Monday, April 29
Shadow

Tag: stories

রোমান্টিক উপন্যাস – ফ্যান্টাসি থ্রিলার কৃ (পর্ব-৯)

রোমান্টিক উপন্যাস – ফ্যান্টাসি থ্রিলার কৃ (পর্ব-৯)

Cover Story, Stories
রোমান্টিক উপন্যাস : ফ্যান্টাসি থ্রিলার উপন্যাস- কৃ (পর্ব-১) রোমান্টিক ফ্যান্টাসি থ্রিলার উপন্যাস- কৃ (পর্ব-২) রোমান্টিক উপন্যাস (ফ্যান্টাসি থ্রিলার) ”কৃ” (পর্ব-৩) রোমান্টিক উপন্যাস (ফ্যান্টাসি থ্রিলার) ”কৃ” (পর্ব-৪) রোমান্টিক ফ্যান্টাসি উপন্যাস “কৃ” পর্ব-৫ রোমান্টিক উপন্যাস ‘কৃ’ ফ্যান্টাসি থ্রিলার পর্ব-৬ রোমান্টিক উপন্যাস ‘কৃ’ ফ্যান্টাসি থ্রিলার পর্ব-৭ রোমান্টিক উপন্যাস - ফ্যান্টাসি থ্রিলার কৃ (পর্ব-৯) ধ্রুব নীল অচেনা পাখির শব্দে ঘুম ভাঙল। পাখি আমি কম চিনি। হয়তো সেটা বুলিবুলিই ছিল। পাখিরাও ইদানীং মানুষ হয়ে যাচ্ছে নাকি। পাশ ফিরে শুলাম। ঘুম ছুটে যাওয়া যাকে বলে সেটা ঘটল। তড়াক করে লাফিয়ে উঠলাম। চোখ ডলে নিলাম ভালো করে। মগজটা হুট করে প্রসেস করতে পারছে না। কম্পিউটার হলে এতক্ষণে হ্যাং করে বসে থাকতাম। কিন্তু মানুষের মগজ হ্যাং করে না। অদ্ভুত সব যুক্তি এনে বের করে। ...
রোমান্টিক থ্রিলার উপন্যাস ‘কৃ’ পর্ব-৮

রোমান্টিক থ্রিলার উপন্যাস ‘কৃ’ পর্ব-৮

Stories
রোমান্টিক থ্রিলার উপন্যাস ‘কৃ’ পর্ব-৮ ধ্রুব নীল পুরো বইটির হার্ড কপি পেতে এখানে ইনবক্স করুন।  ৮ কিছুদিন পর। তুলির শেষ আঁচড়ের পরও মনে হলো কৃর চোখের সেই বিদ্যুৎ ঝলকানির রিফ্লেকশনটা ঠিকমতো আসেনি। তবে বেদনাভরা ভালোবাসায় কাতর চোখগুলো স্পষ্ট। ‘কে এই মেয়ে? কখনো দেখেছি বলে তো মনে হয় না। বৃষ্টি বাদলার মধ্যে বিয়ের শাড়ি পরা, তাও আবার গ্রামের রাস্তা। কোনো কিছুই তো মিলছে না।’ ‘মিলামিলির দরকার কী। ও হচ্ছে কৃ। ওর সঙ্গে কিছুই মিলবে না।’ ‘কী নাম? কিরিমিরি?’ ‘যা খুশি বলো।’ ‘ওহ। তা হলে প্রেমিকা জুটিয়ে ফেলেছো?’ ‘হুম। এ প্রেমিকা উড়তে জানে।’ ‘উড়বেই তো, অল্পবয়সী মনে হচ্ছে। পাখা তো গজাবেই।’ নির্লিপ্ততা নিয়ে চলে গেল রেশমা। তার ফিরে আসার গল্প আপাতত তোলা থাক। আমি ডুবে আছি কৃর সঙ্গে কাটানো শেষের দিনগুলো নিয়ে। গত সাত দিন ধরে দেখা নাই। কোথায় গেছে জানি না। হুট করে আবার গায়েব। তবে আমি নিশ্চিত আবার ক...
রোমান্টিক উপন্যাস ‘কৃ’ ফ্যান্টাসি থ্রিলার পর্ব-৭

রোমান্টিক উপন্যাস ‘কৃ’ ফ্যান্টাসি থ্রিলার পর্ব-৭

Cover Story, Stories
রোমান্টিক থ্রিলার ‘কৃ’ পর্ব ৬ পড়ুন এখানে ধ্রুব নীল ৭ রাত বারোটার পর। হিসেবে দ্বিতীয় দিনের শুরু। কৃর চেহারার পরিবর্তনটা টের পেলাম। এবার আর অভিমান বা কষ্ট নয়, আতংকে অস্থির হয়ে আছে। কালিপ্রসন্ন লোকটাকে এত ভয়ের কী আছে বুঝলাম না। ‘উপস্থিত ভাইসব। এ হইলো আসল ডাইনি। আপনেরা যেমনটা ভাবতেন, ওই রকম না। এই ডাইনি ভোলাভালা মানুষগুলারে প্রেমের জালে ফাঁসাইয়া শেষে একদম শুইসা নেয়।’ আমার ইচ্ছে হলো কৃকে বলি, ‘কই! তুমি তো আমায় এখনো শুসে নিলে না!’ কিন্তু এখন মনে হয় ইয়ার্কির সময় না। আমি ওঝার কাঁধে হাত রাখলাম। চাপ দিলাম মৃদু। ওঝার হাসিটা বিরক্তিতে রূপ নিল। আমি আমার স্বভাবসুলভ শীতল দৃষ্টিতে মোনালিসা টাইপের রহস্যময় হাসি দিলাম। কাছে এসে ফিসফিস করে বললাম, ‘কার সঙ্গে এসব করছেন কোনো আইডিয়া আছে?’ ওঝা ঘাবড়ে গেল বলে মনে হলো না। সে ঝটকা মেরে আমার হাত সরিয়ে দিল। তারপর পেছনে ঘিরে রাখা লোকগুলোর দিকে তাকিয়ে বলল, ‘আপনাগো...
রোমান্টিক উপন্যাস ‘কৃ’ ফ্যান্টাসি থ্রিলার পর্ব-৬

রোমান্টিক উপন্যাস ‘কৃ’ ফ্যান্টাসি থ্রিলার পর্ব-৬

Stories
রোমান্টিক থ্রিলার ‘কৃ’ পর্ব ৫ পড়ুন এখানে   পর্ব ৬ এরপর? আমি সময় গুলিয়ে ফেলেছি। এক সপ্তাহ আগের ঘটনাকে মনে হচ্ছে গতকালের ঘটনা। আবার গতকালটা মনে হয় ছিলই না। এতসব সমস্যার মাঝেও আমার লেখালেখি ও অফিস চলল। মাস শেষে বেতনও পেলাম। এর মধ্যে নতুন ঘটনার মধ্যে যা ঘটল, আমি সে রাতের পর থেকে মদ খাওয়া একদম ছেড়ে দিলাম। কোন রাতের পর? ওই রাতটা ঠিক কোন রাত ছিল? কৃর সঙ্গে শারীরিক মিলনের কোনো স্মৃতি আমার মাথায় নেই। শুধু ডেথ মেটাল মিউজিক আর আলোছায়ার নাচানাচিটা মনে আছে। আর দুই জগতের মাঝে পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়ে থাকা সেই ভারী দরজাটা। আমি ঠিক করেছি কৃকে পুরোপুরি ভুলে যাব। কিন্তু যতই বলি, ততই যেন আরো সূক্ষ্মভাবে তাকে মনে পড়তে লাগলো। যে রাতে আমরা প্রথম ও শেষবার উড়েছিলাম, সে রাতে তার শরীর থেকে কড়া বকুল ফুলের গন্ধ পেয়েছিলাম। সম্ভবত খোঁপায় একটা বকুল ফুলের মালা ছিল। ‘তুমি আমাকে সত্যিই ডিভোর্স দিতে চাও?’ ‘অ্য...
রোমান্টিক ফ্যান্টাসি উপন্যাস “কৃ” পর্ব-৫

