করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর হাঁচি-কাশির সংস্পর্শে এলে সংক্রমিত হতে পারে যে কেউ। এটাকে বলা হয় ড্রপলেট ইনফেকসন। এ ধরনের ভাইরাস থেকে বাঁচতে মাস্কই একমাত্র ঢাল। ভ্যাকসিন দেওয়া থাকলেও এটি পরতে হবে। আর তাই জেনে নিন মাস্ক পরার নিয়ম ।
অনেকেই ফেস-মাস্ক ব্যবহার করছেন। কিন্তু ভুল পদ্ধতিতে!
মাস্ক পরার নিয়ম
সাধারণত বেশি যেটা দেখা যায়, সেটা হলো সার্জিক্যাল মাস্ক। সুস্থ ও অসুস্থতার ক্ষেত্রে এ মাস্কের ব্যবহারবিধি ভিন্ন। সার্জিক্যাল মাস্ক-এর একপাশে নীল ও অন্যপাশে সাদা থাকে। সুস্থ থাকলে মাস্কটির সাদা রংয়ের অংশটি সামনে রেখে পরতে হবে। অসুস্থ হলে মানে জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি থাকলে নীল রংয়ের অংশটি সামনে রেখে পরতে হবে।
চাইলে কাপড়ের মাস্কও ব্যবহার করা যায়। সেক্ষেত্রে সুতি কাপড় তিন বা দুই স্তরের হলে ভাল হয়। অথবা যে কোনও কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করতে চাইলে তার নিচে বাড়তি সার্জিক্যাল মাস্ক পরে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে মাস্ক ঠিকমতো আপনার মুখে লেগে আছে কিনা এবং কোথাও যেন ফাঁকা না থাকে।
সার্জিক্যাল মাস্ক কখনোই কাপড়ের মাস্কের উপরে পরা উচিত নয়। একসাথে দুটি সার্জিক্যাল মাস্কও পরা যেতে পারে।তবে উত্তম হলো ভাল মানের তিন স্তর বিশিষ্ট একটি সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করা। মনে রাখতে হবে এসব মাস্ক একবারের বেশি ব্যবহারের সুযোগ নেই। একই মাস্ক একাধিকবার ব্যবহার করলে সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়ে।
কাপড়ের মাস্ক ধুয়ে পুনরায় ব্যবহার করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুতে হবে। সার্জিক্যাল মাস্ক ধোয়া যাবে না।
শিশুদের জন্য বাজারে ছোট সাইজের মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে। সেসব চাইলে ব্যবহার করা যায়। তবে তাদের সতর্ক করতে হবে যেন তারা মাস্ক স্পর্শ না করে।