অনিয়মের পর ফিটনেস রুটিনে ফেরার টিপ্স রইল তোমাদের জন্য।
শুরুটা করো ধীর গতিতে: প্রথম দিনেই জিমে ফিরে গিয়ে ট্রেনারকে তাক লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা কোরো না, শুরুটা করো ধীরে৷ প্রথম কয়েকদিন হাঁটো, সাঁতার কাটো৷ তারপর ভারী এক্সারসাইজ়ের দিকে যাবে৷ প্রথম সপ্তাহে টানা একটা ব্যায়াম করো, পরের সপ্তাহে আবার নতুন কিছু যোগ করে নেবে৷ যোগাসন করতে পারলেও খুব ভাল ফল পাবে, বাড়বে ফ্লেক্সিবিলিটি৷
খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন আনো: খাবারের তালিকাটা বদলে ফেলো এবার৷ সাদা ভাত খাওয়ার অভ্যেস থাকলে সেটা বদলে ফেলো ব্রাউন রাইসে৷ নুন আর চিনি খাওয়ার পরিমাণও কমাও৷ জল খাও বেশি৷ রাতারাতি পাঁচ লিটার জল খেতে পারবে না, কিন্তু প্রতিদিন এক গ্লাস করে জল খাওয়া বাড়ানো অসম্ভব নয়৷
কার্বোহাইড্রেট একেবারে বাদ দিয়ো না: ‘নো কার্ব’ নয়, বরং ‘লো কার্ব’ ডায়েটই কিন্তু যথাযথ। খাদ্যতালিকা থেকে রাতারাতি ভাত-রুটি ছেঁটে ফেললেই কিন্তু তোমার এনার্জি লেভেলে ঘাটতি দেখা দেবে৷ তাই হুট করে না ভেবেচিন্তে কার্বোহাইড্রেট বন্ধ করবে না৷
যাই শুরু করো না কেন, মাঝপথে ছেড়ে দেবে না: মাঝপথে ব্যায়াম বন্ধ করে দেবে না, খাওয়াদাওয়ার নিয়মটাও মেনে চলতে হবে৷ কিছুদিন টানা চালিয়ে না গেলে ফলের আশা করাই বৃথা!
ডিটক্স করো: এই ক’দিন টানা উলটোপালটা খাবার খেয়ে শরীরে জমেছে প্রচুর টক্সিন। আর শরীরকে ডিটক্স করার সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি হল প্রচুর জল খাওয়া। দিনে অন্তত দু’ লিটার জল খাওয়ার অভ্যেস করতে শুরু করো।
ঘুমই আসল বন্ধু: এই ক’দিন তো শুধু বাইরে খাওয়াই নয়, সঙ্গে চলেছে প্রচুর ঘোরা, ঠাকুর দেখা, রাত জাগা ইত্যাদি! কাজে ফেরার এনার্জি যে নেই, এতে শরীরেরই বা কী দোষ? একমাত্র সলিউশন, পর্যাপ্ত ঘুম। অন্তত একটা সপ্তাহ চেষ্টা করো দিনে আট থেকে দশ ঘণ্টা ঘুমোনোর জন্য রাখার।
হেলদি খাও: খাবারের লিস্টে রাখো গ্রিন টি অথবা যে কোনও হার্বাল চা, মিল্কশেক, কলা, সবজি, ডাবের জল, টক দই।
কফি বাদ: যত ক্লান্ত লাগবে ততই জেগে থাকার জন্য কফি খাওয়ার ইচ্ছে হবে! কিন্তু আপাতত এই অভ্যেসটা থেকে যত সম্ভব দূরে থাকো। অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরকে ডিহাইড্রেট করে দেয়। তাই ক্লান্তি কাটানোর জন্য কফি এখন এক্কেবারেই চলবে না।