রোমান্টিক ফ্যান্টাসি উপন্যাস “কৃ” পর্ব-৫

Cover Story, Stories
রোমান্টিক ফ্যান্টাসি উপন্যাস "কৃ" পর্ব-৫ । ধ্রুব নীল ছয় মাস কেটে গেল। এর মাঝে কিছুই ঘটল না। শুধু আমার মনটাই খারাপ ছিল। মন খারাপের কোনো গল্প হয় না। এর মাঝে দুয়েকবার কিংবা তারও বেশি, আমি বারে গিয়েছিলাম। রেশমা বুঝতে পেরেও কিছু বলেনি। আমার মনে হয় প্রত্যেক মানুষের অবচেতন মনের ক্ষমতা প্রায় এক। রেশমার অবচেতন মন ধরে ফেলেছে আমার মন খারাপ, এবং তা অন্য কোনো নারীর কারণেই। প্রথম দিকে মদ খেতে মোটেও ভালো লাগতো না। এখন রীতিমতো অ্যালকোহলিক হয়ে গেছি। এবার মূল ঘটনায় আসা যাক। গত তিন দিন ধরে আমি হাসপাতালে। সিরিয়াস টাইপ টাইফয়েড। হাসপাতালে গিয়ে স্যালাইনের ব্যাগে করে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে। প্রতিরাতেই ভয়াবহ সব স্বপ্ন দেখছি। এর মাঝে একবার সেই ডাকাত দলটাকেও দেখলাম। রাম দা হাতে তিন মুণ্ডুহীন ডাকাত আমাকে তাড়া করছে। আমার পাশে রেশমা। সে আবার দৌড়াতে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়েও গেল। হাসপাতালে রেশমা আমার সঙ্গে ছিল প্রথ...
রোমান্টিক উপন্যাস (ফ্যান্টাসি থ্রিলার) ”কৃ” (পর্ব-৪)

রোমান্টিক উপন্যাস (ফ্যান্টাসি থ্রিলার) ”কৃ” (পর্ব-৪)

Cover Story, Stories
রোমান্টিক উপন্যাস (ফ্যান্টাসি থ্রিলার) ”কৃ” (পর্ব-৪) ৪ আমার বাসাটা পাঁচ তলায়। বারান্দা ছাড়িয়ে যেতেই কলজেটা ছ্যাঁৎ করে উঠল ক্ষণিকের জন্য। এক-দুই তলা হলে এতটা ভয় পেতাম না। আঁকড়ে ধরলাম কৃকে। কানের কাছে মৃদু হাসির শব্দ। ‘আস্তে! হাড় ভাঙবে!’ আমি জানি কৃ ব্যথা পায়নি। আমাকে অভয় দেওয়ার চেষ্টা করলো কেবল। কিছু সময় লাগল ধাতস্ত হতে। ধীরে ধীরে চোখ মেললাম। পায়ের নিচে অপরিচিত শহর। ছাদের পর ছাদ। জনমানবশূন্য। সব দূরে সরে যাচ্ছে ক্রমশ। প্রচণ্ড বাতাস। কৃর চুল এসে বাড়ি খাচ্ছে আমার মুখে। আমার প্রচণ্ড ভয় পাওয়া উচিত। কিছুটা পাচ্ছিও। তবে কৃর ভেতর থেকে ছুটে আসা অনুভূতির কণাগুলো দলা পাকিয়ে আমার ভয়টাকে সরিয়ে দিচ্ছে। ‘ভয় পাচ্ছো? আবার নামিয়ে দিয়ে আসবো? বউয়ের পাশে গিয়ে ঘুমাবে?’ বিদ্রুপ গায়ে মাখলাম না। ভ্রƒ কুঁচকে তাকালাম কৃর দিকে। তারপর চিৎকার করে বললাম, ‘প্রশ্নই আসে না! আরো উপরে নিয়ে চল, শহর ছেড়ে বাইর...
রোমান্টিক উপন্যাস (ফ্যান্টাসি থ্রিলার) ”কৃ” (পর্ব-৩)

