মাছ ধোয়ার জন্য ব্যবহার করা পানি কিন্তু গাছের জন্য ভালো সারের কাজ করবে। টবের গাছের জন্য মাছ ধোয়া পানিতে থাকে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাসিয়াম এবং জৈব উপাদান। মাছ ধোয়ার পর পানিতে বেশিরভাগ উপকারী পুষ্টি উপাদান যেমন রক্ত, খনিজ পদার্থ এবং চর্বি ধুয়ে যায়। ওই পানিতে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাসিয়াম জৈব উপাদান ছাড়াও আছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক এবং কয়েকটি ভিটামিন যেমন A, D, B6 এবং B12 । এগুলো গাছের বৃদ্ধির জন্য উপকারী।
মাছ ধোয়া পানি ব্যবহারে নিয়মিত তরল সার ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। যা গাছে নিরবচ্ছিন্ন পুষ্টি সরবরাহ করে।
টবের গাছের জন্য মাছ ধোয়া পানি ব্যবহারের উপকার কী
- মাটির ব্যাকটেরিয়ার কার্যকলাপ বৃদ্ধি করে।
- ফল ও ফুলের গঠন ত্বরান্বিত করে।
- গাছের উদ্ভিজ্জ বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে। যেমন পাতা এবং কান্ডের বৃদ্ধি ঘটায়।
- পাতা, ফুল এবং ফলকে শক্তিশালী করে এগুলোর ক্ষতি রোধ করে।
মাছ ধোয়া পানি সরাসরি গাছে ঢালার আগে নিশ্চিত করুন যে জলে মাছের কোনও বড় টুকরো অবশিষ্ট নেই। ওটা থাকলে টবের মাটিতে কীটপতঙ্গ এসে ভীড় করবে, যা গাছের জন্য বিপদ ডেকে আনবে। পানি ঢালার আগে এটিকে ছেঁকে নিলে ভালো।
গাছে মাছ ধোয়া পানি কীভাবে ব্যবহার করবেন
মাছের টুকরো মাটি ও গাছের পুষ্টির ভাল উৎস তবে এটি সরাসরি প্রয়োগ করলে পচন দেখা দিতে পারে। যার ফলে গাছের জন্য নাইট্রোজেনের সরবরাহ কমে যাবে এবং এর ফলে নাইট্রোজেনের ঘাটতি হতে পারে।
ছেঁকে নেওয়া মাছ ধোয়া পানিই গাছে প্রয়োগ নিরাপদ।
তবে এই পানি দিয়ে পাতা ভেজানো যাবে না। আবার বাড়িতে বিড়াল বা মাছির উপদ্রব থাকলেও ব্যবহার করা যাবে না। সেক্ষেত্রে সরাসরি মাটি খুঁড়ে ভেতরে ঢেলে দিতে পারেন যাতে বিড়াল গন্ধ না পায়।
মাছ ধোয়া জলে গাছের জন্য প্রচুর পুষ্টি রয়েছে এবং রাসায়নিক সারের দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে। পাশাপাশি নিয়মিত অন্যান্য সার ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়।