুষটা পালিয়ে বেড়াতে চায়। কিন্তু আচমকা টাঙন নদী ঘেঁষা গ্রাম পদ্মলতায় এসে সে আটকা পড়ে চাঁদের আলোয় ঝুলতে থাকা একটা লাশ আর লাবনীর জালে। তৈয়ব নিজেকে বের করে আনার চেষ্টা করে। চলতে থাকে জড়িয়ে পড়া ও ছাড়িয়ে আনার মাঝে এক সমঝোতা। রোমান্টিক প্রেমের গল্প ও একই সঙ্গে থ্রিলার স্বাদের উপন্যাস ছায়া এসে পড়ে । লেখক ধ্রুব নীল কুরিয়ারে হার্ড কপি পেতে এই পেইজে অর্ডার করুন ছায়া এসে পড়ে পর্ব -১  এর লিংক ২ তৈয়বের দ্বিতীয়বার ঘুম ভাঙলো ভরদুপুরে।প্রথমবার ভাঙে ভোরের আলো ফোটার আগে। লাশের পাশের গাছতলায়। লাশটা তখনও ঝুলছিল। সারা গায়ে কাদামাটি নিয়ে ঢুলতে ঢুলতে তৈয়ব আসে হাউসের কাছে। রাতে বৃষ্টির পানিতে ভরে চুপচুপে ওটা। তাতেই দিল ঝা...
রোমান্টিক-থ্রিলার উপন্যাস : ছায়া এসে পড়ে পর্ব-১

রোমান্টিক-থ্রিলার উপন্যাস : ছায়া এসে পড়ে পর্ব-১

Stories
রোমান্টিক থ্রিলার ঘরানার বইটি মধ্যবয়সী পুরুষ তৈয়ব আখন্দকে ঘিরে। জীবন সংসারের প্রতি খানিকটা উন্নাসিক কিন্তু বুদ্ধিমান এ মানুষটা পালিয়ে বেড়াতে চায়। কিন্তু আচমকা টাঙন নদী ঘেঁষা গ্রাম পদ্মলতায় এসে সে আটকা পড়ে চাঁদের আলোয় ঝুলতে থাকা একটা লাশ আর লাবনীর জালে। তৈয়ব নিজেকে বের করে আনার চেষ্টা করে। চলতে থাকে জড়িয়ে পড়া ও ছাড়িয়ে আনার মাঝে টানাপড়েন। রোমান্টিক থ্রিলার প্রেমের গল্প ও একই সঙ্গে থ্রিলার স্বাদের উপন্যাস ছায়া এসে পড়ে । লেখক ধ্রুব নীল কুরিয়ারে হার্ড কপি পেতে এই পেইজে অর্ডার করুন   প্রথম পর্ব ১ ‘তৈয়ব সাহেব, জলদি নিন। সময় নেই।’ খামটা টেবিলে রেখে হেলান দিয়ে চোখ বুঁজলেন ম্যানেজার। তৈয়ব আখন্দের বলতে ইচ্ছে করলো, সময় কারওরই থাকে না। আপনার মতো ম্যানেজারেরও না, আবার বদরুল চোরেরও না। চুরির দায়ে কিছুদিন আগে চাকরি যায় অফিসের পিয়ন বদরুলের। তবে বসের চোখ বন্ধ করা দেখে মনে হচ্ছে তিন...
SSC Math Model Test MCQ Chapter 7 এসএসসি গণিত অনুশীলনী ৭ এমসিকিউ

SSC Math Model Test MCQ Chapter 7 এসএসসি গণিত অনুশীলনী ৭ এমসিকিউ

Education, এসএসসি গণিত, নবম-দশম, মাধ্যমিক
SSC Math Model Test MCQ Chapter 7 এসএসসি গণিত মডেল টেস্ট এমসিকিউ অধ্যায় ৭   নবম দশম শ্রেণির গণিতের এমসিকিউ মডেল টেস্ট উত্তরসহ অধ্যায় ৭ নিয়ে বিস্তারিত রইলো নিচে। নবম-দশম মেনুতে বাকি অধ্যায়গুলোর এমসিকিউ মডেল টেস্ট ও সাবজেকটিভ মডেল টেস্ট প্রশ্ন উত্তর পাওয়া যাবে। এসএসসি গণিত মডেল টেস্ট নবম দশম শ্রেণির সকল সাবজেক্টের মডেল টেস্টও এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। মেনু ধরে কিংবা সার্চ বক্সে খুঁজলেই পাওয়া যাবে। এসএসসি পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক আলোচনাও থাকবে। For SSC math MCQ solution chapterwise read the pdf and you can get several other SSC math model test questions below. If you need anything else, try our search box. Class 9-10 Full Mathematics solutions with model tests can be found on this site. So please kindly make “Friend” on this site and you will...
রোমান্টিক গল্প : স্ত্রীর মন বোঝা

রোমান্টিক গল্প : স্ত্রীর মন বোঝা

Stories
অফিসে যাওয়ার জন্য যখন তৈরি হচ্ছিলাম তখন আমার স্ত্রী শ্রাবণী রান্নাঘর থেক কড়াই এনে আমার সামনে রেখে বললো, -"বলো তো কড়াইয়ের মধ্যে কি আছে? " আমি শার্টের বোতাম লাগাতে লাগাতে কড়াইয়ের দিকে তাকিয়ে বললাম, -- পানিই তো মনে হচ্ছে। শ্রাবণী আমার চোখে চোখ রেখে বললো, -" হয় নি, এটা পানি না।এটা বসুন্ধরা সয়াবিন তেল। আমি ৩০মিনিট ধরে আগুনে রেখে গরম করে এনেছি। আমার কথার যদি সোজাসাপ্টা জবাব না দাও, তাহলে এই গরম তেল আমি তোমার শরীরে ঢেলে দিবো।" শ্রাবণীর কথা শুনে আমি ওর সামনে থেকে দুইহাত সরে গিয়ে বললাম, -- কি সব পাগলে মতো কথা বলছো! শ্রাবণী বললো, -"আমি সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের মতোই কথা বলছি। অর্পিতা কে?" -- কোন অর্পিতা? -" যাকে নিয়ে ফেসবুকে আজকাল খুব লেখালেখি করছো?" আমি মুচকি হেঁসে শ্রাবণীকে বললাম, -- আরে এই নামতো আমি এমনি ব্যবহার করেছি। তাছাড়া তুমিই তো সেদিন বলেছিলে আমার ছাইপাঁশ গল্পে তোমার নামটা ...
শিক্ষণীয় গল্প: ছেলেকে যেভাবে মানুষ করতে হয়

শিক্ষণীয় গল্প: ছেলেকে যেভাবে মানুষ করতে হয়

Stories
(একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা, লিখেছেন সুরাইয়া শারমিন) আমি একজন বিধবা মহিলা আমার বয়স এখন ৬০ বছর। আমি স্কুল শিক্ষিকা ছিলাম। আমার একটা-ই ছেলে যার বয়স এখন ৩৬ বছর। ওর নাম আশিক আদনান দিপ ও থাকে অষ্ট্রেলিয়া। আমার হাজবেন্ড যখন মারা যায় তখন আমার বয়স ৪০ বছর। আর আমার ছেলে আশিক আদনান দিপ যাকে আমি দিপ বলে ডাকি ওর বয়স তখন ১৬ বছর। ছেলে কে আমি একা একা বড় করেছি। নিজে কষ্ট করেছি, কখনো ছেলেকে কোন কিছুর অভাব বুঝতে দেই নাই। সব সময় চেয়েছি ওর সব চাহিদা মেটাতে। কখনো যেন না ভাবে - আমার বাবা থাকলে এ-ই চাহিদাটা পূরণ হতো। বাবা নাই বলে এটা পাচ্ছি না। ছেলে কে দেশের সব চাইতে ভালো স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়িয়েছি। তারপর ছেলে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়ে চলে গেলো অষ্ট্রেলিয়া । সব খরচ একা হাতে সামলিয়েছি। নিজের দিকে একদম খেয়াল করিনি। সব সময় দেখতে চেয়েছি আমার সন্তানের সফলতা ! তার ভবিষ্যৎ উজ্জল করাই ছিলো আমার জীবনের...
রোমান্টিক গল্প: হা কপাল

রোমান্টিক গল্প: হা কপাল

Stories
রোমান্টিক গল্প: হা কপাল। লেখক: বকুল রায় রাস্তায় কোন সুন্দরী মেয়েকে হাঁটিয়া যাইতে দেখিলে সবাই তাহার দিকে তাকাইয়া থাকে। আর আমার কাজ হইলো তাহাদের দিকে তাকাইয়া থাকা, যাহারা কাজ বিহীন এই কাজটা করিয়া থাকেন। বখাটেরা অতি আগ্রহের সহিত তাকাইলেও তাহাদের আগ্রহ ততক্ষণই থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত মেয়েটা তাহাদের দৃষ্টি সীমার মধ্যে থাকে, আর ভদ্রঘরের যুবকদের দেখা যায় খানিক্ষণ হা হুতাশ করিতে, পাইতে গিয়াও কি যেন পাইলনা; এমনি একটা ভাব। আর মধ্যবয়স্কদের আচরন ইহার মোটামুটি বিপরীত বলা চলে। কেহ বা পানের পিক ফেলিবার ছলে, কেহ বা জুতা ঠিক করিবার জন্য খানিকটা বাঁকা হইয়া আড়চোখে কিঞ্চিত পরিমান মুখদর্শন সারিয়া লয়, যেন ইহা তাহাদের একখানি অতি জরুরী কাজ। আবার অনেক প্রবীনদের বলিতে শুনি,“নাহ্, এইবার দেশটা গেল, আর কিছুদিন যাক্, তখন বাবারা বুঝবে, মেয়েছেলেদের আর তখন বেঁধেও রাখা যাবেনা” “নাহ্ ভাই মেয়েছেলে বের হয়েছে বলেই তো আজ এ পর...
রোমান্টিক গল্প : ইমার জন্য অপেক্ষা

রোমান্টিক গল্প : ইমার জন্য অপেক্ষা

Stories
টার্গেট মিস হলেই প্রবাল সেন ক্ষ্যাপা যুবক। চোখের মণিতে যেন ফণা ওঠে। টার্গেট থেকে চোখ না সরিয়েই আলগোছে সরিয়ে দেয় হোগলার জঙ্গল। তারপর ফের মনযোগ। নিশানা করার কাঁটা, বন্দুকের ট্রিগারের উপর সূক্ষ্ম গিরিখাত, আর প্রবাল সেনের চোখ; সব মিলে মিশে একাকার। প্রায় অসীম সময় নিয়ে দম ছাড়তে ছাড়তে এক পর্যায়ে ট্রিগারে চাপ। সাদা বকটা মুহূর্তে লাল। প্রবাল সেনের বয়স ধপ করে বেড়ে চল্লিশ। কল্পনায় নিজের মুখে আংশিক বলিরেখাও দেখেন। তবে বন্দুক হাতে জোবারপাড় গ্রামে ফেরার সময় একটা পর্যায়ে নিজেকে খানিকটা বুড়িয়ে ফেলেন প্রবাল সেন। সুপারি বাগানের যে দিকটায় বড় বড় দুটো তালগাছ আছে, সেখানে ঠিক ঐ বকটার মতো অপেক্ষায় থাকে ইমা। ইমার কাছে নিজের বয়সটা কোনো এক কারণে কখনই মূখ্য ছিল না। যুগ যুগ ধরেই যেন কিশোরি। তবে তার সামনে দাঁড়ানো মাত্রই প্রবাল সেন চল্লিশোর্ধ্ব।   - কি গো শিকারি, আজ খালি হাতে ফিরলে যে! বলেছি না ঘুঘু...
সায়েন্স ফিকশন গল্প : দ্য অ্যাওয়ার্ড

সায়েন্স ফিকশন গল্প : দ্য অ্যাওয়ার্ড

Stories
সায়েন্স ফিকশন গল্প : দ্য অ্যাওয়ার্ড আজকের দিনটা অবশ্যই অন্যরকম। এবং তা কেবল মার্টিনের জন্য। অস্ট্রিক এখনো ব্যাপারটা টের পায়নি। পেলে একগাদা বিশেষণ দিয়ে দিনটাই মাটি করে দিতো। অবশ্য তা অস্ট্রিক চাইলেও হবে না। দিনটা এতোটাই বিশেষ যে তা মাটি হওয়া সম্ভব নয়। মার্টিন নিজেকে স্বাভাবিক রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। তারপরও হাতে আঁকড়ে রাখা সেন্ট্রিনোটা বারবার কেঁপে উঠছে। ওই যন্ত্রটাই তাকে সুখবরটা দিয়েছিল। আসলে মার্টিনের হাতটাই কাঁপছে। সে আজ একটি বিশেষ পুরস্কার পেতে যাচ্ছে। ‘শুভ সকাল মার্টিন। সঙ্গে নববর্ষের শুভেচ্ছা। আজ এক সেগেটা, তিনশ জুলন বর্ষ। আজ তুমি তিন হাজার পাঁচ-এ পা দিয়েছ। হ্যাপি বার্থ ডে।’ অস্ট্রিকের কোলে চেপে বসতেই মৃদু ঝাঁকি খেলো মার্টিন। অন্যদিনের চেয়ে বেশি। তবে গাড়িটার ফোটোনিক ক্যাবল মেরামতের প্রয়োজন আজ অনুভব করলো না। কেননা, আজকের পর থেকে অস্ট্রিককে তার প্রয়োজন হবে না। অস্ট্...
কষ্টের গল্প : লাইটার

কষ্টের গল্প : লাইটার

Stories
কথিত আছে, এই লাইটার দিয়ে নাকি কোন এক ইংরেজ লর্ড তাঁর চুরুট ধরিয়েছিলেন। আজ গুলিস্তানের মোড়ে পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত উক্ত লাইটারখানা দিয়ে রফিক মিয়া তার দিনের দ্বিতীয় বিড়িতে আগুন ধরায়। সরু চেইনের সাথে বাঁধা এই লাইটার সবসময় তার গলায় ঝুলতে দেখা যায়। অদ্ভুত এক লকেটের মত লাগে। দোকানী হা করে তাকিয়ে থাকে। ‘ ভাই, এই মাল কই পাইলেন? রফিক মিয়া ভ্রু কুঁচকে দোকানীর দিকে তাকায়। চোখে স্পষ্ট বিরক্তি। ‘ এইডারে মাল কইবানা! এইডা হইল তাবিজ! জন্মের সময় দাদাজান গলায় পরায়া দিছিলেন। ‘ তাবিজ থেইকা আগুন বাইর হয়! বড়ই তাইজ্জব! রফিক মিয়া আরো উৎসাহ পায়। ‘ তাইজ্জবের দেখছডা কি মিয়া! মাইঝরাতে নিশা উডলে এই তাবিজ ছারা উপায় থাহেনা। ‘ নিশার লগে তাবিজের কি সম্মক্ক?’ দোকানী কিছুটা বিনীত কন্ঠে জিজ্ঞেস করে। রফিক মিয়া জবাব না দিয়ে মৃদু মৃদু হাসে। এই লাইটার দিয়ে বিড়ি ধরালে বিড়িও চুরুটের মত মনে হয় তার কাছে। আকাশের দিকে তাকিয়ে জো...
আধ্যাত্মিক গল্প : অস্তিত্ব

আধ্যাত্মিক গল্প : অস্তিত্ব

Stories
শ্রাবন্তী আয়নার সামনে দাঁড়াতে ভয় পায়। অতিপ্রাকৃত ভয়। নিজেকে কুৎসিত দেখবে এ ভয় তার নেই। তার রূপ বাহুল্যবর্জিত। অবশ্য দেখতে কেমন তা নিয়ে সে বিশেষভাবে কখনো ভাবেনি। তবু সে আয়না দেখে না। আয়নার সামনে দাঁড়ালেই এক অপার্থিব ভয় গ্রাস করে। শ্রাবন্তীর হাইপারটেনশনের সমস্যাও নেই। তবু নিজের প্রতিবিম্ব দেখলেই তার নিঃশ্বাস দ্রুততর হয়। কপাল ঘামে। বুক ধড়ফড় করে। গলার কাছটায় কী যেন আটকে থাকে। বুকের এক কোণে তীব্র ব্যাথাও টের পায়। মনে হয়, যেন একটু পরই মঞ্চে তার ডাক পড়বে তাৎক্ষণিক অভিনয়ের জন্য। আয়না দেখে শ্রাবন্তী প্রথম ভয় পেয়েছিল ক্লাশ ফাইভে পড়ার সময়। আয়নায় নিজের চেহারা না দেখে মৃত দাদীকে দেখেছিল সেদিন। এখন অবশ্য নিজেকেই দেখে। পারতপক্ষে আয়নার মুখোমুখি না দাঁড়ালেও মাঝে মাঝে বেসিনে মুখ ধোয়ার সময় নিজেকে দেখতে হয়। দেখা মাত্রই চমকে উঠে। মনের ভেতর কে যেন বলে, ‘আরে! এতো আমি! আমি..আমি..আমি..’। অনাকাঙ্ক্ষিত এক ...
গল্প : ড্রাইভার

গল্প : ড্রাইভার

Stories
গল্প : ড্রাইভার : লিখেছেন ধ্রুব নীল কারওয়ান বাজারের মুন্সি টি স্টলে চিনি কম চায়ে চুমুক দিতে দিতে হঠাৎ সলিম ড্রাইভারের মাথায় এলো ‘সে সলিম ড্রাইভার হইলো কেন?’ মানে সলিম ড্রাইভারই কেন গাবতলী রুটের সলিম ড্রাইভার হলো। রাস্তা দিয়ে একটু আগে যে বড়লোকের মেয়েটা দমাদম চলে গেল, সলিম মিয়া তো তার ভেতরেও থাকতে পারতো। যার শরীরের দিকে চোখ ড্যাবড্যাব করে চায়ের কাপ হাতে তাকিয়ে থাকত অন্য আরেক সলিম ড্রাইভার। কিন্তু তা হয় নাই। এ নিয়ে অবশ্য সলিম ড্রাইভারের আফসোস নাই। সে ভাবছে, ‘সে হইল সলিমের ড্রাইভার। ওই মাইয়াটা তো আর সলিম ড্রাইভার হওনের মজা বুঝতাসে না।’ ‘বাড়ি গেসিলা?’ মুন্সির প্রশ্নের উত্তরে কোণাকুনি মাথা ঝাঁকালো সলিম। যেন সে গেছে আবার যায়নি। এটা নিয়েও সলিমের চিন্তার শেষ নাই। একসঙ্গে দুটো জিনিস বিশ্বাস করারও মজা আছে। সে যে দুটো জিনিস বিশ্বাস করে তা হচ্ছে, ‘সলিম ড্রাইভার দুই কিসিমের আদমি। এক সলিম ড্রাই...
সায়েন্স ফিকশন উপন্যাস : মায়াদ্বীপ ২৩৯০

সায়েন্স ফিকশন উপন্যাস : মায়াদ্বীপ ২৩৯০

Stories
সায়েন্স ফিকশন উপন্যাস মায়াদ্বীপের গল্প ভবিষ্যতের। একটি দ্বীপ। বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে অনেক দূরে। তবে এর বাসিন্দারা বাঙালি ও গ্রামীণ জীবন যাপন করছে। দ্বীপের শাসনভার এক কোম্পানির হাতে। গ্রামবাসীর কাছে ওই কোম্পানিই হলো সরকার। তারাই সর্বেসর্বা। গ্রামবাসীর কাছে তাদের দ্বীপটাই আস্ত একটা দেশ। বাংলাদেশের অস্তিত্ব সম্পর্কেই তারা জানে না। অন্তু নামে এক সাহসী কিশোরের মনে প্রশ্ন জাগে। সে বেরিয়ে পড়ে দ্বীপ ছেড়ে। আবিষ্কার করে তাদের মতোই আরেকটা দ্বীপ।     পর্ব-১   উত্তর-পূবের সৈকতে বিধ্বস্ত অবস্থায় হারু মাঝিকে দেখতে পেয়ে গ্রামবাসী একটার পর একটা প্রশ্ন করেই যাচ্ছে। ‘তুমি কোথায় ছিলা?’ ‘তুমি কী খাইসো? তোমার হাতে পুটলিতে কী আছে?’ ‘তুমি এত শুকাইয়া গেলা কেন?’ ‘আহারে বেচারা না খাইয়া পেটে পিঠে এক হইয়া গ্যাছে।’ কেউ কেউ এসে একটা কলা কিংবা ডাব এগিয়ে ধরছে। হারু মাঝি কিছুই মুখে ...
গল্প : তৈয়ব আখন্দের মা

