অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নেওয়ার চেয়ে অসুস্থ না হওয়ার চেষ্টা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা যত শক্তিশালী হবে ততই রোগ, সংক্রমণ, প্রদাহ থেকে শরীরকে রক্ষা করা সহজ হবে। আয়ুর্বেদ চিকিৎসা অনুযায়ী, ভেষজ এমন অনেক উপাদান আছে যেগুলি হজম ব্যবস্থা, বিপাক, পুষ্টির শোষণ এবং আরও অনেক কিছুর সাহায্যে শরীরকে পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানসিক চাপে থাকলে তা মনের পাশাপাশি শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থার উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। যখন কেউ মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যায়, তার অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি থেকে কর্টিসল এবং অ্যাড্রেনালিনসহ একাধিক হরমোন বের হয়, যা শরীরকে সেই চাপ মোকাবেলায় সহায়তা করে। মানসিক চাপ কমানোর বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে। এর মধ্যে মেডিটেশন, যোগব্যায়াম, ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উল্লেখযোগ্য।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরের শক্তি বাড়াতে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার যুক্ত করতে পারেন। যেমন-
আমলকি: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আমলকির জুড়ি নেই। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আমলকি গোটা খাওয়া যায়। এছাড়া এটি গুঁড়া বা রস করেও খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যামিনো অ্যাসিড এবং খনিজ রয়েছে। হজমের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে আমলকি বেশ উপকারী।
অশ্বগন্ধা: প্রাণশক্তি বাড়াতে, ক্লান্তি কমাতে এবং শক্তি বাড়াতে অশ্বগন্ধা বেশ কার্যকরী। এটি পাউডার আকারে, ট্যাবলেট হিসাবে বা অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদানগুলির একত্রীকরণের অংশ হিসাবে গ্রহণ করা যেতে পারে। এটি অস্থিসন্ধির ব্যথা এবং অনিদ্রা নিরাময়েও উপকারী।
জিরা : জিরা বিপাকক্রিয়া বাড়াতে ভূমিকা রাখে। এটি পেটের জন্যও বেশ উপকারী।
রসুন : রান্নাঘরের উপাদানের মধ্যে পুষ্টির পাওয়ার হাউস বলা যায় রসুনকে। এটি ত্বকের সংক্রমণ, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং ছত্রাকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে । এছাড়া রসুনের সঙ্গে লবঙ্গ খেলে কোলেস্টেরল কমাতেও ভূমিকা রাখে।
আদা : আদা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের দারুণ একটি উত্স। গ্যাসের সমস্যাসহ , শরীরের বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ কমাতে এটি সহায়তা করে।
মাশরুম : মাশরুম ভিটামিন বি এবং সেলেনিয়ামের সমৃদ্ধ একটি উত্স। নিয়মিত মাশরুম খেলে শরীরে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে।
নিম পাতা : নিম আয়ুর্বেদের অন্যতম শক্তিশালী রক্ত পরিশোধক এবং ডিটক্সিফায়ার। নিমের তেল পেশি ও অস্থিসন্ধির ব্যথা নিরাময়ে ভূমিকা রাখে। এছাড়া নিমের গুঁড়া বা রস লিভারের জন্য দারুণ উপকারী। নিয়মিত এই পাতার রস খেলে হজমশক্তি বাড়ে। সেই সঙ্গে অন্ত্রের অতিরিক্ত ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়।
পালংশাক : পালংশাক একাধিক পুষ্টি উপাদানযুক্ত একটি সুপারফুড যা দেহকে নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার শরীরের নানা উপাকার করে।
হলুদ : এই প্রাকৃতিক মশলাটি কফ পরিষ্কার করতে এবং ভালো হজমে বেশ কার্যকর।
ভার্জিন নারকেল তেল : নারকেল তেলে থাকা নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে ভূমিকা রাখে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস