class="archive paged category category-stories category-11 wp-custom-logo paged-13 category-paged-13 group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

Stories

আহারে মা …আমাদের মা ..

আহারে মা …আমাদের মা ..

Op-ed, Stories
মায়েদের মুখে মুরগির রান কিংবা ব্রেস্ট পিস কখনোই মজার না, তাঁদের মুখে মজা লাগে মুরগির গলা, পা, পাখনা। মাছের মাঝামাঝি পিস কিংবা মাথা খাইলে নাকি তাঁদের মাতাল মাতাল লাগে, কাঁটাওয়ালা লেজ পিসটাই মায়ের জন্য পারফেক্ট। গরুর মাংসের তরকারির ঝোল আর এক টুকরা আলু দিয়েই পেট ভরে খেতে পারে আমাদের মায়েরা, কিন্তু এক টুকরো মাংস পাতে নিলেই তাঁদের খাবার বেশি হয়ে যায়। আলুর চপ, বেগুনি, পিঁয়াজু এসব ভাজতে গিয়ে যেই দু'এক পিস একটু বেশি ভাজা হয়ে যায় সেই পিসগুলো খাওয়ার জন্য মায়েরা বদ্ধ পরিকর, পারফেক্ট ভাজা পিসগুলো তাদের রুচিতে ঠিক যায় না। বাটি ভর্তি তরকারি তুলে রাখে নিজ হাতেই, কিন্তু সেখান থেকে এক চামচ ঝোল নিতে তাঁদের মন চায়না। তাঁরা, পাতিলের পোড়া অংশটুকুতে ভাত নিয়ে খেয়ে ফেলে। খাবারে এমন সব অদ্ভুত রুচি নিয়েই আমাদের মায়েরা পার করে দিচ্ছে বছরের পর বছর। আমি আগে বুঝতাম না, মায়েরা এমন করে কেন? আমি বুঝতাম না, মায়েরা দিব্য...
মুচিপাড়ায় কুকুরদের জীবনে কেয়ামত নেমে আসা সেই সকালের গল্প : লুৎফর রহমান রিটন

মুচিপাড়ায় কুকুরদের জীবনে কেয়ামত নেমে আসা সেই সকালের গল্প : লুৎফর রহমান রিটন

Cover Story, Op-ed, Stories
ওয়ারিতে আমাদের বাড়িটা ছিলো হেয়ার স্ট্রিটে। হেয়ার স্ট্রিটের ওটাই ছিলো শেষ বাড়ি। আমাদের বাড়ির সীমানা থেকেই উত্তর মৈশুন্ডি-বনগ্রামের শুরু। আমাদের বাড়িটার ডান ও বাঁ পাশে রবিদাস সম্প্রদায়ের লম্বা ঘন বসতি। এটাকে সবাই চিনতো মুচিপাড়া নামে। রবিদাস সম্প্রদায়ের পুরুষেরা অধিকাংশই জুতো সেলাই ও জুতো সারাইয়ের কাজ করতেন। মুচিপাড়ার বেশিরভাগ ঘরেরই ছিলো মাটির দেয়াল আর টিনের চাল। অল্প ক’টা বাড়ির দেয়াল ছিলো ইটের। অর্থাৎ খুবই গরিব ছিলো ওরা। আমাদের বাড়িটা যখন একতলা ছিলো তখন ছাদে দাঁড়ালে দুপাশে মুচিদের বস্তির টিনের টানা লম্বা ছাদ দেখতে পেতাম। ওদের ঘরগুলো একটার সঙ্গে একটা লাগোয়া ছিলো। আলাদা কোনো ছাদ এবং প্রাইভেসি ওদের একেবারেই ছিলো না। দিনরাত হইচই চিৎকার চ্যাঁচামেচি আর ভয়াবহ সব গালাগালের ডিপো ছিলো মুচিপাড়া। আমাদের বাড়ির একেবারে কাছেই ছিলো মুচিদের জন্যে নির্মিত কলপাড়। এখান থেকেই ওরা নিত্যদিনের...
আনন্দবাজারের খবর : সব হারিয়েও বাঁচার আশায় ‘খুকুর মা’

আনন্দবাজারের খবর : সব হারিয়েও বাঁচার আশায় ‘খুকুর মা’

Cover Story, Stories
আনন্দবাজারের খবর : ডান চোখের পাতা লাল হয়ে ফুলে রয়েছে। অন্য চোখ খোলার চেষ্টা করলেও ঠিক মতো পারেন না। কেউ ডাকলে ক্ষীণ দৃষ্টিতে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকেন। একটু ভালবেসে কথা বললেই তাঁকে হাতজোড় করে বছর পঁচাশির বৃদ্ধা অনুরোধ করতেন, ‘আমায় বেলঘরিয়া পৌঁছে দেবে?’ গত ৩০ নভেম্বর দুপুর থেকে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালই ছিল ওই বৃদ্ধার ঠিকানা। কেউ জানতে চাইলে অস্ফূটে নাম বলতেন, রানি বিশ্বাস, বাড়ি বেলঘরিয়ার উমেশ মুখার্জি রোডে। ফুলছাপ নাইটি ও সবুজ সোয়েটার পরা রানিদেবীকে কখনও দেখা যেত জরুরি বিভাগের সামনে প্রতীক্ষালয়ের সিঁড়িতে বসে থাকতে। কখনও আবার অশক্ত শরীর নিয়ে কোমরে ভর করে এগিয়ে যেতেন রোগী সহায়তা কেন্দ্রের সিঁড়ির নীচে। মাঝেমধ্যে হাসপাতালের বড় পুকুরের ধারে শুয়ে থেকে জড়িয়ে ধরতেন রোগীর পরিজনেদের পা। ভিক্ষার জন্য নয়, অনুরোধ করতেন—‘বাড়ি যাব, একটু নিয়ে যাবে?’  আনন্দবাজারের খবর :...
ফক্কা- সিজার বাগচীর গল্প

ফক্কা- সিজার বাগচীর গল্প

Cover Story, Stories
রাত আটটা পাঁচে যে লোকাল ট্রেনের হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়ার কথা, সেই ট্রেন একগাদা যাত্রী নিয়ে হাওড়ায় এসেই ঢুকল আটটা পনেরোয়। প্ল্যাটফর্ম জুড়ে তখন তুমুল হইচই। ট্রেন দেরি করায় পরের গাড়ির কিছু প্যাসেঞ্জারও এসে পড়েছে। অনির্বাণ একবার তাকিয়ে দেখল চারপাশে থিকথিক করছে লোক। ট্রেন এসে থামতেই কামরা থেকে গলগল করে যাত্রী নামতে লাগল। আর যে মানুষজনেরা এতক্ষণ ধরে এই ট্রেনের অপেক্ষায় ছিল, তারাও একই সঙ্গে ওঠার চেষ্টা করতে থাকল। শুরু হল প্রবল হুড়োহুড়ি। ধাক্কাধাক্কি। অনির্বাণও শামিল হল তাতে। এক দল ট্রেন থেকে নামার জন্য ঠেলছে। অন্য দল ট্রেনে ওঠার জন্য ঠেলছে। সমুদ্রের ঝোড়ো ঢেউয়ের মতো আশপাশের লোকজনের ঠেলায় অনির্বাণ একবার এগোচ্ছে। আবার পিছিয়ে যাচ্ছে। এমন গুঁতোগুঁতি করতে-করতে ওর আফসোস হল, কলেজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তীর্থার টান এড়াতে না পেরে কফি হাউসে আড্ডা দেওয়াটাই ভুল হয়েছে। দেরি না-করলে এই ভিড়ের মধ্যে ওকে ...
জোকস : যে কারণে মেয়েটি ছেলেটির শুধুই রুমমেট নয়

জোকস : যে কারণে মেয়েটি ছেলেটির শুধুই রুমমেট নয়

Stories
জোকস : যে কারণে মেয়েটি ছেলেটির শুধুই রুমমেট নয় জন নতুন ফ্লাটে উঠেছে। ওর বাবা-মা আসছে দেখতে কি অবস্থা। এসে দেখে সে একা থাকে না, তার একজন মেয়ে রুমমেট আছে। লিসা নাম তার। মেয়েটি অত্যন্ত সুন্দরী আর রমণীয়। ওর মায়ের সন্দেহ হলো, -বাবা! তোমরা দুইজন কি লিভ টুগেদার শুরু করছো? -না মা। সে আমার রুমমেট। এর বেশি কিছু না। -সে তোমার সাথে রাতে থাকে না? -না। ফ্ল্যাটে তো দুইটা বেড। এই দেখো, সে এইটাতে থাকে আর আমি থাকি পাশের রূমে। -হুম! ভালো। পরের সপ্তাহে লিসা জনকে জানালো, তার খুব দামি ঘড়িটা পাওয়া যাচ্ছে না। যেদিন জনের বাবা-মা এসেছে তার পরদিন থেকেই ঘড়িটা গায়েব। জন ভাবলো, এটা নিয়ে মাকে ফোন করা যায় না। তাই সে একটা চিঠি লিখলো- মা! তুমি যাওয়ার পরদিন থেকে লিসা তার ঘড়িটা খুজে পাচ্ছে না। আমি বলতে চাই না তুমি ঘড়িটা নিয়েছো, আমি এটাও বলতে চাই না যে ঘড়িটা তুমি নাওনি। কিন্তু কথা হলো, তুমি যাওয়ার পরদিন থেকে ঘ...
তসলিমা নাসরিনের কবিতা : যৌবন

তসলিমা নাসরিনের কবিতা : যৌবন

Stories
যৌবন গোটা যৌবন একাই কাটিয়েছি। এখন আবার হঠাৎ একা লাগবে কেন আমার! যদি লাগেও, ও মনের ভুল। অথবা হয়তো শরীরের ভুল! যাকে তাকে স্পর্শ করিনি গোটা যৌবন, কেঁচোর মতো গুটিয়ে থাকতে কেঁচোও জানে না আমার চেয়ে বেশি! গোটা যৌবন একা একা গেছে, পুরুষ ডিঙিয়ে ডিঙিয়ে দ্রুত দৌড়ে গেছি ঘরে। কাঙ্খিত দূরত্বে আজ মনে হয় পড়ে আছি হাজার বছর একা, মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে বেরোই, একটু ঝঞ্ঝাট বাধুক কোথাও, দেখি, কেউ যদি ঠেলাঠেলি ভিড়ে হাতদুটো ধরে, না হয় ধরুক। কেউ যদি গায়ে গা ঠেকিয়ে বসে, না হয় বসুক। আচমকা কী জানি কী মনে করে চুমু খায় যদি, খাক। অসাবধানে বুকে যদি হাত লাগে কারো, না হয় লাগুক। এ শুধু ভাবাই সার। অভ্যেসের দোষে এখনও খেঁকিয়ে উঠি ত্রিসীমানায় ভিড়তে চাইলে কেউ। গোটা যৌবন একা পার করে অভ্যেসের দোষে একাই পড়ে আছি একা একা। নাকি গুণে? অভ্যেসের? মাঝে মাঝে ভাবি, না হলে ছিঁড়ে খেতো একশ ধর্ষক, না হলে ভুলে যেত...
গল্প : নীলার এক সন্ধ্যা