রোমান্টিক উপন্যাস (ফ্যান্টাসি থ্রিলার) ”কৃ” (পর্ব-৩)

Cover Story, Stories
রোমান্টিক উপন্যাস (ফ্যান্টাসি থ্রিলার) ”কৃ” (পর্ব-৩) রোমান্টিক ফ্যান্টাসি থ্রিলার উপন্যাস- কৃ (পর্ব-২) রোমান্টিক ফ্যান্টাসি থ্রিলার উপন্যাস- কৃ (পর্ব-১) ধ্রুব নীল ৩ আমাকে ছেড়ে বিছানার এক প্রান্তে বসে পা দোলাতে শুরু করলো কৃ। একটা কথাও বলছে না। বোঝাতে চাইছে, তোমার সমস্যা তুমি সামলাও। আমি সমস্যা সামলাতে দরজার ছোট্ট ফুটোয় উঁকি দিলাম। স্থবির হয়ে গেল পুরো শরীর। ‘দেখেছো তো, এবার খোলো! আমি তো চোর-ডাকাত না। তোমার বউ রেশমা।’ কী-হোলে চোখ রাখলে ওপাশ থেকে বোঝা যায়। সুতরাং দেরি করলেই ঝামেলা। আমার মগজটা নিজের মতো করে ব্যাখ্যা ভাবতে শুরু করে দিয়েছে। কৃ নামের একটা মেয়ে বিপদে পড়ে আশ্রয় নিয়েছে। কয়েকজন লোক তার পিছু নিয়েছিল। পরে আমাদের বাসায় আশ্রয়...। ‘সব রাস্তা বন্ধ। একটা মাছি ঢোকারও জায়গা নাই। আধা ঘণ্টা গরমের মধ্যে বসা। পরে শুনি গাড়ি আর যাবে না।’ হড়বড় করে কথা বলতে বলতে ফ্রিজের দিকে এগ...
রোমান্টিক ফ্যান্টাসি থ্রিলার উপন্যাস- কৃ (পর্ব-২)

রোমান্টিক ফ্যান্টাসি থ্রিলার উপন্যাস- কৃ (পর্ব-২)

Cover Story, Stories
রোমান্টিক ফ্যান্টাসি থ্রিলার উপন্যাস- কৃ পর্ব-১ ‘আপদ বিদেয় হলো?’ ‘না বিদেয় হয়নি। আপদ শাড়ি বদলাচ্ছে। এরপর আরো বহু কিছু বাকি। ঘণ্টাখানেকের মামলা।’ আমি অবাক হওয়ার গুণ হারিয়ে ফেলিনি। অভিনয় করছি কেবল। বুঝতে পেরেছি মোবাইলের খুদে স্পিকারে ভেসে আসা জাদুর মতো কথাগুলো আমাকে কব্জা করে ফেলছে। আমিও তার কব্জায় নিজেকে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমি চাই সে আমাকে আরো জোরে সোরে কব্জা করুক। ‘কেমন আছো?’ ‘এই তো। তুমি?’ ‘দেখছো না? দেখে কী মনে হচ্ছে?’ ‘হুম।’ ‘হুম আবার কী? বিয়ে করেছো, সংসার করছো। ভালোই তো থাকার কথা।’ ‘তা হলে মনে হয় ভালোই আছি।’ ‘লুনার কথা মনে আছে?’ ‘কী আশ্চর্য, কেন থাকবে না!’ ‘উঁহু। অনেক অনেক দিন আগের কথা তো। সে তো মরে গেছে, তাই না?’ আমার ভেতরটা খালি খালি লাগল আবার। মেয়েটার মুখে এ কথা আশা করিনি। তার চোখজোড়া পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি। চোখের কালো মণি দুটো টলটল করছে। তবে আমি নিশ্চিত ওটা ক...
রোমান্টিক ফ্যান্টাসি থ্রিলার উপন্যাস- কৃ (পর্ব-১)

