made in china Archives - Mati News
Friday, December 5

Tag: made in china

মেড ইন চায়না : ফুচিয়ান বিমানবাহী রণতরী

মেড ইন চায়না : ফুচিয়ান বিমানবাহী রণতরী

China
চীনের সমুদ্রসীমায় যখন ভোরের আলো প্রথম ছড়িয়ে পড়ে, তখন নীল জলরাশির ওপর জেগে উঠতে শুরু করে সুবিশাল এক ছায়া। ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয় মহাকাব্যিক এক অস্তিত্ব। চীনের নবযুগের প্রতীক—ফুচিয়ান এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার। সুবিশাল এই জাহাজ যেন এক চলমান দ্বীপ, যার বুক চিরে জেগে ওঠে উড়ে যাওয়ার দুর্দান্ত প্রত্যয়। পৃথিবীতে মাত্র দুটি দেশ তৈরি করতে পেরেছে এ ধরনের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার, যার একটি হলো—চীন। ফুচিয়ান প্রদেশের নামেই নাম রাখা হয়েছে এই বিমানবাহী রণতরীর। এর আরেক নাম টাইপ ০০৩। বিমানবাহী নৌযানটি ২০২২ সালের ১৭ জুন চীনের স্টেট শিপবিল্ডিং কর্পোরেশন-এর চিয়াংনান শিপইয়ার্ডে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। এরপর থেকে ৮০ হাজার টন ওজনের জাহাজটি নিয়ে শুরু হয় নানা পরীক্ষা ও মহড়া। অবশেষে ২০২৫ সালের ১২ নভেম্বর হাইনান প্রদেশের সানইয়া বন্দরে এক জমকালো অনুষ্ঠানে ফুচিয়ান রণতরীর হাতে আন...
চীনের মহাকাশজয়ের গর্বের প্রতীক থিয়ানওয়েন-১

চীনের মহাকাশজয়ের গর্বের প্রতীক থিয়ানওয়েন-১

China
মানুষ যুগের পর যুগ আকাশে তাকিয়েছে প্রশ্ন নিয়ে। রাতের আঁধারে ছড়িয়ে থাকা অনুচ্চারিত নক্ষত্রলিপি যেন প্রশ্নের পর প্রশ্ন রেখে যায় মানুষের মনে। ‘কী আছে ওখানে?’ ‘পৃথিবীর বাইরে কি আছে আর কোনো জীবনের আলো?’ এই অনন্ত প্রশ্নকে চীনারা দিয়েছেন এক কাব্যিক নাম—থিয়ানওয়েন, যার অর্থ হলো মহাকাশকে প্রশ্ন। আর চীনা কবি ছু ইয়ুয়ানের প্রাচীন কবিতা থেকে নেওয়া নামটি এখন চীনের মহাকাশ অনুসন্ধান অগ্রযাত্রার আধুনিক প্রতীক। এই নামেই চীন পরিচালনা করছে মহাকাশ অনুসন্ধান কার্যক্রম। মঙ্গল গ্রহ, গ্রহাণু, ধূমকেতু, এমনকি বৃহস্পতি পর্যন্ত অভিযাত্রার স্বপ্ন নিয়ে এগোচ্ছে চীনের মিশন থিয়ানওয়েন। চীনের জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন সিএনএসএ ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের গ্রহ অনুসন্ধান প্রকল্প হিসেবে থিয়ানওয়েন নামটি ঘোষণা করে।  এ কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য হলো সৌরজগতের গ্রহগুলোর ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস অনুসন্ধান, পানি, খনিজ ও জৈ...
মেড ইন চায়না: সয়াবিন তেল

মেড ইন চায়না: সয়াবিন তেল

China
সকালের নাস্তার ডিম থেকে শুরু করে দুপুরের খাবারে একখানা কুড়মুড়ে ভাজা মাছ, বিকেল হতেই একটুখানি সিঙ্গাড়া বা আলুর চপের মতো মুখরোচক একটা কিছু তো চাই। আবার রাত হলে দামি রেস্তোরাঁর ফ্রায়েড চিকেন বলুন বা নিজের বাসায় বানানো নিতান্তই আলু ভাজা.. খাবারটা দামি হোক কিংবা সস্তা, একটা বস্তু কিন্তু সবকিছুতেই হাজির। ওটা ছাড়া এসব খাবারের কথা ভাবাই যাবে না। বলছিলাম, ভোজ্য তেলের কথা। আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে নামটা হলো সয়াবিন তেল। আজ থেকে প্রায় তিন হাজার বছর আগে বিশ্বে প্রথম সয়াবিন তেল দিয়ে রান্না হয়েছিল চীনে। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের রান্নাঘরে স্থায়ী আসন তৈরি করে নেওয়া সয়াবিন তেল পুরোপুরি মেড ইন চায়না। কৃষিজাত পণ্য হিসেবে সয়াবিনের ব্যবহার হাজার পাঁচেক বছর আগে হলেও তিন হাজার বছর আগে চীনের শাং রাজবংশের শেষের দিকে আবির্ভাব ঘটে সয়াবিন তেলের। ওই সময়কার চীনা ক্লাসিক কবিতা সংকলন শি চিন-এও...
চীনের আবিষ্কার: সারি করে চাষ

চীনের আবিষ্কার: সারি করে চাষ

Agriculture Tips, China
চীনের আছে সমৃদ্ধ কৃষির ইতিহাস ও ঐতিহ্য। দেশটির এমন অনেক উদ্ভাবন রয়েছে যা বিশ্বব্যাপী কৃষিতে এনে দিয়েছে নতুন মাত্রা। এর মধ্যে অন্যতম হলো সারি চাষের পদ্ধতি, যা ফসল উৎপাদন এবং টেকসই চাষাবাদের ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছিল। প্রাচীন চীনের কৃষকদের উদ্ভাবিত এ পদ্ধতি কৃষির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁক হিসেবে বিবেচিত। এমনকি চীন থেকে এ সারি করে চাষ করাটার কৌশল চলে যায় সারা বিশ্বে। এখন আমাদের ক্ষেতে খামারে গেলে দেখতে পাবো গাছগুলো সব সারি আকারে বেড়ে উঠছে। প্রাচীন চীনে সারি চাষের ধারণা প্রথম চালু হয় খ্রিস্টপূর্বাব্দ ৬ষ্ঠ শতক তথা আজ থেকে ছাব্বিশ শ বছর আগে চৌ রাজবংশের সময়। এর প্রায় দুই হাজার দুই শ বছর পর এ পদ্ধতির সন্ধান পায় ইউরোপীয়রা। চৌ রাজবংশের আমলে প্রাচীন চীনা কৃষি গ্রন্থ, ছি মিং ইয়াও শু’তে সারি করে চাষের নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতির বিস্তারিত উল্লেখ আছে। এই পদ্ধতিটি কৃষকের নিবিড় পর্যবেক্ষ...
চীনের বিস্ময় সুপারঅ্যাপ উইচ্যাট

চীনের বিস্ময় সুপারঅ্যাপ উইচ্যাট

China
বেইজিংয়ের ব্যস্ত বিকেল। দোকানের সামনে সারি। কাঁচাবাজারে চলছে দরদাম। এমন সময় একজনের ইচ্ছে হলো একটি মাত্র আপেল কেনার। কিন্তু পকেটে নেই খুচরো টাকা। ক্রেডিট কার্ড? সেটাও ধরুন নেই। ফোন বের করে একটি কিউআর কোড স্ক্যান করতেই ঝটপট হয়ে গেল পেমেন্ট। ক্রেতা খুশি মনে নিয়ে গেলেন আপেল। দোকানিকে দিতে হলো না কোনো ছাড়। আবার ধরুন চীনের সাজানো গোছানো সড়কের পাশে সারি করে রাখা সাইকেল। চালাতে গেলে গুনতে হবে ভাড়া। কিন্তু এসব সাইকেলের নেই কোনো পাহারাদার বা ব্যবস্থাপনা স্টেশন। সাইকেলে প্রিন্ট করা আছে শুধু একটি কিউআর কোড। ওটা স্ক্যান করতেই টাকা কাটা গেল একাউন্ট থেকে। খুলে গেল সাইকেলের তালা।  এভাবেই নিরবে এক প্রাযুক্তিক বিপ্লব ঘটে গেলো চীনে। যে বিপ্লবের পেছনে আছে ছোট্ট একটি নাম—উইচ্যাট। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত স্বয়ংসম্পূর্ণ সুপারঅ্যাপ এটি। চীনের তৈরি অ্যাপটি বার্তা আদান-প্রদান, অডিও-ভিডিও কল থ...
মেড ইন চায়না: কোয়ান্টাম কমিউনিকেশন

মেড ইন চায়না: কোয়ান্টাম কমিউনিকেশন

China, Education, সাধারণ জ্ঞান
কোয়ান্টাম কমিউনিকেশন হলো এমন এক প্রযুক্তি যা কোয়ান্টাম মেকানিক্সের মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে যোগাযোগ স্থাপন করে। কোয়ান্টাম কমিউনিকেশন সিস্টেম মূলত কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গলমেন্ট এবং কোয়ান্টাম সুপারপজিশন নামের প্রকৃতির দুটি চমৎকার ও অদ্ভুত নিয়মের ওপর নির্ভর করে তৈরি করা হয়। প্রথমেই সহজ করে বলা যাক সুপারপজিশন নিয়ে। প্রচলিত ডিজিটাল পদ্ধতি কাজ করে বাইনারি বিট নিয়ে। যার মান শূন্য বা ১ হতে পারে। কিন্তু কোয়ান্টাম কমিউনিকেশন কাজ করে কিউবিট নিয়ে। এই কিউবিট হলো মূলত একটি অতিক্ষুদ্র কণার এমন এক অবস্থা, যা একই সঙ্গে দুটো দশায় থাকতে পারে। অর্থাৎ ওই কণার ভেতর ০, ১ এবং ০ ও ১ এর একটি মিশ্র সম্ভাবনাময় দশা থাকতে পারে। একই সঙ্গে থাকা অবস্থাটিই হলো কিউবিটের তৃতীয় দশা বা সুপারপজিশন। একটি কিউবিটকে একবার পর্যবেক্ষণ করা হলেই সেই সুপারপজিশন বা কোয়ান্টাম দশাটি কিন্তু নষ্ট হয়ে যায়। তখন এটি সাধার...
চীনের আবিষ্কার আইসক্রিম

চীনের আবিষ্কার আইসক্রিম

China
নাম শুনলেই জড়িয়ে ধরে এক ঝাঁক শীতলতা। আর মুখে দিলে তো কথাই নেই। তুলতুলে মিষ্টি বরফের শিহরণ জাগানো এক গল্পের শুরু যেন। বিশ্বজুড়ে স্বাদের বিস্ময় হয়ে ঘুরে বেড়ায় হাতে হাতে। আর এই বিস্ময়ের জন্ম হয়েছিল প্রায় তিন হাজার বছর আগে প্রাচীন চীনে। আজ আমরা যাকে 'আইসক্রিম' নামে চিনি, সেই জমাট মিষ্টির প্রথম ছোঁয়া লেগেছিল চীনের রাজপথ আর নির্জন প্রাসাদবাগানে। তখন ছিল না কোনো ফ্রিজ, ছিল না আধুনিক মেশিন—তবু চীনের রাজদরবারে তৈরি হয়েছিল দুধ, চাল, মধু আর তুষারের অপূর্ব মিশ্রণে এক শীতল অভিজাত খাবার। চীনের এই প্রাচীন কৌশল পরে ইউরোপ, আরব, এবং এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে নানা রূপে নানা স্বাদে। এমনকি এক পর্যায়ে উপমহাদেশের মোগল রাজদরবারকেও মাতিয়ে তোলে আইসক্রিম। আইসক্রিম শুধু খাবারের জগতেই নয়, সভ্যতার বিনিময়ে সাংস্কৃতিক সংযোগেরও এক মিষ্টি প্রতীক। এবার কড়া নাড়া যাক আইসক্রিমের সুপ্রাচীন ইতিহাস...
চীনের আবিষ্কার: ছুইওয়ান খেলা

চীনের আবিষ্কার: ছুইওয়ান খেলা

China
এ খেলা খেলতে চাই দুটো জিনিস। একটি বল ও সেটাকে আঘাত করার জন্য একটা লাঠি। এরপর কাজটা হলো লাঠি দিয়ে আঘাত করে বলটাকে ফেলা চাই একটা গর্তে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, ছুইওয়ানের সঙ্গে মিল আছে আধুনিক গলফ খেলার। তাই অনেকের মতে ছুইওয়ানই হলো গলফের আদিপুরুষ। আর এই ছুইওয়ান পুরোপুরি মেড ইন চায়না। আজ থেকে প্রায় হাজার বছর আগের কথা। চীনে তখন সোং রাজবংশের শাসন চলছে। ওই সময় ছিলেন ওয়েই তাই নামের এক বিখ্যাত চীনা ইতিহাসবিদ। তোংসুয়ান লু নামে তিনি একটি বই লেখেন। সেই বইতে বর্ণনা করা হয়েছে কী করে দক্ষিণের একজন কর্মকর্তা তার মেয়েকে শিখিয়েছেন মাটিতে গোল করে গর্ত খুঁড়ে তাতে বল ফেলে লক্ষ্যভেদ করতে হয়। ওয়েই তাইয়ের লেখার কারণে খেলাটি তখন সোং রাজবংশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। চীনের ছুইওয়ান সম্পর্কে জানার জন্য সর্বশেষ নথি ছিল ১৫ শতকের মিং রাজবংশের দুটি চিত্রকর্ম। শানসি প্রদেশের হোংতোংয়ে একটি ওয়াট...
চীনের আবিষ্কার : স্টার ফ্রাই | Made In China

চীনের আবিষ্কার : স্টার ফ্রাই | Made In China

China
মানুষ রান্না করে খেতে শিখেছে অনেক অনেক আগে। তবে মজার সব খাবারের রেসিপি এসেছে খুব বেশিদিন হয়নি। তবে এমন এক মজার রান্নার কৌশল আছে, যা কিনা আবিষ্কার হয়েছিল আজ থেকে দুই হাজার বছরেরও বেশি আগে। রান্নার এই ধরনটিকে বলা হয় স্টার ফ্রাইং বা দ্রুত নেড়েচেড়ে ভাজা। এ কৌশলের কারণেই বলা যায় আমাদের রোজকার খাবারের তালিকায় যুক্ত হয়েছে অনেক বেশি সবজি। এমনকি যারা সবজি পছন্দ করেন কম, তারাও কিন্তু স্টার ফ্রাই করা সবজি পেলে মজা করেই খান। রান্না করার জনপ্রিয় এ উপায়টি কিন্তু পুরোপুরি মেড ইন চায়না। প্রচণ্ড উত্তপ্ত কড়াইতে অল্প তেলে দ্রুত নেড়েচেড়ে ভাজাই হলো স্টার ফ্রাইং। চীনা ভাষায় যাকে বলা হয় ছাও। দুই হাজার দুই শ বছর আগে হান রাজবংশের সময় পদ্ধতিটি আবিষ্কার হয়। স্টার ফ্রাইং করা হয় বড়সড় গোলাকৃতির কড়াইতে। এটাও বলে রাখা যায় যে, ওই কড়াইটা কিন্তু চীনেরই আবিষ্কার। কেন চীনারা আবিষ্কার করেছি...
মেড ইন চায়না: দিয়াশলাই ও সিসমোগ্রাফ

মেড ইন চায়না: দিয়াশলাই ও সিসমোগ্রাফ

China
হাজার বছর আগের কাগজ ও চা থেকে শুরু করে আজকের প্যাসেঞ্জার ড্রোন, কিংবা নতুন জ্বালানির গাড়ি। সুপ্রাচীনকাল থেকেই বিশ্বসভ্যতা এগিয়ে চলেছে চীনের শক্তিশালী আবিষ্কারের হাত ধরে। নানা সময়ে দারুণ সব আবিষ্কার করে আধুনিক সভ্যতার ভিত গড়ে দিয়েছে চীন। আর সেই সব আবিষ্কার নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজন মেড ইন চায়না।আজকের পর্বে থাকছে চীনের আবিষ্কার দিয়াশলাই ও ভূমিকম্পের মাত্রা শনাক্তকারী যন্ত্র সিসমোগ্রাফের কথা। আগুন আবিষ্কারের পর থেকেই বলা যায় সভ্য হয়েছে মানুষ, পেয়েছে নিরাপত্তা এবং নতুন নতুন খাবারের সন্ধান। আমাদের প্রতিদিনকার জীবনে আদি ও অকৃত্রিম এই আগুন কিন্তু চাই। এখন বেশ সহজ হলেও সভ্যতার শুরু থেকে মাত্র কয়েকশ বছর আগেও কিন্তু আগুন জ্বালাতে সত্যিকার অর্থেই কাঠখড় নিয়ে বেশ কুস্তি লড়তে হতো মানুষকে। আর সেই ঝামেলা থেকে বাঁচাতে আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে প্রথম দিয়াশলাই তৈরি করে মানুষ। ...
মেড ইন চায়না : নেইল পলিশ

মেড ইন চায়না : নেইল পলিশ

China
নিজেকে সাজাতে কে না ভালোবাসে। নিজেকে একটু আলাদা করে উপস্থাপন করতেই দেখা গেল, সেটা আরেকজনের নজর কাড়ছে। আর এভাবেই তৈরি হয় একটি ট্রেন্ড বা ধারা। আর সেই ধারা যখন দিনে দিনে একটি গোষ্ঠী বা বড় অঞ্চলকে প্রভাবিত করে, তখন তা পরিণত হয় ফ্যাশনে। যুগে যুগে নানা ধরনের প্রসাধনী আবিষ্কার হয়েছে এ প্রক্রিয়াতেই। তবে পাঁচ হাজার বছর আগের একটি প্রসাধনী যে এখনও বহাল তবিয়তে টিকে আছে সেটা জানলে অবাকই হতে হয়। বলছিলাম চীনের আবিষ্কার নেইল পলিশের কথা। নথিপত্রে জানা গেল, খ্রিস্টপূর্ব তিন হাজার সাল, অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে চীনের বাসিন্দারা নখে রং লাগাতো। দুই হাজার ছয়শ বছর আগে চৌ রাজবংশের শাসনামলে নখে রং করার সেই ট্রেন্ড বা ধারাটি পরিণত হয় ফ্যাশনে। এখন নেইল পলিশের বাজারে ইউরোপ বা আমেরিকান ব্র্যান্ডগুলো যতই বাজার দাপিয়ে বেড়াক না কেন, নেইল পলিশ কিন্তু পুরোপুরি মেড ইন চায়না। চীনের সবচেয়ে...
মেড ইন চায়না : সয়াবিন তেলের ইতিহাস

মেড ইন চায়না : সয়াবিন তেলের ইতিহাস

China
সকালের নাস্তার ডিম থেকে শুরু করে দুপুরের খাবারে একখানা কুড়মুড়ে ভাজা মাছ, বিকেল হতেই একটুখানি সিঙ্গাড়া বা আলুর চপের মতো মুখরোচক একটা কিছু তো চাই। আবার রাত হলে দামি রেস্তোরাঁর ফ্রায়েড চিকেন বলুন বা নিজের বাসায় বানানো নিতান্তই আলু ভাজা, খাবারটা দামি হোক কিংবা সস্তা, একটা বস্তু কিন্তু সবকিছুতেই হাজির। ওটা ছাড়া এসব খাবারের কথা ভাবাই যাবে না। বলছিলাম, ভোজ্য তেলের কথা। আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে নামটা হলো সয়াবিন তেল। আজ থেকে প্রায় তিন হাজার বছর আগে বিশ্বে প্রথম সয়াবিন তেল দিয়ে রান্না হয়েছিল চীনে। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের রান্নাঘরে স্থায়ী আসন তৈরি করে নেওয়া সয়াবিন তেল পুরোপুরি মেড ইন চায়না। কৃষিজাত পণ্য হিসেবে সয়াবিনের ব্যবহার হাজার পাঁচেক বছর আগে হলেও তিন হাজার বছর আগে চীনের শাং রাজবংশের শেষের দিকে আবির্ভাব ঘটে সয়াবিন তেলের। ওই সময়কার চীনা ক্লাসিক কবিতা সংকলন শি চিন-এও ...
চীনের আবিষ্কার রেশম

চীনের আবিষ্কার রেশম

China
মানুষ প্রথম সভ্য হয়েই গায়ে চাপিয়েছিল পোশাক। কিন্তু আজ থেকে সাড়ে আট হাজার বছর আগে প্রাচীন চীনে নতুন প্রস্তর যুগের একটি সমাধি খুঁড়ে যা পাওয়া গিয়েছিল তা দেখে অনেক ইতিহাসবিদের চোখ উঠে গিয়েছিল কপালে। ওই সময়ই চীনে রেশমের ব্যবহার ছিল বলে জানালেন প্রত্নতাত্তিকরা। পরে সেই রেশমের হাত ধরেই সারা বিশ্বের বস্ত্রশিল্পে আসে আধুনিকতা ও বিলাসিতার ছোঁয়া। কয়েক হাজার বছর পেরিয়ে গেলেও রেশম তৈরির পদ্ধতিতে আসেনি কোনো পরিবর্তন। চীনের দেখানো পথে এখনও রেশমগুটি থেকেই তৈরি হচ্ছে দামি এ বস্তুটি। সাড়ে আট হাজার হোক বা পাঁচ হাজার বছর হোক, চীনেই যে রেশমের জন্ম সেটার কথা লিখে গিয়েছিলেন স্বয়ং কনফুসিয়াস। এ ছাড়া আরও কিছু নথিপত্রেও দেখা যায়, পাঁচ হাজার বছর আগে চীনের কিংবদন্তীর হলুদ সম্রাট বা রাজা হুয়াংতির স্ত্রী সি লিং শিকে বলা হয় রেশম বা সিল্কের আবিষ্কর্তা। সম্রাজ্ঞী সি লিং শির আরেক নাম লেইচু। তিন...
কেমন করে এলো ব্যাংক নোট: মেড ইন চায়না

কেমন করে এলো ব্যাংক নোট: মেড ইন চায়না

China
সূত্র: চায়না রেডিও ইন্টারন্যাশনাল কিছু পেতে হলে তো কিছু দিতেই হবে। শুরু থেকেই এ নিয়মে চলছে মানুষের জীবন। আর এই দেওয়া-নেওয়ার হাত ধরেই ধীরে ধীরে গড়ে উঠতে শুরু করে সভ্যতা। চালু হয় বিনিময় প্রথা। আদিকালে বিনিময় হতো জিনিসপত্র। গরুর বদলে ছাগল নাও, কিংবা হাঁসের বদলে মুরগি। তাতেও ঠিক জমে উঠছিল না লেনদেন। এরপর চালু হয় দামি দামি ধাতু যেমন স্বর্ণ, রূপা বা তামার তৈরি মুদ্রা। বিনিময় ব্যবস্থা সহজ হলো অনেকটা। তবু থেকে গেল কিছু সমস্যা। দেখা গেল কমদামি কোনো একটা বস্তুর সঙ্গে স্বর্ণ বা রৌপ্য মুদ্রার বিনিময় করা যেমন কঠিন, আবার ব্যবসায়ীরাও মুদ্রা দিয়ে পকেট বোঝাই করে এক দেশ থেকে আরেক দেশে যেতে পারছেন না সহজে। এ সমস্যা দূর করতেই আজ থেকে প্রায় ১৪শ বছর আগে চীনে থাং রাজবংশের আমলে চালু হয় কাগুজে নোট। পরে ওই মুদ্রা ছড়িয়ে যায় গোটা বিশ্বে। যে কাগুজে নোটের হাত ধরে ধীরে ধীরে বদলে যেতে থাকে বিশ্ব...
চীনের আবিষ্কার নুডলস : মেড ইন চায়না

চীনের আবিষ্কার নুডলস : মেড ইন চায়না

China
হাজার বছর ধরে পৃথিবীতে টিকে আছে একটি খাবার। এমন কোনো দেশ খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে খাবারটি জনপ্রিয় নয়। স্কুলের টিফিন থেকে শুরু করে সকাল সন্ধ্যা যখন তখন কারণে অকারণে খাওয়া যায় এ খাবার। বলছিলাম, নুডলসের কথা। আজ থেকে প্রায় ৪ হাজার বছর আগে যে খাবারটি আবিষ্কার করে মানুষ। আর এখন সারা বিশ্বে প্রতি বছর কোটি কোটি মানুষ সেই একই স্বাদের নুডলস খাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। সূত্র: সিএমজি বাংলা, প্রতিবেদক: ফয়সল আবদুল্লাহ এক জরিপে দেখা গেছে বছরে শুধু ইনস্ট্যান্ট নুডলসই খাওয়া হচ্ছে প্রায় ১৩ হাজার কোটি প্যাকেট। কোটি কোটি মানুষের নিত্যদিনের এ খাবার নুডলস পুরোপুরি মেড ইন চায়না। ২০০৫ সালের কথা। চীনের একদল প্রত্নতাত্ত্বিক অভিযান চালালেন উত্তর চীনের লাচিয়া আর্কিওলজিক্যাল সাইটে। সেখানে তারা খুঁজে পান একটি বাটির ফসিল। গবেষণায় দেখা গেল ওই বাটিতে ছিল নুডলসের মতো একটি খাবার। অর্থাৎ আজ থেকে ৪ হাজার বছর আগ...