গল্প : তৈয়ব আখন্দের মা

Stories
একটি সুপ্রতিষ্ঠিত বীমা কোম্পানির জন্য দিন রাত গ্রাহকের সন্ধান করলেও তৈয়ব আখন্দকে সহসা বীমার দালাল বলে মনে হয় না। পরিপাটি ফতুয়ার ওপর মাফলার জড়িয়ে আয়নায় নিজের গোলাকার মুখখানি দেখে তৈয়ব আখন্দের মনে নতুন ভাবনার উদয় হয়। তৈয়ব আখন্দ আসলে আয়নায় কোনোদিন নিজের চেহারা দেখেনি। হয় চুল দেখেছে না হয় শেভ করা গাল। আজ সেসবের কিছুই দেখলো না। কেবলই অভ্যাসবশত আয়না দেখা। ফোনটা বেজে উঠতেই সেটার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে চল্লিশে পা দেওয়া তৈয়ব আখন্দ। মায়ের ফোন। যথারীতি ফোন রিসিভ করে তৈয়ব আখন্দ বলে ‘আম্মা।’ তৈয়ব আখন্দের চেহারার পরিবর্তন ও হুঁ হাঁ বলার ধরন দেখে আমরা জানতে পারি যে ওপাশ থেকে বৃদ্ধা বলছেন, ‘ও তৈয়ব, রওনা দিসস? বেলা থাকিতে আইয়া পড়। দেরি হইয়া গেলে মুসিবত।’ তৈয়ব আখন্দ ‘আইতাসি, সবুর কর।’ বলে ফোনটা রেখে আবার আয়নায় নিজের দিকে তাকাল। ভাবছে অতীতের কথা। অতীত যে কোনদিন অতীত হয়ে গেল, সেটাই ভাবার বিষয়। সময় জিনিস...
গল্প : বোয়াল মাছ এবং গাছ বন্ধুর গল্প

গল্প : বোয়াল মাছ এবং গাছ বন্ধুর গল্প

Kidz, Stories for Kids
চন্দনকৃষ্ণ পাল ১. বিলাস নদী পাহাড় থেকে নেমে একে বেঁকে প্রথমে যে গ্রামটিকে ছুঁয়েছে তার নাম হরিণাকান্দি।খুব সুন্দর এ গ্রাম।সামনে তাকালে দূরে কালচে পাহাড় । বামে তাকালে হাইল হাওরের নীল জল।আকাশ ছোঁয়া নীল জলের হাওরে কত মাছ আর জলজ প্রাণী যে আছে, তার কোন হিসেব নেই বোয়াল পরিবারের ছোট ছেলে টুনুর কাছে। টুনুদের বাস বাইক্কা বিলে।বাইক্কা বিলে মাছ ধরা নিষেধ। তাও মাঝে মাঝে মাছ চোররা হামলা করে। টুনুরা বিলের গভীরে থাকায় বেঁেচে যায়। জন্মের পর গত একবছরে বিলের সব গলি ঘুপচি বেড়ানো শেষ টুনুর । ওর ইচ্ছা একবার বিলের বাইরে কোন নদী ধরে অনেক দূর যাবে। কিন্তু সবাই ভয় দেখায়। বলে বিলের বাইরে অনেক বিপদ।সবচেয়ে বড় বিপদ মানুষ। সব ধরনের মাছই মানুষের প্রিয় খাদ্য। তাই মানুষের চোখে পড়লে আর রক্ষা নাই। দাদুর কাছে টুনু নদীর গল্প শুনেছে।দাদুই একমাত্র বোয়াল যে নদী বেড়িয়ে আবার বিলে ফিরে এসেছেন।টুনু ভাবে ও ঠিকই নদী দেখতে যাবে।এতো ভয়...

Please disable your adblocker or whitelist this site!

error: Content is protected !!