রোমান্টিক ফ্যান্টাসি থ্রিলার উপন্যাস- কৃ (পর্ব-১)

Cover Story, Stories
লেখক : ধ্রুব নীল ১ পাশের বাড়ির ছাদে এক রূপবতী হেঁটে বেড়াচ্ছে এবং আমি তার দিকে নিষ্পলক তাকিয়ে আছি। মেয়েটাকে দেখে একবারও মনে হলো না যে আমার স্ত্রী রেশমা এ অবস্থায় আমাকে দেখলে দুচার কথা শুনিয়ে দেবে। মনে হলো মেয়েটার দিকে এভাবেই তাকিয়ে থাকতে পারবো। অনন্তকাল না হোক, আপাতত অফিস কামাই করা যায়। কারণ ছাদের মেয়েটা অবিকল লুনার মতো। অবিকল কথাটা বাড়িয়ে বলিনি। চোখ, কান বা নাকে নয় শুধু। যমজদের মতো হুবহু মিল! তবে একটা বড় কিন্তু আছে। যে কিন্তুটার জন্য আমার তাকিয়ে থাকার ধরনটা ছিল হ্যাংলা। মেয়েটা দেখতে অবিকল পনের বছর আগের লুনার মতো। এখনকার লুনার মতো নয়। মানে মেয়েটা যে লুনাই হতে পারে সেটাও সম্ভব নয়। কারণ লুনা মারা গেছে তের বছর আগে। সে ছিল আমার প্রথম প্রেমিকা। রোমান্টিক ফ্যান্টাসি থ্রিলার উপন্যাস- কৃ (পর্ব-১) মহাবিশ্ব মানেই রহস্যের ছড়াছড়ি। ইলেকট্রনের দুই রকম আচরণ, কোয়ান্টাম এনটেঙ্গলমেন্ট, স্পেস-টাইম; ...
গল্প : ঘুরপথে – তনুশ্রী দাস

গল্প : ঘুরপথে – তনুশ্রী দাস

Health and Lifestyle, Stories
‘এই পরাগ, শুনে যা একবার। পালাচ্ছিস কোথায়?’’ পরাগ গলাটা শুনে ফিরে তাকাল না। কিন্তু দাঁড়িয়ে পড়ল। খেপিটা আবার পাকড়েছে। তোয়া ডাকলে পালানো মুশকিল। স্বচ্ছতোয়া লাফাতে-লাফাতে এসে হাজির, ‘‘কী রে, দু’দিন ধরে হুটপাট কেটে পড়ছিস? আমার ভাইরাল ফিভার হল, একবার খোঁজও নিলি না। কেমন বন্ধু তুই?’’   পরাগের খুব অপরাধবোধ হল। তোয়া মেয়েটা খুব ভাল। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে এসে পরাগের প্রথম যে বন্ধু হয়েছে, সে হল তোয়া। তোয়া খুব মেধাবী। ও সবসময় পরাগকে হেল্প করেছে। শুরুতেই পরাগের জন্ডিস হয়েছিল। তখন ইলেকট্রোম্যাগনেটিক থিওরির ক্লাসনোট্স ওকে হোয়াটসঅ্যাপ করে পাঠিয়েছিল তোয়া। পরাগ খুব অবাক  হয়েছিল, ওর ফোন নম্বর ও তো তোয়াকে দেয়নি। পরে জেনেছিল, লাইব্রেরিয়ান সুধাম্যাডামের কাছ থেকে নম্বরটা ম্যানেজ করেছে তোয়া। লাইব্রেরির ফর্ম ফিল আপের সময় পরাগ ফোন নম্বর দিয়েছিল। আসলে পরাগ ছোটবেলা থেকেই একটু লাজুক আর মুখচো...
হরর-রোমাঞ্চ গল্প : লাশের গায়ে জোৎস্না পড়ে না

