class="archive paged tag tag-stories tag-2057 wp-custom-logo paged-6 tag-paged-6 group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

Tag: stories

প্রেমের গল্প : মালতী

প্রেমের গল্প : মালতী

Stories
প্রেমের গল্প : মালতী : লিখেছেন : ধ্রুব নীল চেনটা দশ ভরি হবে। বিক্রি করলে ভরিতে সত্তর হাজারের মতো পাবে। সেই হিসেবে সাত লাখ। কম না। কষ্ট করে চললে নিপু আর রাকিব অনায়াসে দুই বছর কাটিয়ে দিতে পারবে। মা আবার হার্ট অ্যাটাক করবে না তো? অবশ্য নিজের মেয়ে গয়না চুরি করেছে শুনলে না-ও করতে পারে। এ গয়না তো মেহেরুন্নেসা তার মেজো মেয়ে রেনুর জন্যই রেখেছিলেন। রেনুর বান্ধবী নিপু। এখন বান্ধবী ডাকার চল উঠে গেছে। সবাই বন্ধু। অবশ্য নিপুকে বান্ধবীই ভাবে রেনু। সেই নিপুর পলান্তি বিয়ে হবে কাল। ভোরে বাকশোপ্যাঁটরা নিয়ে চলে আসবে কাজী অফিসে। রাকিবকে ধরে বেঁধে চাকরির টোপ ফেলে রাজি করানো হয়েছে। রাকিবের কাজ হবে ঘরে বসে এটা ওটা ডিজাইন করা। মাসে ত্রিশ হাজার টাকা পাবে। পুরোটাই রেনুর সাজানো চাকরি। মাসে ত্রিশ করে দুই বছরে লাগবে সাত লাখ বিশ হাজার। শর্ত হলো দুই বছরের মাঝেই আরেকটা চাকরি জোটাতে হবে রাকিবকে। ‘আমার বান্ধবীর বিয়ে...
অতিপ্রাকৃত ছোটগল্প:  দৌড়

অতিপ্রাকৃত ছোটগল্প: দৌড়

Stories
ধ্রুব নীলের ছোটগল্প। অতিপ্রাকৃত গল্প। ১০০ শব্দের গল্প লোকটা দৌড়াচ্ছে। অনকেদনি হলো। সে নির্ঘাৎ ফরেস্ট গাম্প মুভিটা দেখেছে- এমনটা যারা ভেবেছিল তারাও দ্রুত ভুল শুধরে বলতে লাগলো, এমনটাই হওয়ার কথা। মানুষ তো দৌড়াবেই। সবই দৌড়ায়, যেমন দ্রব্যমূল্য- ‘আরে ভাই এর মধ্যে সয়াবিন তেল ঢোকাবেন না তো!’ এরপর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন বৈষয়িক মানুষগুলো দুম করে ভুলে গেলো লোকটার কথা। আমার মাথা থেকে গেলো না। মাথার ভেতর কে যেন বললো, সময় নেই! সময় নেই! ঠিক করেছি, লোকটার সঙ্গে দৌড়াবো। তাই একদিন আমিও ছুটতে শুরু করি। লোকটার পাশে। লোকটা ফিরেও চাইল না। সে হয়তো ধরেই নিয়েছে, আমাকে সে ভুল দেখছে- দৃষ্টিভ্রম, দৌড়ানোর সাইড এফেক্ট? কিছুদিন পর, আবিষ্কার করলাম, আমিই দৌড়াচ্ছি। একা!...
সায়েন্স ফিকশন গল্প : এখন কিংবা…

সায়েন্স ফিকশন গল্প : এখন কিংবা…

Stories
ধ্রুব নীলের সায়েন্স ফিকশন গল্প : তৈয়ব আখন্দ ভুলোমনা। নিজেও জানেন বিষয়টা। অফিসের অর্ধেকটা পথ এসে তার মনে পড়লো তিনি মহাগুরুত্বপূর্ণ একটা ফাইল মেসে ফেলে এসেছেন। রোজ হেঁটে অফিসে যান। কারণ তার ডায়াবেটিস। রোগটার সঙ্গে ভুলে যাওয়ার একটা সম্পর্ক আছে। প্রায়ই ডায়াবেটিসের কথা বলে পার পেয়ে যান। আজ সেই উপায় নেই। ফাইল না নিয়ে গেলে চাকরি থাকবে না। চাকরি গেলেও ফাইলটা অফিসে পৌঁছে দিতে হবে। তৈয়ব ভাবছেন অফিসে গিয়ে আবার বাসায় চলে আসবেন, নাকি চট করে রিকশা নিয়ে ফিরে যাবেন। ভাবতে ভাবতে রমনা পার্কের পাশের ফুটপাতে দাঁড়ালেন। পানওয়ালার কাছ থেকে পান নিয়ে চিবুতে শুরু করলেন। ‘কী মশাই গাছের পাতায় এনার্জি আছে? বেশ বেশ।’ আগন্তুককে দেখে পাগল কিসিমের মনে হলো না। চেহারাটা অদ্ভুত। একবার এক রকম লাগছে। কখনও চওড়া চিবুক, কখনও গোলগাল তেলতেলে, আবার কখনও পুরনো আমলের মাস্তানদের মতো লম্বা চুল-জুলপি। ডায়াবেটিসে চোখও ন...
ধ্রুব নীলের অতিপ্রাকৃত সায়েন্স ফিকশন : যে কারণে ঘোর বর্ষা দেখতে নেই

ধ্রুব নীলের অতিপ্রাকৃত সায়েন্স ফিকশন : যে কারণে ঘোর বর্ষা দেখতে নেই

Stories
  বর্ষা খুব বেশি হলে তাকে ঘোর বর্ষা বলে। এর কারণ, অধিক বর্ষায় এক ধরনের ঘোর লাগে। তবে সত্য কথাটা হলো এই ঘোর সবার লাগে না। আমার লাগার কথা ছিল কিনা জানি না, তবে ১৯৯০ সালের ওই ঘটনায় আমি একবার ভীষণ এক বর্ষা-ঘোরে পড়ে গিয়েছিলাম। মাসটা ছিল আষাঢ়। দুলার হাটে আমি আগে কখনো যাইনি। আমার এক বন্ধু আরিফের বাড়ি ওই গ্রামে। আরিফ আমাদের এলাকায় থাকতো তার বাবার চাকরির কারণে। ছুটি পেলে বাড়ি যেত। দুর্গম পাহাড়-পর্বত বা সমুদ্র নয়, অচেনা ছিমছাম গ্রামই আমাকে বেশি টানতো। তাই নতুন গ্রাম দেখার লোভে আরিফের সঙ্গে যেতে একবার রাজি হয়ে যাই। বাড়িতে ম্যানেজ করতে কষ্ট হলেও আমার জেদের কাছে হার মানে সবাই। যে সময়ের কথা বলছি, তখন মোবাইল-টেলিফোন ছিল না। ছিল শুধু ফিল্মের ক্যামেরা। আমি তখন কলেজে। আমার একটা ক্যামেরা ছিল। ওটা ছিল যাবতীয় অ্যাডভেঞ্চারের একমাত্র সঙ্গী। পকেটে অবশ্য একটা নোটবুক আর কলম রাখার বাতিকও ছিল। দুলার হাটের ...
ধ্রুব নীলের সায়েন্স ফিকশন গল্প | একটি লম্বা সকাল

ধ্রুব নীলের সায়েন্স ফিকশন গল্প | একটি লম্বা সকাল

Stories
বড় কোনো ডিগ্রির ভার নেই। তবে সাংবাদিক হিসেবে এলাকায় আমার খ্যাতি অনেক। সম্পাদক মশাই তো বলেন আমার রান্নার হাত বেশ। কথাটা প্রশংসা হিসেবেই নিই। আজকাল খবরে এক আধটু মশলা ভালো করে কষিয়ে না দিলে চলে না। প্রায়ই নানান অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ পাই। সব রক্ষা করা হয় না। তবে গতকাল চিঠিটা পাওয়ার পরপরই সিদ্ধান্ত নিই নিমন্ত্রণটা আমাকে রক্ষা করতেই হবে। কারণ চিঠিটা পাঠিয়েছেন স্বয়ং বিজ্ঞানী সিদ্ধার্থ। নামজাদা বিজ্ঞানী। নিভৃতে পড়ে থাকেন অলকেশ্বর রোডের বিদঘুটে বাড়িটায়। দেখে মনে হয় জেলখানা। কীসের বিজ্ঞানী তা কেউ জানে না। তবে বিদেশি পত্রপত্রিকায় তাকে নিয়ে নিয়মিত ছাপা হয়। ‘যাচ্ছি মালতী! বিকেলের আগে ফিরতে পারব কিনা জানি না।’ বউকে বলতে বলতে জুতো পায়ে গলাচ্ছিলাম। ‘নাস্তা করবে না?’ ‘সকালের নাস্তাটা তো তিনি অবশ্যই করাবেন। এত বড় বিজ্ঞানী। এত টাকার মালিক।’ জুতোর ফিতে বাঁধতে বাঁধতে হুলোকে বললাম ‘যা! আমার জন্য রাখা দুধটা ...
অতিপ্রাকৃতিক গল্প : খোলস | লেখক : ধ্রুব নীল

অতিপ্রাকৃতিক গল্প : খোলস | লেখক : ধ্রুব নীল

Stories
সকাল সকাল সাইকেলের প্যাডেল দাবিয়ে চলেছেন তৈয়ব আখন্দ। চকচকে টাক, পেছনে কয়েক গাছি চুল, গোলগাল মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি, সামান্য ভুড়ি; এমন একটা মানুষের নাম তৈয়ব আখন্দ হওয়াই তো স্বাভাবিক!   তৈয়ব আখন্দ সম্ভবত কোনো একটা ছোটখাট কোম্পানিতে চাকরি করেন। ছোটখাট পদে। বড় পদ হলে চকচকে স্যুট টাই পরতেন। তৈয়ব আখন্দের এসব নেই। আছে একটা পুরনো বাইসাইকেল।   অফিসে যাওয়ার সময় কোনো দিকে তাকান না তৈয়ব। এক সপ্তাহ হলো তাকাচ্ছেন। গুলিস্তানের এক কোনায় ফুটপাতের পাশে সুড়ঙ্গের মতো সরু একটা চায়ের দোকানের সামনে বসে থাকে লোকটা। সাধু সন্ন্যাসীর মতো। তৈয়ব আখন্দের মতোই মাথাভর্তি টাক। খানিকটা ভুড়িও আছে।   চিরকুমার তৈয়ব আখন্দ আয়না দেখেন না বহুদিন। দেখলে অবাক হতেন। সন্ন্যাসীর মতো লোকটা অবিকল তার মতো দেখতে। অবিকল মানে অবিকল। দাড়ি কমায় মিল। নিজের চেহারা কেমন সেটা ভুলে গেছেন বলেই লোকটার দিকে কেবল ...
আধিভৌতিক রহস্য থ্রিলার গল্প: পোর্ট্রেট

আধিভৌতিক রহস্য থ্রিলার গল্প: পোর্ট্রেট

Stories
ধ্রুব নীলের রহস্য গল্প ১ রাত সাড়ে দশটা। বছর দশেক হবে মেয়েটার বয়স। মায়াবি চোখ। কোঁকড়া চুল। চোখে ঘুম ঘুম ভাব। ঘুণে ধরা টেবিলের সামনে নড়বড়ে এক চেয়ারে বসে কারো জন্য অপেক্ষা করছে কারো জন্য। ছোট্ট ঘরটায় অল্প পাওয়ারের বাতির মিটিমিটি আলো তার ঘুমটা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে যেন। যে করেই হোক জেগে থাকতে হবে। অপেক্ষার পালা শেষ হলো আধঘণ্টা পর। দরজা খোলার শব্দ শুনেই বোঝা যায় চুপিসারে ঢুকেছে কেউ একজন। মেয়েটা সচকিত। ড্রয়ার খুলে পেনসিল আর খাতা নিয়ে টেবিলে রাখল ঝটপট। পেনসিলের ডগাটা পরখ করে নিল। একদম তৈরি ওটা। শার্পনার আর ইরেজারও হাতের নাগালে। মেয়েটার পেছনে এসে দাঁড়াল লুঙ্গি আর পুরনো সোয়েটার পরা মধ্যবয়সী লোকটা। যে কিনা একটু আগেই ঘরে ঢুকেছে। কোনো কথা না বলে হাতের মোবাইল ফোনটা রাখল মেয়েটার সামনে। স্ক্রিনে এক যুবকের ছবি। ঘাড় বাঁকিয়ে ছবির দিকে তাকাল মেয়েটা। তাকিয়েই রইল। চোখ আর ফেরাল না। খাতার ওপর চলতে শুরু করল প...
আধিভৌতিক গল্প : জাদুকরের প্রতিশোধ | ধ্রুব নীল

আধিভৌতিক গল্প : জাদুকরের প্রতিশোধ | ধ্রুব নীল

Stories
রাস্তায় জটলা দেখলেই বুক চিতিয়ে জায়গা করে নেন আলমগীর মিন্টু। লম্বায় ছফুট, শক্তসমর্থ, জিম করা পেটা শরীর। নিজের শারীরিক শক্তি দেখানোর জন্য ‘দেখি তো’ ‘সরে দাঁড়ান’ বলারও প্রয়োজন বোধ করেন না। লোকে তাকে দেখে এমনিতেই জায়গা করে দেয়। বয়স পঞ্চাশ পার হয়েছে। বেসরকারি কোম্পানির সেলসে আছেন। মুখে আয়েশি হাসি লেপ্টে থাকে সবসময়। দশাসই শরীরের কারণে তার মনে হয় একদিন না একদিন সুযোগ আসবে। কীসের সুযোগ? সেটা মিন্টুর কাছে পরিষ্কার নয়। হয়ত কারো সঙ্গে তুমুল হাতাহাতি কিংবা রাস্তায় কোনো ছিনতাইকারীকে ধরে বেদম পেটাবেন। তা না হলে এমন শরীর বানিয়ে লাভ কী! ‘ভাইসব। এখন যে জাদুটা দেখাইব তাতে আপনেরা মজা পাইবেন একশ টাকার, খরচ হইব দশ টেকা। আগে দশ টেকা কইরা দেন, তারপর দেখাই।’ রাত দশটার মতো বাজে। রাজধানীতে বিশেষ রাত নয়। তবে ঈদের পর পর হওয়ায় পথঘাট সুনসান। এর মাঝে মিরপুরের মাজার রোডের এক গলির ভেতর থেকে কথাটা শুনে এগিয়ে গেলেন মি...
হুমায়ূন আহমেদের সেরা বই | রইল ১০টি বইয়ের রিভিউ

হুমায়ূন আহমেদের সেরা বই | রইল ১০টি বইয়ের রিভিউ

Stories
হুমায়ূন আহমেদ- বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় লেখক। ১৯৪৮ সালে নেত্রকোনা জেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকাশিত বই তিন শতাধিক। ৬৩ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মারা যান তিনি। আজ রইল হুমায়ূন আহমেদের সেরা বই নিয়ে বিশেষ আয়োজন।   হুমায়ূন আহমেদের সেরা বই | রইল সেরা ১০   সে ও নর্তকী হুমায়ূন আহমেদের সেরা বই গুলোর মধ্যে ‘সে ও নর্তকী’র নাম আসবেই। উপন্যাসটি স্বাতীকে নিয়ে শুরু হলেও আরও দুই চরিত্র রুবি, লিলিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তিনজনের জীবন জড়ানো হাসনাত নামের এক চিত্রকরের সঙ্গে। স্বাতী একজন চমৎকার পরিবারের মেয়ে। ওর মা বাবা ওকে অনেক ভালবাসে। কিন্তু ও এটাকে তাদের নাটক ভাবে। ছোট থেকে তাদের ঝগড়া দেখে আসছে। বাবা মায়ের ঝগড়া কেমন প্রভাব ফেলে সন্তানের উপর তা লেখক সুন্দর ভাবে লিখেছেন। মাকে শাস্তি দিতে গিয়ে একজন ডিভোরসি চিত্রকরের সঙ্গে জড়িয়েছে। লিলি স্বাতীর একজন কাছের ...
হরর গল্প : তার ভেজা চুল

হরর গল্প : তার ভেজা চুল

Stories
হরর গল্প : তার ভেজা চুল। লিখেছেন সজল সরকার। মাথার ওপর যে সিলিং ফ্যানটা ঘুরছিল তার গতি হঠাৎই কেমন জানি একটু কমে গেল। ওপরে তাকাতেই চোখ ছানাবড়া হলো আবিরের। ফ্যানের তিনটি পাখায় ঝুলে আছে মেয়েদের লম্বা ভেজা চুল। মনে হচ্ছে যেন তিন পাখার ওপরেই বসানো রয়েছে তিনটি মেয়ের কাটা মাথা, আর তাদের চুলগুলো ঝুলছে পাখার নিচে। ফ্যান তখন কিছুটা ধীর গতিতে ঘুরছে, সঙ্গে সঙ্গে চুলগুলোও দুলছে। দলা পাকানো চুল থেকে দু’একটা ফোটা করে পানি ঝরছে অবিরত। রাতের অন্ধকারে লিফ্টে ওঠার পর যে আবছা ছায়ায় কিছু একটা দেখেছিল তা-ই এখন পর্যন্ত মাথা যাচ্ছে না আবিরের। এখন আবার সিলিং ফ্যানের এই দৃশ্য। ভেতরটা দুমরে মুচরে আসছে, ভয়ে বুকটা কেঁপে উঠার সমানতালেই মাথাটাও চক্কর দিচ্ছে এবার। দুই দিনের মধ্যেই এ্যাসাইনমেন্ট দিতে হবে, ল্যাপটপের দিকে তাকাতে পারছে না এখন। সারাদিন ক্লাস করতেও ভাল লাগেনি। গত কয়েকদিন ধরেই ঘুম হচ্ছে না। মাথাটা ঝিমঝিম করে ...
সায়েন্স ফিকশন গল্প টিম্ভুত

সায়েন্স ফিকশন গল্প টিম্ভুত

Stories
ধ্রুব নীলের সায়েন্স ফিকশন গল্প টিম্ভুত   ১ ‘ওই যে দেখতাসো। সামনের দাঁত নাইওয়ালা লোকটা। খবরদার ওর সামনে যাইবা না!’ ‘টেকো মাথা? চা খাচ্ছেন যিনি কপাল কুঁচকে?’ ‘হ। ও কিন্তুক মানুষ না, ওইটা একটা ভূত। দিশাভূত।’ ‘দিশা ভূত কী জিনিস? দিয়া ভূত টাইপের?’ ‘ওই একই কথা। দিয়া ভূতের বাপ! যারে ধরে সে দিশহারা হয়। পুরা ভ্যাবলা হইয়া ঘুরতে থাকে। আমারে অবশ্য এহনও ধরে নাই।’ এসেছিলাম মটুয়া গ্রামে বেড়াতে। বিকেলটা ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম এদিক ওদিক। গ্রামটা বেশ মায়াময়। যেতে ইচ্ছে করে না। আমার স্কুল বন্ধুদের অনেকের বাড়ি এখানে। চাকরিজীবনে ঢোকার পর অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। তবে অনেক দিন পর ইদ্রিস কাকার দেখা পেলাম। তিনিই আমাকে সতর্ক করলেন লোকটার ব্যাপারে। আগাগোড়া যাকে মানুষই মনে হচ্ছে। তবে অদ্ভুত একটা ব্যাপার তো আছেই। চোখে ঠিকমতো ধরা পড়ছে না এখনও। স্মার্টফোনের স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে লোকটাকে ভাল করে দেখলাম। চোখে...
অতিপ্রাকৃত গল্প: কে? – ধ্রুব নীল

অতিপ্রাকৃত গল্প: কে? – ধ্রুব নীল

Stories
দরজায় টোকা দিল কেউ। মানুষের মগজের প্রসেসিং ক্ষমতা নিয়ে কোনো গবেষণা হয়েছে? একটি টোকার শব্দ থেকে কতদ্রুত কত কী আমরা একসঙ্গে ভেবে বসতে পারি? আমি লেখক বলে একটু বেশি বা দ্রুত ভাববো ব্যাপারটা তা নয়। লেখালেখিটা নিছক ক্রাফট। মাথার ভেতর আমরা সবাই লেখক। আবারও টোকা। কিছুই ভাবিনি দুই টোকার বিরতিতে। বসেছিলাম কম্পিউটারের সামনে। একটা কিছু লেখা দরকার। মাথায় ঘাপটি মেরে বসে আছে মধ্যবয়সী এক লোক। দাঁত কেলিয়ে হেসে যাচ্ছে অনেকদিন ধরে। তাকে নিয়ে একটা আধিভৌতিক গল্প লিখতেই হবে নাকি। লেখক হিসেবে কাউকে উপেক্ষা করার শক্তি আমার নেই। রাত আড়াইটা। ইন্টারনেট থাকায় কম্পিউটার-মোবাইলে এখন ভুল সময় দেয় না। অবশ্য সময়ের আবার ভুল সঠিক কী! কে আসতে পারে? এত রাতে সিকিউরিটিকে পাশ কাটিয়ে কেউ ঢুকতে পারবে না। গেট বন্ধ থাকবে। ভদ্রোচিত কেউ এলেও গার্ড ইন্টারকমে জানাবে। আশপাশের কোনো ফ্ল্যাট থেকে কেউ আসবে...
ধ্রুব নীলের গল্প : ক্লেপটোম্যানিয়া

ধ্রুব নীলের গল্প : ক্লেপটোম্যানিয়া

Stories
ধ্রুব নীলের গল্প : ক্লেপটোম্যানিয়া পিন্টু তালুকদারের মতে চুরি করা পৃথিবীর সবচয়ে সহজ কাজ। ধরা পড়ার অংশটুকু নিয়ে কখনই মাথা ঘামান না তিনি। মিন্টুকে সাহেব বলার কারণ তিনি সবসময় কেতাদুরস্থ চলাফেরা করেন। আংশিক টাক পড়া কাঁচাপাকা চুলে হাত বুলোতে বুলোতে কথাও বলেন বুদ্ধিদীপ্ত। তার সমস্যা একটাই। চুরি না করে থাকতে পারেন না তিনি। চুরি করাটা মিন্টু সাহেবের অভ্যাস। তিনি এটাকে বদভ্যাস বলতেও রাজি না। বদভ্যাস হলো ধূমপান, মদ্যপান এসব। চুরি করাটা শরীর-স্বাস্থ্যের জন্য যেহেতু ক্ষতিকর নয়... যাক সে আলাপ। মিন্টু সাহেবের যথেষ্ট টাকাকড়ি আছে। সব কিন্তু চুরি করে পাওয়া নয়। তিনি চাকরি করেন। ঢাকায় ফ্ল্যাট না থাকলেও বেশ ভালো একটা বাসা ভাড়া করে থাকেন। তার স্ত্রী কলেজের প্রভাষক। ছেলে মোবাইলে গেমস খেলে। ছোট মেয়ে ইউটিউবে ভিডিও দেখে। বাইরে থেকে দেখে কে বলবে যে মিন্টু সাহেব মানুষের বাসায় চুরি করে বেড়ান। মিন্টু সাহেব ক...
ধ্রুব নীলের রম্য রচনা : সাপ ও ওঝা

ধ্রুব নীলের রম্য রচনা : সাপ ও ওঝা

Stories
ধ্রুব নীল এক দেশে ছিল এক সাপ। তার ছিল ভয়ংকর বিষদাঁত। কিন্তু আফসোসসসস্। ফ্ল্যাট-এপার্টমেন্টের যুগে কামড় দেয়া দায়। দাঁতজোড়া সারাদিন কুটকুট করে। ছোবল আর দেওয়া হয় না। কামড় দিয়েই বা লাভ কী। বিদেশি ইনজেকশন চলে এসেছে। মরার জো নেই। ভয়ানক বিষাক্ত হয়েও এমন অস্তিত্ব সংকট আগে কখনও টের পায় নাই বেচারা সাপ। সারাদিন মুখের মধ্যে একটা মাইনরিটি ভাব নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। এদিকে কাউকে কামড়াতে না পারায় তার বিষগুলো সব জমা হলো মস্তিষ্কে। সেখানে তৈরি হলো এক বিষবুদ্ধি। আধুনিক ওষুধের কারণে ওঝাদের ব্যবসা মন্দা। ওঝারা খেয়ে না খেয়ে আছে। সাপ গেল সেই ওঝার বাড়িতে। ‘ওঝা ভাই। আমি গোবেচারা গোখরা। তোমার সঙ্গে একটা ডিপলোমেটিক আলাপ আছে। দরজা খোলো।’ চিপায় পড়া ওঝা সাত পাঁচ না ভেবে দরজা খুলে দিল। পিঁড়ি পেতে সাপকে বসতে দিল। এরপর দরজা লাগিয়ে শুরু করলো রুদ্ধদ্বার বৈঠক। ‘বল, তোমার অফারটা কী শুনি।’ ‘অফারটা সোজা। এখন তো আর...
তৈয়ব আখন্দ ঘড়িবিতান

তৈয়ব আখন্দ ঘড়িবিতান

Stories
অতিপ্রাকৃত বাংলা গল্প : তৈয়ব আখন্দ ঘড়িবিতান লিখেছেন ধ্রুব নীল   পাহাড়ি টিলার ওপর একচালা ঘর। ঘড়ির দোকান। চা-বিস্কুট বা মুদি দোকান হলে কথা ছিল। কিন্তু তৈয়ব আখন্দ ঘড়ির দোকানটা ছাড়েন না। বাপদাদার আমলের দোকান। পরিবারে বড় অশান্তি। আয়-রোজগার নেই। লোকে এখন ঘড়ি তেমন কেনে না। তৈয়ব আখন্দের স্ত্রী রাস্তার মোড়ে সবজি বিক্রি করে কিছু রোজগার করেন। ‘আব্বা, ঘড়িতে ফুঁ দাও ক্যান?’ ‘এমনি এমনি দিই। অভ্যাস। ঘড়ি ঠিক করার টাইমে একটু ফুঁ ফাঁ দিতে হয়।’ ‘আব্বা, সিন্দুকের ঘড়িটা কবে ধরতে দিবা?’ মিজানের তর সয় না। সে যা-ই বলুক, শেষে সেটা সিন্দুকের ঘড়িতে গিয়ে আটকে যায়। তৈয়ব জবাব দেন না। সিন্দুকের ঘড়ির ব্যাপারে তিনি বিশেষ কথা বলেন না। ছেলের অতি আগ্রহে তার কিছু যায়-আসে না। পোলাপানের আগ্রহ সবখানেই। তৈয়ব আবারও ফুঁ দেন। মিজান জানে, এটা হলো ফাইনাল ফুঁ। মানে ঘড়ি ঠিক হয়ে গেছে। ‘আইজকা তো স্কু...

Please disable your adblocker or whitelist this site!