জামাল হোসেন: “দানশীল ব্যক্তি আল্লাহ্র প্রিয় যদিও সে কাফের হয়”। কেও কেও এই উক্তিটিকে হাদিস হিসেবে বর্ণনা করে থাকেন অথচ এটা হাদিস নয়, অতি উৎসাহী কোন ব্যাক্তির কথা। খাজা মিজামুদ্দীন আউলীয়া (রাহঃ) কে এই উক্তিটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এটা হাদিস নয়; কারও উক্তি। (ফাওয়ায়েদুল ফুয়াদ ১০৩, তারীখে দাওয়াত ও আযীমত ৩/১২৭-১২৮)
এই কথাটিও ঠিক নয়। কারণ আল্লাহ্র নিকট এই দান গ্রহন যোগ্য, যা ইমান ও ইখলাসের সাথে হয়ে থাকে। ইমান নাই এমন লোকের দান সম্পর্কে আল্লাহ্ বলেন, “ আমি তাদের কৃতকর্মের প্রতি মনোনিবেশ করব। এরপর সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধুলিকণারুপ করে দিব”।(সুরা-ফুরকান আয়াত-২৩) এই আয়াত দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, যে আমলে আন্তরিকতা থাকবেনা আল্লাহ্র শরীয়াত অনুযায়ী যে আমল হবে না তা বাতিল এবং বিফল হয়ে যাবে। কাফেরদের আমলে এই দুটির কোনটিই নেই। ফলেই তা কবুল হওয়ার কোন সুযোগ নাই। এজন্য আল্লাহ্ বলছেন যে আমি তাদের কাজগুলি বিবেচনা করব, তারপর অগুলাকে বিক্কিপ্তপ ধুলি কনায় পরিণত করব।
আমার এই উক্তিটি এভাবেও শুনা যায় যে, ‘দানশীল ব্যক্তি আল্লাহ্র প্রিয়, যদিও সে পাপী হোক’। এটাও হাদিস নয় এবং কথাটিও সত্য নয়। পাপ আর আল্লাহ্র প্রিয়পাত্র এক হতে পারে না।