হরর-রোমাঞ্চ গল্প : লাশের গায়ে জোৎস্না পড়ে না

Cover Story, Stories
[একটি সবিনয় নিবেদন: আমাদের আয় নেই বলে লেখকদের আমরা খুব একটা সম্মানি দিতে পারি না। তবে লেখকরা লেখা থামান না। তারা লিখছেন। তাই পাঠকদের কাছে অনুরোধ, গল্প বা লেখা ভালো লেগে থাকলে লেখকের জন্য একটা নামমাত্র সম্মানি দিতে পারেন। সম্মানি আমাদের “নগদ” একাউন্টে পাঠাতে পারেন: নম্বর 01407-885500]   সাইদুর রহমান ইদানীং বেশ ভুলে যাচ্ছেন। চায়ে যে চিনি নেই, সেটা টের পেলেন কাপ অর্ধেক খালি হওয়ার পর। কলেজের কাজে ছোটাছুটি করতে হয় বেশি। তবু মনে হয় সারাক্ষণ মাথাটা ঝিম মেরে আছে। কোনো কাজই করছেন না। ‘...এই ধরেন স্যার চল্লিশ পাঁচচল্লিশ বছর হইবো।’ ‘হ্যাঁ? কী..?’ ‘আপনে স্যার কথাই শোনেন নাই।’ ‘না না.. তুমি একটা লোকের কথা বলছিলে। গ্রামের। কী যেন নাম.. আবদুল মতিন। হ্যাঁ.. লোকটা মারা গিয়েছিল।’ ‘স্যার আপনি শোনেন নাই। লোকটার নাম নুরুল বেপারি।’ ‘ইদানীং কিছু মনে টনে থাকে না। এক কাজ করো। গোড়া থেকে ধরিয়ে দাও।’...

একটি প্রেমের গল্প – অভিজিৎ দাস

Cover Story, Stories
তিনদিন হল শোভন বাড়ি থেকে বেরয়নি। নতুন যে কাজটা পেয়েছে, সেখান থেকে ছুটি নিয়েছে। বাড়ির লোক ভাবছে, হয়তো শরীরটা খারাপ। খোঁজখবর নেবে ভেবে অনিমেষ একদিন শোভনের বাড়িতে হাজির হল। সে শোভনের একেবারে বাচ্চাবেলার বন্ধু। একই সঙ্গে ওঠাবসা। ঘরে ঢুকে অনিমেষ শোভনকে জিজ্ঞেস করে, ‘‘কেমন আছিস? শুনলাম ঘর থেকে বেরনো বন্ধ করে দিয়েছিস?’’ শোভন উত্তর দেয়, ‘‘কী করব বল, অক্ষম পুরুষ। ভিতরে-ভিতরে জ্বলে-পুড়ে মরছি। এদিকে বন্ধুবান্ধব যার সঙ্গেই দেখা হয় সেই বলছে যে কুহেলির ব্যাপারটা আমি যেন সহানুভূতির সঙ্গে বিচার করি। ওর নাকি আর কিছু করার ছিল না। অর্থাৎ, ‘তুমি যে চাকরি পেয়েছ তাতে বউকে সমস্ত সুখ-সুবিধে দিতে পারবে না। কুহেলি তোমায় বিয়ে করবে কেন?’ কথাটা অস্বীকারও তো করতে পারি না।’’ অনিমেষ বলল, ‘‘তোর মাইনের টাকায় সংসার চালানো একেবারে অসম্ভব নয়, তবে কষ্ট আছে। তা, কুহেলির শেষ কথাটা কী?’’ শোভন বলল, ‘‘কুহেলি বলেছে এই চাকরিতে...
সহবাস : আন্দালিব রাশদী

