Friday, December 27
Shadow

Agriculture Tips

Agricultural tips, news and updated information

মৌমাছি পালন : সমস্যা ও সম্ভাবনা

মৌমাছি পালন : সমস্যা ও সম্ভাবনা

Agriculture Tips, Cover Story
মৌমাছি পালন : সমস্যা ও সম্ভাবনা   সারা দেশেই মৌমাছি পালন-এ এখন গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে। সরকার মিষ্টি বিপ্লবের আহ্বান দিয়ে, আমাদের দেশে ফুলে ফুলে যে নেক্টার উৎপন্ন হয় তার সুচারু ব্যবহারের প্রস্তাব রেখেছেন। নেক্টারের সুচারু ব্যবহার আসলে কি? সপুস্পক উদ্ভিদে ফুল থেকে পুষ্পরস বা নেক্টার নিঃসরণ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। পরাগমিলনকারী পতঙ্গকে আকর্ষণ করতেই মূলতঃ এই মিষ্টিরস ব্যবহৃত হয়। আমাদের দেখা জীব বৈচিত্রে সমৃদ্ধ। ফলতঃ পুষ্প বৈচিত্রও বিপুল। এই ফুলগুলি থেকে যে নেক্টার উৎপন্ন  হয় তার ২৫% ও ব্যবহৃত হয় না, দিনের শেষে শুকিয়ে যায়। এই নেকটারের একটা বড় অংশ যদি মৌমাছি পালনের বৃদ্ধি ঘটিয়ে আমরা সংগ্রহ করতে পারি , দেশে মধু উৎপাদনে বিপুল অগ্রগতি ঘটতে পারে। শুধু তাই না এই উদ্যোগ সফল করতে পারলে পরাগ মিলনের উন্নতি ঘটিয়ে, দেশের কৃষি উৎপাদনেও বিপুল অগ্রগতি ঘটানো সম্ভব। পরাগমিলনে অন্যান্য পতঙ্গের তু...
খাঁচায় মাছ চাষ পদ্ধতি জেনে নিন

খাঁচায় মাছ চাষ পদ্ধতি জেনে নিন

Agriculture Tips, Cover Story
খাঁচায় মাছ চাষ পদ্ধতি যে সকল জলাশয়ে ভূ:প্রাকৃতিক অবস্থান বা গঠনগত কারণে জলনিষ্কাশন সম্ভব নয় বা সম্পূর্ণ আবরণ করা সম্ভব নয়, সেই সকল সুবিশাল জলাশয়গুলি যেমন জলাধার, হ্রদ, বিল, ব্যাকওয়াটার ইত্যাদিতে খাঁচায় মাছ চাষ  করে অব্যবহৃত বা স্বল্প উৎপাদিত জলাশয়কে অধিক উৎপাদনশীল করা সম্ভব। এছাড়া উৎপাদনশীল জলাশয়গুলি থেকে আরো বেশি উৎপাদন পাওয়ার লক্ষ্যে খাঁচায় মাছ চাষ করা উচিত। সবরকম কার্প (দেশী-বিদেশী পোনামাছ), পাঙ্গাস, রূপচাঁদা (পাকু), তেলাপিয়া, ভেটকি, চ্যানেল ক্যাটফিস প্রভৃতি মাছ খাঁচায় চাষের উপযোগী। খাঁচায় গলদা চিংড়ির মীন পালন খুবই সফল ও লাভজনক। কইকার্প, গোল্ডফিস, গাপ্পি প্রভৃতি রঙিন মাছের চাষও খাঁচায় করা যায়। মাছ চাষের খাঁচা শক্ত দীর্ঘস্থায়ী, জলে বিষক্রিয়াহীন ও মাছের স্বাস্থ্য হানিকর নয় এরূপ বস্তু বা পদার্থ দিয়ে খাঁচা তৈরী করা হয়। খাঁচার কাঠামোর (ফ্রেমের) জন্য – বাঁশ, পি. ভি. সি কাঠ বা লোহা...
গরুর দুগ্ধ খামার স্থাপনের গুরুত্ব ও পদ্ধতি

গরুর দুগ্ধ খামার স্থাপনের গুরুত্ব ও পদ্ধতি

Agriculture Tips
গরুর দুগ্ধ খামার স্থাপনের গুরুত্ব ও পদ্ধতি   মানুষের শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের জন্য দুধ ও মাংসের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির জন্য দৈনিক ২৫০ মিলিলিটার দুধ ও ১২০ গ্রাম মাংসের প্রয়োজন। তার বিপরীতে আমরা পাচ্ছি ৫১ মিলিলিটার ও ২০ গ্রাম মাংস। দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে দুধ ও মাংসের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে দুধ ও মাংসের ব্যাপক চাহিদা পূরণ করতে হলে আরও অনেক গাভীর খামার স্থাপন করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ব্যাপক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। দুগ্ধ খামার বর্তমানে একটি লাভজনক শিল্প। গাভীর খামার বেকারত্ব দূরীকরণ, দারিদ্র্যবিমোচন, আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দেশে দুধের চাহিদা পূরণে বিশাল ভূমিকা রাখছে। একটি পারিবারিক গাভীর খামার স্থাপন করতে বেশি জমির প্রয়োজন হয় না। বাড়ির ভেতরেই একটি আধা-পাকা শেড তৈরি করলেই চলে। গাভীর খামার স্থাপনে তেমন কোনো ঝুঁকি ন...
বিএফআরআই গিফট তেলাপিয়ার মনোসেক্স পোনা উৎপাদন ও চাষ প্রযুক্তি

বিএফআরআই গিফট তেলাপিয়ার মনোসেক্স পোনা উৎপাদন ও চাষ প্রযুক্তি

Agriculture Tips
বিএফআরআই গিফট তেলাপিয়ার মনোসেক্স পোনা উৎপাদন ও চাষ প্রযুক্তি   বিএফআরআই গিফট তেলাপিয়া একটি উচ্চ ফলনশীল মাছ। সাধারণ স্থানীয় গিফট জাতের তেলাপিয়ার তুলনায় উদ্ভাবিত উন্নত জাতের বিএফআরআই গিফট জাত ৩২-৬৬% অধিক উৎপাদনশীল। সাম্প্রতিককালে এ মাছের মনোসেক্স পুরুষ জাতের পোনার চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে কারণ তেলাপিয়ার ক্ষেত্রে স্ত্রী জাতের চেয়ে পুরুষ জাতের উৎপাদনশীলতা তুলনামূলকভাবে ২০-৩০% বেশী। এ প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন¯িটটিউট এর বিজ্ঞানীরা ৯৮-১০০% মনোসেক্স পুরুষ জাতের পোনা উৎপাদন কৌশল উদ্ভাবনে সক্ষম হয়েছে। মনোসেক্স তেলাপিয়ার পোনা উৎপাদন কৌশল তেলাপিয়ার অন্যতম একটি বৈশিষ্ট হচ্ছে প্রতি মৌসুমে ৫-৬ বার স্বাভাবিক প্রজননের মাধ্যমে জলাশয়ে অধিক সংখ্যক পোনা উৎপাদন করে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি এই মাছ চাষের একটি বড় সমস্যাও বটে। এই সমস্যা হতে উত্তরণের উপায় হলো মনোসেক্স পুরুষ জাতের তে...
সঠিক পদ্ধতি মেনে রেশম চাষ করে আয় বাড়ান

সঠিক পদ্ধতি মেনে রেশম চাষ করে আয় বাড়ান

Agriculture Tips, Cover Story
সঠিক পদ্ধতি মেনে রেশম চাষ করে আয় বাড়ান রেশম পোকা পালন করে গুটি তৈরি করা হয়। রেশম পোকার খাদ্য হচ্ছে তুঁত গাছ। এজন্য তুঁত গাছ চাষ করতে হয়। নিচে বর্ণনা করা হলো : ১. তুঁত গাছ রোপণ ও পরিচর্যা বন্যামুক্ত উঁচু এলাকা, উর্বর মাটি, সুনিস্কাশিত, দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটিতে তুঁত গাছ ভালো হয়। বাড়ির চারপাশে, রাস্তার পাশে, পুকুর পাড়ে, রেললাইনের পাশে ও পতিত জমিতে তুঁত গাছের চারা রোপণ করা যায়। জমি চাষ দিয়ে মাটি ঝুর ঝুর করে বিঘা প্রতি গোবর সার ৪০ কেজি, ইউরিয়া ৫০ কেজি, টিএসপি ৩০ কেজি ও এমওপি ১৫ কেজি মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। শাখা কর্তন ও মাটিতে দাবা কলম দুই পদ্ধতিতে চারা তৈরি করা যায়। শাখা কর্তনের জন্য ৬-৯ মাস বয়সের গাছের দু’টি চোখ বা কুঁড়ি বিশিষ্ট খয়েরী রঙের চিকন শাখা ৬-৯ ইঞ্চি লম্বা করে কেটে মাটিতে খাড়া করে রোপণ করা যাবে একটি কুঁড়ি মাটির উপর সামান্য জেগে থাকে। সারি থেকে সারি দেড় ফুট এবং দু...
পুকুরে কীটনাশক প্রয়োগের কুফল

পুকুরে কীটনাশক প্রয়োগের কুফল

Agriculture Tips
পুকুরে কীটনাশক প্রয়োগের কুফল বর্তমানে মাছ চাষীদের মধ্যে কীটনাশক প্রয়োগ করে মাছ ধরার প্রবনতা দেখা যাচ্ছে। এই ভাবে মাছ ধরলে একদিকে যেমন এই মাছ অস্বাস্থ্যকর অন্যদিকে তা মাছচাষের জন্য ক্ষতিকর কারণ এর ফলে পুকুরের স্বাভাববিক পরিবেশ নষ্ট হয় ফলে পরবর্তী মাছ চাষে মাছেদের জন্য প্রাকৃতিক খাবার কম ও অস্বাস্থ্যকর হয় ফলে মাছের বৃদ্ধি ব্যহত হয়ে মাছচাষীরা ক্ষতির স্বীকার হন। এভাবে মাছ মারলে অনেক কুফল হতে পারে, যেমন – পুকুরের জলে কীটনাশক প্রয়োগ করে মাছ মারার পর ঐ পুকুরে মাছ ছাড়লে মাছের বৃদ্ধি কমে যাচ্ছে। কারণ কীটনাশক প্রয়োগের কয়েক মাস পর তা মারণ মাত্রায় না থাকলেও কিছু মাত্রায় পুকুরে থাকে এবং পুকুরের মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদনে বাঁধা সৃষ্টি করে। এছাড়া মাছের শরীরেও এই অবশিষ্ট কীটনাশক প্রবেশ করে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। যদিও মাছ বেঁচে থাকে কিন্তু তাদের বৃদ্ধি ভাল হয় না এবং জননাঙ্গ ঠিকমত ...
হাঁসের রোগ ও তার প্রতিকার

হাঁসের রোগ ও তার প্রতিকার

Agriculture Tips
হাঁসের রোগ ও তার প্রতিকার মুরগির চেয়ে হাঁসের কম রোগ হয়। যদিও তারা রোগ থেকে মুক্ত নয়। কিছু হাঁসের জাতের রোগের জন্য সফল হাঁস চাষের জন্য প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায়। যে কোনো বয়সের হাঁস রোগ দ্বারা সংক্রামিত হতে পারে। কিছু রোগের মৃত্যুহার বেশী। সাধারণত হাঁসের রোগের জীবাণু সংক্রামিত হাঁসের থেকে আরেকটা হাঁসে ছড়িয়ে যায়। সুতরাং, উপযুক্ত হাঁস রোগ প্রতিরোধ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে যাতে করে হাঁস উৎপাদনশীল এবং স্বাস্থ্যকর থাকতে পারে যা সর্বোত্তম উৎপাদন নিশ্চিত করবে। হাঁস প্লেগ, হাঁস ভাইরাস হেপাটাইটিস ইত্যাদি প্রধান ক্ষতিকারক হাঁস রোগ। রোগের লক্ষণ হাঁস কোনো লক্ষণ ছাড়াই হঠাৎ মারা যেতে পারে। খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিতে পারে। ঘন ঘন জল খাওয়া। ঠোঁটের রঙের পরিবর্তন হতে পারে। হাঁসের পালক অবিন্যস্ত হয়ে যায়। পাখনা বেশী ঝুলে যেতে পারে। প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে হাঁসের স্বাভাবিকের চেয়ে কম...
মাছের ক্ষতরোগের লক্ষণ , কারণ ও প্রতিকার

মাছের ক্ষতরোগের লক্ষণ , কারণ ও প্রতিকার

Agriculture Tips
মাছের ক্ষতরোগের লক্ষণ , কারণ ও প্রতিকার সাধারণত শোল, গজার, টাকি, পুঁটি, বাইম, কৈ, মেনি, মৃগেল, কার্পিও এবং তলায় বসবাসকারী অন্যান্য প্রজাতির ক্ষতরোগ (ইপিজুটিক আরসারেটিভ সিনড্রোম ) দেখতে পাওয়া যায়। রোগের লক্ষন ও কারণ ক. এ রোগের মুল কারণ এ্যাফানোমাইসিস ইনভাডেনস্ নামক ছত্রাক দ্ধারা মূলতঃ মাছের মাংসপেশী আক্রান্ত হয়। এছাড়া কিছু ব্যবকটিরিয়া, প্রোটোজোয়া সংশ্লিষ্ট আছে বলে জানা যায়। রোগাক্রান্ত হওয়ার পূর্বে পানির গুনাগুনের অবনতি ঘটে, যেমন ঃ i) হঠাৎ তাপমাত্রার কমতি (১৯° সেঃ এর কম)। ii) পি, এইচ-এর কমতি (৪-৬)। iii) এ্যালকালিনিটির কমতি (৪৫-৭৪ পিপিএম)। iv) হার্ডনেস-এর কমতি (৫০-৮০ পিপিএম)। v) ক্লোরাইড এর স্বল্পতা (৩-৬ পিপিএম)। চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ ক. নিরাময়ের জন্য ০.০১ পিপিএম চুন ও ০.০১ পিপিএম লবন অথবা ৭-৮ ফুট গভীরতায় প্রতি শতাংশ জলাশয়ে ১ কেজি হারে চুন ও ১ কেজি হারে লবন প্রয়োগ করলে আক্রান্...
মাছের রোগ বালাই নিরাময় ও প্রতিকার

মাছের রোগ বালাই নিরাময় ও প্রতিকার

Agriculture Tips
  মাছের রোগ বালাই নিরাময় ও প্রতিকার /আক্রান্ত মাছের প্রজাতি/রোগের লক্ষন ও কারণ/চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ/প্রতিষেধক/প্রতিকার ১) রোগের নাম - ছত্রাক রোগ (সেপ্রোল্গেনিয়াসিস) আক্রান্ত মাছের প্রজাতি - রুই জাতীয় ও অন্যান্য চাষ যোগ্য মাছ। মাছের রোগ এর লক্ষন ও কারণ ক. আক্রান্ত মাছের ক্ষতস্থানে তুলার ন্যায় ছত্রাক দেখা দেয় এবং পানির স্রোত যখন স্থির হয়ে যায় কিংবা বদ্ধজলায় অথবা হ্যাচারী ট্যাংকে যেখানে অনিষিক্ত ডিমের ব্যাপক সমাগম ঘটে উহাতে ছত্রাক রোগ দ্রুত বিস্তৃতি লাভ করে। এমনি ধরনের প্রাকৃতিক জলাশয়ে প্রায় শতকরা ৯৮ ভাগ মাছের ডিম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেপ্রোলেগনিয়া প্রজাতি এ রোগের কারণ। চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ ক. হ্যাচারিতে লালনকৃত ডিমগুলোকে ২৫০ পিপিএম পরমালিন দিয়ে ধৌত করা। খ. খাচা এবং পেনে চাষকৃত আক্রান্ত মাছগুলোকে শতকরা ৩-৫ ভাগ ফরমালিন দিয়ে ২-৩ মিনিট গোসল দেয়া। গ. বিকল্প হিসাবে শতকরা ৫ ভাগ লবন ...
হাঁস মুরগির রোগ ও তার প্রতিকার

হাঁস মুরগির রোগ ও তার প্রতিকার

Agriculture Tips
  হাঁস মুরগির রোগ ও তার প্রতিকার বাংলাদেশে প্রতি বৎসর বিভিন্ন রোগে বহু মোরগ-মুরগি মারা যায়। এ সকল রোগের মধ্যে প্রধান হচ্ছে রানীক্ষেত, মুরগির বসন্ত, মুরগির কলেরা, গামবোরো, ইনফেকসাস ব্রংকাইটিস, রক্ত আমাশয় বা ককসিডিওসিস ইত্যাদি। রানীক্ষেত: রানীক্ষেত রোগের জীবানু একপ্রকার ভাইরাস। সাধারণতঃ সকল বয়সের ও সকল জাতের  মোরগ-মুরগিই রানীক্ষেত রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়। মোরগ-মুরগি ছাড়াও কবুতর, দোয়েল, কোয়েল, কাক, পেঁচা, ঘুঘু, চড়ুই, শালিক, ময়ূর, কাকাতুয়া, টিয়া, ময়না ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার পাখি এই রোগ জীবানু দ্বারা  আক্রান্ত হতে পারে। হাঁস (পাতি হাঁস) বা রাজহাঁসের সচরাচর এই রোগ দেখা যায় না। রানীক্ষেত রোগের লক্ষণগুলোর মাঝে চুনা বা সবুজ রংয়ের রক্তাক্ত কিংবা তরল পায়খানাই প্রধান। রোগাক্রান্ত পাখির শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুততর হয়, বাচ্চা মোরগ-মুরগি হা করে শ্বাস নেয় মাঝে মাঝে আক্রান্ত মোরগ-মুরগি ঘাড় বাঁকা হয়ে...
মুরগীর রোগ পরিচিতি, লক্ষণ ‍ও চিকিৎসা : রানীক্ষেত রোগ

মুরগীর রোগ পরিচিতি, লক্ষণ ‍ও চিকিৎসা : রানীক্ষেত রোগ

Agriculture Tips
বাংলাদেশের পোল্ট্রী শিল্পে রানীক্ষেত রোগ পরিচিত একটি নাম । রানীক্ষেত অত্যন্ত একটি সংক্রমক , মারাত্বক রোগ। এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ । প্রতি বছর এই দেশের কোটি কোটি টাকা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এই রোগের জন্য । বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় এই রোগের বিস্তার দেখা যায় । এই পবে আমি রানীক্ষেত রোগ সম্পকে বিস্তারিত তুলে ধরছি ———– রানিক্ষেত রোগের ইতিহাস রানীক্ষেত রোগের অপর নাম নিউ ক্যাসল ডিজিজ , এই রোগ ১৯২৬ সালে প্রথম পাওয়া যায় জাভা, ইন্দোনেশিয়া, এবং ইংল্যান্ডের নিউ ক্যাসল আপন টাইনে নামক স্থানে। উপমহাদেশে বিশেষত বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্থানে এই রোগকে রানীক্ষেত নামেই পরিচিত, তবে বিশ্বের অন্যত্র এই রোগ কে নিউ ক্যাসল ডিজিজ বলে । রানীক্ষেত রোগ সম্পকে কিছু তথ্যঃ রানিক্ষেত রোগ এভিয়ান প্যারামিক্সোভাইরাস ১ এর জন্য হয়ে থাকে। এই ভাইরাস single stranded RNA virus । Family : Paramyxovirus Genus : Rubilavirus ...
লাউয়ের পুষ্টি গুনে হবেন আপনি তুষ্ট

