উত্তর গ্রিক আইল্যান্ড অ্যালোনিসোসের কাছে পড়ে ছিল ডুবে যাওয়া প্রাচীন গ্রিক জাহাজটি। পণ্যবোঝাই বিশাল জাহাজটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়েছে। মিউজিয়াম সাইটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে প্রাচীনকালে ডুবে যাওয়া আরো বেশ কয়েকটি জাহাজকে।
এ ঘটনা পাল্টে দিয়েছে এ বিষয়ে প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা।
প্রাচীন জাহাজকে জাদুঘরে রূপান্তরের এই ঘটনা বিশ্বে প্রথম। জাদুঘরে ডাইভিং খেলোয়াড়সহ যে কেউ বিনোদনের জন্য প্রবেশ করতে পারবে।
গ্রিসে পানির নিচে থাকা এই সমৃদ্ধ ঐতিহ্য দীর্ঘদিন ধরে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। মূলত কিছু নির্বাচিত প্রত্নতাত্ত্বিকদের সেখানে প্রবেশাধিকার ছিল। ২০০৫ সাল পর্যন্ত কয়েকটি নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া নিষিদ্ধ ছিল স্কুবা ডাইভিংও। কারণ দেশটির সাগরতলে ছড়িয়ে থাকা প্রত্নসামগ্রী হারিয়ে যাওয়ার ভয় ছিল।
সরকার পানির নিচে থাকা প্রাচীন জাহাজটিকে জাদুঘরে রূপান্তরের প্রকল্প হাতে নেয়। এরপর পাল্টে যায় পরিস্থিতি।
স্কুবা ডাইভাররা ওই মিউজিয়ামে ভ্রমণ করতে পারবে। আর সাধারণ মানুষ তথ্য কেন্দ্রগুলোতে সাইটগুলো উপভোগ করতে পারবে ভার্চুয়াল বাস্তবতার মাধ্যমে।
মিউজিয়াম সাইটগুলোর মধ্যে প্রথমটি হলো পেরিস্তেরা শিপরেক। ১৯৯০-এর দশকের প্রথম দিকে এটি আবিষ্কৃত হয়েছিল। জাহাজটি হাজার হাজার রোমান জার, নকশাকৃত কন্টেইনার, মদের পাত্র ইত্যাদি। খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দির শেষ দিকে এটি ডুবেছিল।
জাহাজটিতে কাঠের তৈরি বস্তুগুলো নষ্ট হয়ে গেলেও সেগুলো দর্শনীয়। আর হাজার হাজার প্রাচীন পাত্রগুলো পরিণত হয়েছিল মাছ, স্পঞ্জ এবং অন্যান্য সমুদ্রিক প্রাণির বাসস্থান।
ধ্বংসাবশেষগুলো এখনো রহস্যময়। জাহাজটির কেবল ছোট একটি অংশ খনন করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় গ্রিসের পাগাসিটিক উপসাগরের তিনটি জাহাজও এ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি ইউরোপীয় কমিশনের ব্লুমেড প্রোগ্রামের অংশ। প্রকল্পটিকে ইতালি ও ক্রোয়েশিয়া পর্যন্ত প্রসারিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
২০২১ সালের গোড়ার দিকে বিনোদনমূলক ডাইভিং সাইটগুলো সম্পূর্ণরূপে খোলার আশা করা হচ্ছে। এই গ্রীষ্ম এবং আগামী বছর পরীক্ষামূলক ডাইভিং অনুষ্ঠিত হবে। সাগরতলে
সূত্র : দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড