Tuesday, March 19
Shadow

Tag: stories

What is the relation between Edgar Alan Poe and Crow?

What is the relation between Edgar Alan Poe and Crow?

Stories
Edgar Allan Poe, a prominent American writer known for his contributions to the Gothic and macabre genres, maintained a unique and symbolic relationship with the crow in his literary works. The crow, often featured prominently in Poe's poetry and stories, serves as a multifaceted symbol that enriches the themes of death, melancholy, and the mysterious. One of the most notable instances of Poe's use of the crow is found in his renowned poem, "The Raven." Published in 1845, this narrative poem explores the depths of grief and the lingering impact of loss. The raven, a dark and foreboding presence, becomes a symbolic embodiment of the narrator's tortured psyche. As the raven utters the haunting refrain "Nevermore," it serves as a relentless reminder of the protagonist's despair and th...
একটি চাকরির গল্প : এক কোম্পানীতে ছিলো এক পিঁপড়া

একটি চাকরির গল্প : এক কোম্পানীতে ছিলো এক পিঁপড়া

Jokes, Stories
এক কোম্পানীতে ছিলো এক পিঁপড়া। সে প্রতিদিন ৯টায় অফিসে ঢুকতো। তারপর কারো সঙ্গে সময় নষ্ট না করে সঙ্গে সঙ্গে কাজে বসে যেত। সে যে পরিমাণ কাজ করত, তাতে কোম্পানির উৎপাদন হতো প্রচুর এবং এর ফলে সে আনন্দের সঙ্গেই জীবন নির্বাহ করত। ওই অফিসের সিইও সিংহ অবাক হয়ে দেখত, এই পিঁপড়াটি কোনো ধরনের সুপারভিশন ছাড়াই প্রচুর কাজ করছে। সিংহ ভাবল, পিঁপড়াকে যদি কারও সুপারভিশনে দেওয়া হয়, তাহলে সে আরও বেশি কাজ করতে পারবে। কয়েক দিনের মধ্যেই সিংহ একটি তেলাপোকাকে পিঁপড়ার সুপারভাইজার হিসেবে নিয়োগ দিল। সুপারভাইজার হিসেবে এই তেলাপোকাটির ছিল দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, আর সে দুর্দান্ত রিপোর্ট লিখতে পারত।তেলাপোকাটি প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিল, এই অফিসে একটি অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম থাকা উচিত। কয়েক দিনের মধ্যেই তেলাপোকার মনে হলো, তার একজন সেক্রেটারি দরকার, যে তাকে রিপোর্ট লিখতে সাহায্য করবে। … সে একটা মাকড়সাকে নিয়োগ দিল এই কাজে যে ...
মুক্তিযুদ্ধের কিশোর গল্প : বুড়ো আঙুল

মুক্তিযুদ্ধের কিশোর গল্প : বুড়ো আঙুল

Kidz, Stories, Stories for Kids
(মুক্তিযুদ্ধের কিশোর গল্পটি লিখেছেন বাংলাদেশের খ্যাতনামা গল্পকার ধ্রুব নীল। এ গল্পে এক দারুণ মেধাবী কিশোরের গাণিতিক দক্ষতার কারণে কী করে একটি গ্রামের বাসিন্দারা পাকিস্তানি সেনাদের অত্যাচারের হাত থেকে বেঁচে গেল, সেটাই দেখানো হয়েছে। শিশু কিশোরদেরকে অঙ্কের একটা মজার খেলাও শেখা হবে এই গল্পে। এই গল্পে দূরত্ব মাপার কৌশলটি পুরোপুরি সঠিক ও প্রমাণিত।) ‘গেলরে! বলটা একেবারে মরণ কুয়োয়। তুলবো কী করে! খেলা ডিসমিস। ওই সবুজ, তুই ফেলেছিস, তুই তুলবি।’ শরিফুলের কথায় উসখুস করছে সবুজ। তার কিকেই ফুটবলটা সোজা গিয়ে পড়েছে গভীর এক পরিত্যক্ত কুয়ায়। নিচে পানি থাকলেও কেউ জানে কত গভীর ওই কুয়া। মায়াপুর হাইস্কুলে পড়া ওরা সবাই। কেউ এইটে তো কেউ টেনে। রতনও আছে দলে। সে হলো ‘দুধভাত পেলেয়ার’। টিংটিঙে সরু। জোরে বাতাস এলেও নাকি তার হাঁটতে কষ্ট হয়। পাওয়ারওয়ালা চশমা পরে। অবশ্য কেউ তার মাথায় গাট্টা মা...
ভয়াল : ধ্রুব নীলের হরর গল্প

ভয়াল : ধ্রুব নীলের হরর গল্প

Stories
হেমন্তের শুরুতে শীত শীত লাগা এক সন্ধ্যায় কিশোরী বিনু বুঝতে পারল তার ভয়ডর কম। নেই বললেই চলে। লাতু মুনসির মতো পালোয়ানও নির্ঘাৎ অজ্ঞান হয়ে যেত। বিনু ভয় তো পেলই না, উল্টো জিনিসটাকে হাতে নিয়ে বাড়িতে এলো। এসেই বিড় বিড় করতে থাকল, এখন এটারে লুকাই কই, রক্ত পামু কই, কী আপদ নিয়া আইলাম! শাহ দৌলতপুর গ্রামের পশ্চিম সীমানায় পুরানা ভাঙা জমিদার বাড়ি। শিয়াল আর সাপখোপের আনাগোনা থাকায় ওই বাড়ির ত্রিসীমানা সুরক্ষিত। তবে ডোবা ঘেঁষে থাকা পশ্চিমের ভাঙাচোরা দেয়াল আর দুটো সুপারি গাছের মাঝ দিয়ে চার নম্বর সীমানাটা আবিষ্কার করে ফেলল কানাই তরফদারের মেয়ে বিনু। হেমন্তের ওই বিকালে বাড়িটার উঠানে থাকা ডেউয়া খাবে ঠিক করল। পা টিপে পা টিপে ঢুকে পড়ল বুনোলতায় ঠাঁসা ঘরটার অন্দরমহলে। উৎকট গন্ধে নাক চেপে ধরলেও কান খোলা। শুনতে পেল ঘরের ভেতর থেকেই কেউ একজন ফ্যাসফ্যাসে গলায় বলল, ‘কে গো! এককু রক্ক দিবানি? কে গ...
সায়েন্স ফিকশন গল্প : সময়পুর

সায়েন্স ফিকশন গল্প : সময়পুর

Kidz, Stories, Stories for Kids
লেখক : ধ্রুব নীল সময়পুর। এ নামে বাংলাদেশে কোনো গ্রাম নেই। মানে এখন আমাদের যে মানচিত্র তাতে এর অস্তিত্ব নেই। গ্রামের নামটা আমারই দেওয়া। কারণ, আমার মতে নামটা সময়পুরই হওয়া উচিত। যদিও ওই গ্রামের লোকজন নাম-ধাম নিয়ে ভাবে না। তাদের কাছে গ্রাম মানে গ্রাম। সময়পুর গ্রামে সময় যেতে চায় না। সবার হাতেই অফুরন্ত সময়। কাজ করতে করতে কোনো কৃষকের মনে হলো আজ নিড়ানি বাদ দিয়ে বসে থেকে শরতের ঘ্রাণওয়ালা বাতাস খাবে। তো সে সেটাই করে যাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এক সময় রাত হবে। শেয়াল ডাকবে। শেয়ালের ডাক শুনে শুনে কোনো শিশুকে তার মা গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়াবে। সেটাও অনেক সময় নিয়ে। তারপর নিশাচর পাখির গাছের গর্তে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে নেমে আসবে গভীর রাত। যে রাতটাও কাটতে চাইবে না অনেকক্ষণ। এখানে আসার পরই আমি গ্রাম কাকে বলে শিখেছি। গ্রাম হওয়ার মতো সবই আছে সময়পুরে। চিকন লতার মতো সজনে, খালের পাড়ে বেড়ে ওঠা ...
Exploring the Universe of Zafar Iqbal’s Science Fiction: Free Downloads Await!

Exploring the Universe of Zafar Iqbal’s Science Fiction: Free Downloads Await!

Stories
Science fiction has always been a captivating genre, offering readers a glimpse into imaginative worlds and futuristic concepts. One author who has made a significant mark in the realm of science fiction is Zafar Iqbal. His thought-provoking and visionary works have attracted readers from all walks of life. In this blog, we'll take you on a journey through Zafar Iqbal's world of science fiction and provide you with some options for free downloads of his books. Zafar Iqbal: The Visionary Author Zafar Iqbal, a renowned Bangladeshi author, is celebrated for his exceptional contributions to science fiction literature. Born on December 23, 1952, in Sylhet, Bangladesh, he has penned numerous novels, short stories, and essays that have left a lasting impact on readers. His unique blend of ...
ভুতের গল্প Bhuter Golpo : বাঁশঝাড়ের নিঃশ্বাস

ভুতের গল্প Bhuter Golpo : বাঁশঝাড়ের নিঃশ্বাস

Stories
ধ্রুব নীলের ভুতের গল্প Bhuter Golpo । দুর্বল চিত্তের পাঠক আশা করি এ গল্প পড়বেন না। নব্বই কি একানব্বই সালের কথা। কালীডাঙ্গা গ্রাম সন্ধ্যা পেরোতেই সুনসান। ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক, নিশিবকের ওড়াওড়ি, তেঁতুল গাছে ভূতের ভয়; সবই আছে এ গ্রামে। জয়নাল রাত করে বাড়ি ফেরে। সবসময় যে দোকানের কাজে রাত হয় তা নয়। ইচ্ছে করেও রাত করে। নিশুতি রাতে গ্রামের শ্মশান, গোরস্থান আর ঘন ঝাঁকড়া বাঁশঝাড় ঘেঁষা মাটির চিকন রাস্তায় সাইকেল চালানোর মধ্যে এক ধরনের শিহরণ টের পায়। রাতে এ পথে আরও অনেকে আসা-যাওয়া করে। সবাই তো আর শিহরণ বোঝে না। আশ্বিনের এক ঝিরঝির বৃষ্টির রাত। সাইকেলের সামনে কায়দা করে তিন ব্যাটারির টর্চলাইট লাগিয়েছিল জয়নাল। হেডলাইটের মতো দেখায়। শ্মশান পেরোতেই ওটা নিভে গেল। ঘুটঘুটে অন্ধকারে কড়া ব্রেক কষল জয়নাল। ভুতের গল্প ( Bhuter Golpo ) ‘পানি ঢুকল নাকি!’ টর্চটায় থাপ্পড় মারল। মেরেই বুঝল ভুল হয়েছে। একটা ব্যা...
সায়েন্স ফিকশন গল্প  : একরোখা রতন

সায়েন্স ফিকশন গল্প : একরোখা রতন

Kidz, Stories for Kids
চোখ মেলতেই চোখ ধাঁধিয়ে গেল ছেলেটার। একরাশ সাদা। ধপধপে সাদা। যতদূর চোখ যায় ততদূর। মিশমিশে কালো থাকলেও যে কথা, সাদা থাকলেও ব্যাপারটা একই। কিছুই দেখা যাবে না। সময়ের গতিও বোঝা যাচ্ছে না। সেকেন্ড মানে কি? ভুলে গেছে ছেলেটা। এমনকি নিজের নামটাও। ডান হাতটা তুলে আনল চোখ বরাবর। নিজের অস্তিত্ব আছে বুঝতে পেরে আশ্বস্ত হলো কিছুটা। ‘গুড মর্নিং। ১.. ২.. ৩.. ৪…।’এভাবে পনের পর্যন্ত গুনল স্পিকারে ভেসে আসা একটা কণ্ঠ। এরপরই চোখে উজ্জ্বল সাদা আলোটা সয়ে এলো। অবাক হলো ছেলেটা। ঠিক তার মতোই সাদা টিশার্ট আর সাদা প্যান্ট পরা কয়েকশ ছেলে দাঁড়িয়ে। হলরুমটার দেয়াল সম্ভবত কেউই দেখছে না। ছেলেটা দেখেই বুঝল বাকি ছেলেগুলো তারই বয়সী। অদ্ভুত ব্যাপারটা টের পেল বেশ কয়েক সেকেন্ড পর। সামনে থাকা বিভ্রান্ত ছেলেগুলোর চেহারা হুবহু একই রকম।‘হ্যালো রতন।’আবারও স্পিকারের গলা। কথাটা কাকে বলল লোকটা? রতন কে?‘ওহ! আমিই তো রতন!’গোটা হলরুমের সম...
জয়নুল আবেদিনবিরুদ্ধ বাস্তবতায় শিল্পী : সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ

জয়নুল আবেদিনবিরুদ্ধ বাস্তবতায় শিল্পী : সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ

Stories
জয়নুল আবেদিনবিরুদ্ধ বাস্তবতায় শিল্পী লিখেছেন সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ (সূত্র: কালবেলা) করাচিতে জয়নুল আবেদিনের যে প্রদর্শনী চলছে তার চিত্রকর্মগুলোর দিকে তাকালে তাৎক্ষণিকভাবে মনে হয় যে, শিল্পী নিশ্চিত তাঁর মূল সুরেই আছেন—সেটা সাদাকালোতেই স্কেচ করেন কিংবা রংতুলিতে। তাঁর সর্বশেষ কাজটিও স্কেচ। একই ক্যানভাসে তেলরঙের চেয়ে স্কেচ করতে সময় অনেক কম লাগে। কিন্তু স্কেচের দ্রুত বয়ে চলার একটা প্রবণতা আছে। আর এ ব্যাপারটি সম্ভবত জয়নুল আবেদিনের ক্ষেত্রে আরও বেশি সত্য, আর শিল্পের এই বিশেষ রীতিতেই তাঁর কল্পনা ও শৈল্পিক প্রতিভা আত্মপ্রকাশের সবচেয়ে উপযুক্ত ফর্মটি খুঁজে পায় বলে মনে হয়। সেজন্যই তিনি তৈলচিত্রকে অতটা পছন্দ করেন না; একজন ব্যক্তির একান্ত আবেগিক অভিজ্ঞতার বিশদ বিবরণ দেওয়ার যে ধারণা তা তিনি এড়িয়ে চলেন এবং যখনই তিনি সুবিশাল আকারের কোনো পেইন্টিংয়ের কাজে হাত দেন, তিনি এর খুঁটিনাটি...
মুক্তিযুদ্ধের গল্প : আরেক যুদ্ধের শুরু : মুহম্মদ মোফাজ্জল

মুক্তিযুদ্ধের গল্প : আরেক যুদ্ধের শুরু : মুহম্মদ মোফাজ্জল

Stories
‘বাবা, যুদ্ধ এখন শেষ।’ দরজায় দাঁড়ানো কাজলের এ কথায় উমেদ আলী অবাক হয়ে তাকালেন। নাতি সকালের চোখেও বিরক্তি। বৌমা কাজলের এমন বেরসিক কথায় উমেদ আলী ভেতরে ভেতরে আহত হলেও মুখে হাসিটা ঝুলিয়ে রাখেন। ‘বাবা, ওকে এখন ছাড়ুন। ও ঘুমুতে যাবে। কাল ওর স্কুল আছে। সকাল সকাল উঠতে হবে।’ কাজল একনাগাড়ে বলে গেল। তার কথায় মাধুর্য নেই। চেহারায় কাঠিন্য আছে। উমেদ আলী এবার নাতির দিকে তাকিয়ে হাসলেন। ‘ও তাই তো! আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম। যুদ্ধের গল্পের বাকিটা আরেক দিন শোনাব। এখন তুমি ঘুমুতে যাও।’ উমেদ আলী সকালের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন। ‘দাদু ভাই, প্রতিদিন এত সকাল সকাল আমার ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না।’ গাল ফুলিয়ে বলল সকাল। ‘সে কী কথা! ওই যে কবিতায় পড়েছ না—আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে?’ ‘কিন্তু দাদু ভাই, যেদিন আমার স্কুল বন্ধ থাকে না সেদিন তো আমি সকালে উঠি না। তাই বলে কি আমি ওঠার আ...
প্রেমের গল্প : মধুরিমা একটি নদীর নাম

প্রেমের গল্প : মধুরিমা একটি নদীর নাম

Stories
মধুরিমা জলের মতো। আমি এমন কাউকেই চাচ্ছিলাম, যার ভেতর নিজেকে দ্রবীভূত করা যায়। গলে যাওয়া যাকে বলে। আমার ডিভোর্সটা সুপারনোভা ছিল না। সব নক্ষত্র তো বিস্ফোরিত হয় না। কিছু তারা ফুলেফেঁপে বড় হয়ে ফোঁড়ার মতো লাল হয়ে যায়। বড় হতে হতে ওটার কোনো মানে থাকে না। নীলিমার সঙ্গে আমার সংসারটা অমনই হয়ে গেল। তারপর একদিন ‘কী যেন মনে হলো’ ভান করে দুজন ঠিক করলাম, এভাবে চলতে পারে ঠিকই, তবে কী দরকার চালানোর। তারচেয়ে দুজন আরও বেশি সুখের সন্ধান করি। মধুরিমাই কি আমার সেই আরও বেশি সুখ? আমরা আজ বিয়ে করেছি। পরিচয় কয়েক মাস আগে। মধুরিমা আমার মতো কোনো সুখের সন্ধানে ছিল না সম্ভবত। আমি তার জীবনে অনেক উড়ে আসা ড্যান্ডালিয়ন ফুল। আর সে বুকভরা নদী। যে কিনা জল হয়ে অনায়াসে ধূসর বালিয়াড়িকেও গলিয়ে দিতে পারে এক লহমায়। ‘হুকটা খুলে দাও তো।’ ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে মধুরিমা কানের দুল খুলছিল। আয়ন...
ব্যর্থ প্রেমের গল্প : অপূর্ণ প্রেম

ব্যর্থ প্রেমের গল্প : অপূর্ণ প্রেম

Stories
দীর্ঘ ছুটি শেষে আজ লাবণ্য ও অমিতের দেখা হতে যাচ্ছে, অমিত প্রতিবার দেরি করে বের হলেও আজ একটু তাড়াহুড়ো করে বেরিয়েছি; নীলাভ একটা পাঞ্জাবি গায়ে একগুচ্ছ গোলাপ নিয়ে কদমতলায় অপেক্ষা করছে। প্রতিবার লাবণ্য আগে থেকে অপেক্ষা'র প্রহর গুনলেও আজ ওর আসতে অনেক দেরি হচ্ছে! অবশেষে লাবণ্য অনেকটা অগোছালো অবস্থায় রিক্সা থেকে নামল, লাবণ্যের মুখটা আজ ফ্যাকাসে হয়ে আছে, চোখ তার যেন শত শতাব্দীর নীল অন্ধকার! সব সময় পরিপাটি ও গুছানো থাকা লাবণ্য আজ অগোছালো! বিষন্ন কেন? এই প্রশ্ন অমিতকে খুব বিচলিত করে তুলল! কি হয়েছে তোমার? লাবণ্য কোনো উত্তর না দিয়ে বলল চন্দ্রবিন্দু ক্যাফেতে চল, তোমার সাথে কথা আছে। হঠাৎ লাবণ্যের মাঝে এত পরিবর্তন অমিতের ভেতর ভয় সৃষ্টি করে! বসা মাত্রই জিজ্ঞেস করল তোমাকে এমন লাগছে কেন? লাবণ্যের চোখ অশ্রুতে টলমল করছে, কিছু একটা বলতে চেয়েও বলতে পারছে না: মৃদুস্বরে কাঁপা গলায় বলল তোম...
শত্রুকে চেনা চাই : সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর কলাম

শত্রুকে চেনা চাই : সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর কলাম

Stories
কোনো আন্দোলনেরই সাফল্যের একেবারে প্রথম শর্তটি হচ্ছে শত্রুকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করা। নারীমুক্তির প্রশ্নে পুঁজিবাদী সমাজ ও রাষ্ট্রকে মূল শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করতে আমরা যেন ভুল না করি। .. পড়ুন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর কলাম.. নাটকে-উপন্যাসে, প্রবচনে— কথোপকথনে, আমরা অনেক সময় উল্লেখ পাই যে, নারীর শত্রু নারী নিজে। এ ধারণার সামাজিক ভিত্তি আছে। সেটা হলো এই—মেয়েদের নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি দেখা যায়। শাশুড়ি ঘরের বউয়ের প্রতি বিরূপ আচরণ করে। ঘরের বউও শাশুড়িকে পছন্দ করে না। এখন অবশ্য পরিবারগুলো আর আগের মতো নেই; ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র হয়ে গেছে, মেয়েরা কর্মক্ষেত্রে চলে এসেছে। কর্মক্ষেত্রে মেয়েরা একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে কথা বলে। বোনে-বোনে ঝগড়া হয়। কিন্তু এই যে ধারণা, মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু, সেটা অবশ্যই ভ্রান্ত। শুধু ভ্রান্ত নয়, ক্ষতিকরও। আরও যেটা আপত্তিকর সেটা হলো, আসল শত্রুকে আড়ালে রাখা। নির্মম সত্য...
প্রত্যাশার প্রতিটি নতুন বছরে

প্রত্যাশার প্রতিটি নতুন বছরে

Stories
নতুন বছর আসে নতুন আশা নিয়ে। মনে করা হয় যে দিন বদলাবে। কিন্তু বদলায় না; এবং বদলায় না যে সেই পুরাতন ও একঘেয়ে কাহিনিই নতুন করে বলতে হয়। লিখেছেন ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী না বদলানোর কারণ একটি ব্যাধি, যার দ্বারা আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র আক্রান্ত। ব্যাধিটির নাম পুঁজিবাদ। এই ব্যাধি থেকে মুক্তির জন্য আমাদের চেষ্টার অবধি নেই। রাজনৈতিকভাবে আমরা বারবার চেষ্টা করেছি কিন্তু সফল হইনি।কিন্তু মুক্তি যে আসেনি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জিনিসপত্রের দাম থেকে শুরু করে জীবনের সবক্ষেত্রে নিরাপত্তার অভাব পর্যন্ত সর্বত্রই ব্যর্থতার স্মারকচিহ্নগুলো জ্বলজ্বল করছে। --- সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর কলাম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর কলাম সবকিছুই গা-সওয়া হয়ে যায়। তবে মাঝেমধ্যে দুয়েকটি ঘটনা ঘটে যাতে আমরা ধাক্কা খাই, চমকে উঠি, পরস্পরকে বলি যে আমরা তো ...
পশ্চিমে মাথা ঠুকে মরার দুরারোগ্য ব্যাধি

পশ্চিমে মাথা ঠুকে মরার দুরারোগ্য ব্যাধি

Stories
দ্রাবিড় সৈকত অতীতের নিয়ন্ত্রণ যাদের কাছে থাকে, ভবিষ্যতের নির্মাণও তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছায় রূপায়িত হয়। আমাদের শিল্পকলার অতীত পুরোপুরি পশ্চিমের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। সাম্রাজ্যবাদী শক্তির পরিকল্পিত ভৃত্য বানানোর শিক্ষায় বুঁদ হয়ে আছেন আমাদের শিক্ষিতসমাজ। তাই অতীতের নিয়ন্ত্রণ, অতীতের প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে আমাদের ধারণা মূলত প্রভুদের শিখিয়ে দেওয়া এবং তাদের স্বার্থে নির্মিত অতীত। নিম্নবর্গের ইতিহাস-তাত্ত্বিক রণজিৎ গুহ বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন এভাবে—Education in history was thus designed as a servant’s education-an education to conform undeviatingly to the master’s gaze in regarding the past. It served the project of imperial dominance by annexing the past in order to preempt its use by the subject people as a site on which to assert their own identity. (Guha 1988: 21) আমরা আমাদের শিল্পকলা বা ইত...

Please disable your adblocker or whitelist this site!

error: Content is protected !!