সহবাস : আন্দালিব রাশদী

Cover Story, Stories
সহবাস : আন্দালিব রাশদী সহবাস শুনেই রতিক্রিয়ার দৃশ্য কল্পনা করে আস্তাগফিরুল্লাহ বলে জিবে কামড় বসাবেন না। সহবাসের আরো মানে আছে : পতি-পত্নীরূপে বাস। একসঙ্গে বসবাস। আপনি বলবেন, মানলাম পতি-পত্নীরূপে বাস। কিন্তু পতি-পত্নী কি পরস্পরের বুড়ো আঙুল চোষে? সম্ভবত নবদম্পতির হ্যাংওভার থেকে এখনো বেরোতে পারেননি। কিছুটা সময় যেতে দিন। দেখবেন সহবাসকালে পরস্পরের বুড়ো আঙুল কেন, নিজের বুড়ো আঙুলও কেউ চোষে না। তাদের বিছানাটা ভালো করে দেখবেন ঠিক মাঝখান বরাবর চীনের প্রাচীর দাঁড়িয়ে গেছে। সহবাস : আন্দালিব রাশদী একই ছাদের নিচে একই কক্ষে স্ত্রী ও স্বামী চীনের প্রাচীরে এপারে ও ওপারে বসবাস করছেন, একে কি সহবাস বলবেন না? আপনি বলবেন, দূর, কিসের চীনের দেয়াল, মাঝবরাবর একটা সুতাও নেই। তাহলে শুনুন, এটাই হচ্ছে দাম্পত্যজাদু। এ জাদুর জন্য হুডিনি হতে হয় না, পিসি সরকার কী জুয়েল আইচ হতে হয় না। দেয়ালকে অদৃশ্য করে র...
হাসান মাহামুদের গল্প : একই ছাদের তলে বিভক্তির মঞ্চায়ন

হাসান মাহামুদের গল্প : একই ছাদের তলে বিভক্তির মঞ্চায়ন

Stories
হাসান মাহমুদের গল্প :  একই ছাদের তলে বিভক্তির মঞ্চায়ন হাসান মাহামুদ বিদ্যুৎ নেই অনেক ক্ষণ হয়েছে। আসার যেন নামও নেই। আইপিএসের লাইনে টিউবলাইট জ্বলছে, তাই বিদ্যুতের অভাব খুব একটা বুঝছে না আদ্রিতা। মায়ের পাশে খাটে উপুড় হয়ে শুয়ে শুয়ে হোমওয়ার্ক করছে সে। কিন্তু সময় কাটছে না এলিনের। টেলিভিশন বা সিডি প্লেয়ার চলছে না। তার উপর বিকেল থেকে বিচ্ছিরি রকম এক বিরক্তি ছেয়ে আছে তাকে। সবকিছুতেই কেমন যেন এক সহ্যহীন অস্থিরতা। এই সময়টা প্রতিদিন একা একাই কাটে এলিন আর আদ্রিতার। কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকে রাত ১২টার পর বাসায় ফেরা মাহতাবের নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুপুরে খাওয়ার পর দুতিন ঘন্টা ঘুমায়। এরপর বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অফিসেই থাকে। ঠিকাদারির কাজ চালিয়ে নেয়ার সুবিধার্থে নেয়া হলেও এখন সব কাজের ঠিকানা পুলপারের অফিসটি। সন্ধ্যা নাগাদ ব্যবসায়িক কাজ শেষ হয় তার। পরের সময়টা নেহাত অপচয়। অবশ্য বাসায় ফেরার টানও নেই তার।...

Please disable your adblocker or whitelist this site!

error: Content is protected !!