লাউয়ের পুষ্টি গুনে হবেন আপনি তুষ্ট

Agriculture Tips, Cover Story, Health and Lifestyle
লাউয়ের পুষ্টি গুনে হবেন আপনি তুষ্ট লাউঃ লাউ আমাদের দেশের একটি জনপ্রিয় তরকারি। লাউ একই সঙ্গে সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটি সবজি। ঝোল, লাবড়া, নিরামিষ, ভাজি কিংবা সালাদ হিসেবেও খাওয়া যায় এই তরকারি। প্রাপ্ত উপাদানঃ প্রতি ১০০ গ্রাম লাউয়ে আছে, কার্বোহাইড্রেট- ২.৫ গ্রাম, প্রোটিন- ০.২ গ্রাম, ফ্যাট- ০.৬ গ্রাম, ভিটামিন-সি- ৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম- ২০ মি.গ্রা.,ফসফরাস- ১০ মি.গ্রা.,পটাশিয়াম- ৮৭ মি.গ্রা., নিকোটিনিক অ্যাসিড- ০.২ মি.গ্রা.। এছাড়াও লাউয়ে রয়েছে খনিজ লবন, ভিটামিন বি-১, বি-২, আয়রন। লাউয়ের পুষ্টি ওজন কমাতেঃ আপনি যদি ওজন কমানোর কথা ভেবে থাকেন তাহলে খাবার তালিকায় লাউ রাখুন। লাউ একটি কম ক্যালোরি সম্পন্ন ডায়েট। লাউয়ের ৯৬% হলো পানি। লাউয়ে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকে এবং খুবই কম ক্যালোরি থাকে যা ওজন কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। তাই ওজন কমানোর চিন্তা করছেন যারা তাঁরা বেশি করে লাউ খান। তাহলে শরীর...
কবুতরের বর্ষাকালীণ রোগ-ব্যাধি ও প্রতিকার

কবুতরের বর্ষাকালীণ রোগ-ব্যাধি ও প্রতিকার

Agriculture Tips
কবুতরের বর্ষাকালীণ রোগ-ব্যাধি ও প্রতিকার শান্তির প্রতীক, মানব সভ্যতার প্রাথমিক পর্যায়ের বার্তাবাহক হচ্ছে কবুতর। সৌখিনতায় কবুতর পালন বহুকাল ধরে সমাদৃত। বর্তমানে খামার পর্যায়ও কবুতর পালন শুরু হয়েছে । যার কারণে অনেকে আজ এটিকে পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। মুরগীর তুলনায় রোগ প্রতিরোধ কবুতরের বেশি হলেও রোগ-ব্যাধিতে এর পালককে কম ভোগান্তি পোহাতে হয়না। তবে বেশির ভাগ সমস্যা তৈরী হয় অপর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনার দরুন। আমাদের দেশে বর্তমানে বর্ষাকাল চলছে , এ সময়ে প্রতিবছরে নানান রোগের প্রার্দূভাব বৃদ্ধি পায় এতে করে প্রচুর পাখি মারা যায়। যে সকল রোগ-ব্যাধি বর্ষাকালে কবুতরে হয়ে থাকেঃ ১। প্যারাটাইফয়েড: খাবারের প্রকৃতি ও দূষিত খাবার এর প্রধান কারণ। ২। কোক্সিডিওসিস : অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এর জন্য দায়ী। ৩। ক্যাঙ্কার/ ট্রাইকোমোনিয়াসিসঃ অপ্রতুল খাবার ও কবুতরের খাঁচার পরিবেশ এ রোগের প্রাদূরভাব বৃদ্ধি করে। ৪। ...
কবুতরের বিষ্ঠা থেকে মরণঘাতি রোগ

কবুতরের বিষ্ঠা থেকে মরণঘাতি রোগ

Agriculture Tips
কবুতরের বিষ্ঠা থেকে মরণঘাতি রোগ শখ করে বা পেশা হিসেবে অনেকেই কবুতর পোষেন। তাদের যত্ন করতে নিয়মিত নানাভাবে কবুতরের সংস্পর্শে আসেন তারা। এমন অবস্থায় কবুতরের মাধ্যমে ভয়ঙ্কর রোগে আক্রান্ত হতে পারেন ওই ব্যক্তি। সম্প্রতি স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোর একটি হাসপাতালে এক শিশুর মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হচ্ছে কবুতরের বিষ্ঠার সঙ্গে সম্পর্কিত এক ধরনের প্রদাহকে। কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে অন্য একটি সমস্যা নিয়ে ভর্তি ছিল শিশুটি। হাসপাতালে থাকা অবস্থাতেই কবুতরের বিষ্ঠা থেকে ক্রিপটোকক্কাস নামক এক ধরনের ছত্রাক সংক্রমণ হয় তার শরীরে। সেটি থেকে দেখা দেয় নতুন অসুখ। কবুতরের বিষ্ঠার সংস্পর্শে আসা মাটিতে এটি পাওয়া যায়। হাসপাতালের যে ঘরে শিশুটিকে রাখা হয়েছিলো সেটির খুব ছোট একটি ছিদ্র থেকে কবুতরের বিষ্ঠা সম্ভবত ঘরে প্রবেশ করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। প্রদাহ থেকে শিশুটি মারা গেছে। এমন প্রদাহের ফলে কাশি, বুকে ব্যথা, ...
ভেজাল সার চেনার উপায়

ভেজাল সার চেনার উপায়

Agriculture Tips
ভেজাল সার চেনার উপায় অধিক ফসল উৎপাদনের জন্য উচ্চ ফলনশীল ও হাইব্রিড জাতের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফসল উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে হচ্ছে। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সারে ভেজাল দ্রব্য মিশিয়ে নকল সার বা ভেজাল সার তৈরি ও বিক্রি করছেন। কৃষকভাইয়েরা একটু সতর্ক হলেই আসল সার ও ভেজাল সারের পার্থক্য বুঝতে পারবেন। এখানে কয়েকটি সহজ পরীক্ষার মাধ্যমে আসল বা ভেজাল সার শনাক্ত করার উপায় সম্পর্কে জানানো হলো: ইউরিয়া সার চেনার উপায়: আসল ইউরিয়া সারের দানাগুলো সমান হয়। তাই কেনার সময় প্রথমেই দেখে নিতে হবে যে সারের দানাগুলো সমান কিনা। ইউরিয়া সারে কাঁচের গুড়া অথবা লবণ ভেজাল হিসাবে যোগ করা হয়। চা চামচে অল্প পরিমান ইউরিয়া সার নিয়ে তাপ দিলে এক মিনিটের মধ্যে অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালো গন্ধ তৈরি হয়ে সারটি গলে যাবে। যদি ঝাঁঝালো গন্ধ সহ গলে না যায়, তবে বুঝতে হবে সারটি ভেজাল। টিএসপি সার চেনার উপায়: টিএসপি স...

Please disable your adblocker or whitelist this site!