গল্প : নীলার এক সন্ধ্যা

Cover Story, Stories
এফ এম রেডিওতে কি যেন একটা বৃষ্টির গান বাজছে এবং একটু পর পর আরজে তার গলার তেজ বুঝাতে সচেষ্ট। হালকা ঠাণ্ডা ও গরমে বৃষ্টির গান শুনলে যদি শ্রোতাদের একটু মন ভেজে সে চিন্তায় হয়ত রেডিওর এমন আয়োজন। যদিও গরমের দিনে ঠাণ্ডা লাচ্ছি ছাড়া আর অন্য কিছু দিয়ে চিড়া ভেজানো গেলেও কোন মানব সন্তানের মন বা শরীর শীতল করা যায় কি না তা বলা মুশকিল বটে! তবে রেডিওতে কী গান হচ্ছে সেদিকে নীলার খুব একটা আগ্রহ নেই। তার চোখে এখন তেপান্তরের স্বপ্ন। চরম আগ্রহ নিয়ে কোন কিশোরী যে কোন সুদর্শন যুবকের দিকে চেয়ে থাকে নীলার স্বপ্ন তার চেয়েও দৃঢ়। এই ইট কংক্রিটের ঢাকা শহরে তার স্বপ্ন চাপা পড়েনি। মনের কোনে অতি যত্নে লালন করে সেই স্বপ্ন। ছাপোষা পরিবারের মেয়েগুলোর অধিকাংশই এরকম হয়ে থাকে, হিমালয় সমান স্বপ্ন আর সর্ষে দানা পাথেয়। তবে এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড যতটুকু এগিয়েছে তা অবশ্য নীলার স্বপ্নের ওপর ভর করেই। এই ভ্যাপসা গরমে বসেও সে ভাবছে ছোট ...
প্রাপ্তবয়স্কদের থ্রিলার গল্প : কেইস স্টাডি থার্টি থ্রি

প্রাপ্তবয়স্কদের থ্রিলার গল্প : কেইস স্টাডি থার্টি থ্রি

Cover Story, Stories
নিলুর হাতে সময় আছে আধ ঘণ্টার মতো। লোকটা তা-ই বলে গেছে। ড্রয়িং রুমে বসে কী যেন কাজ করছে আর মদ গিলছে। নিলু আছে ভেতরের একটা রুমে। এ বাসায় কেউ থাকে না। নিলুর হাতে আছে আধ ঘণ্টা। এর মধ্যে লোকটাকে খুন করার উপায় বের করতে হবে। তা না হলে তাকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলবে। লোকটা তাকে এমনটাই বলে গেছে। ঘণ্টা দুয়েক আগে কিডন্যাপ হয়েছে নিলু। কাউকে কিডন্যাপ করা যে পানির মতো সহজ সেটা সে জানতো না। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে হাতিরঝিলের একটা বড় অংশ নির্জন থাকে। হ্যাঁচকা একটা টান। এরপর নিজেকে আবিষ্কার করলো কালো একটা মাইক্রোর পেছনের সিটে। মুখে একটা রুমাল চেপে রাখতেই তন্দ্রার মতো চলে এলো। পুরোপুরি জ্ঞান হারায়নি অবশ্য। তন্দ্রার মধ্যেই বুঝতে পেরেছে তার সঙ্গে কী ঘটতে যাচ্ছে। লোকটার বয়স পঁয়তাল্লিশ পঞ্চাশের মতো হবে। নিজেই ড্রাইভ করছে। তন্দ্রা ছুটে যাওয়ার পর নিলু বুঝতে পেরেছে তার হাত-পা শক্ত করে বাঁধা। মুখ বাঁধা ছিল না। তবে চিৎকা...
নতুন কৌতুক : হাসুন, সুস্থ থাকুন

নতুন কৌতুক : হাসুন, সুস্থ থাকুন

Cover Story, Stories
নতুন কৌতুক তিন ভাষায় কথা বলে যে—ত্রিভাষী। দুই ভাষায় কথা বলে যে—দ্বিভাষী। এক ভাষায় কথা বলে যে—আমেরিকান। দুই মাতালের কথোপকথন। —স্ট্র দিয়ে ভোদকা খাচ্ছ কেন? —ডাক্তার আমাকে বলেছেন পানপাত্র থেকে দূরে থাকতে। মিনিট দশেক তাড়া করে গতিবিধি লঙ্ঘন করা এক ড্রাইভারকে থামাল ট্রাফিক পুলিশ, বলল, আমি থামতে বলা সত্ত্বেও কেন আপনি থামেননি? এক মুহূর্ত ভেবে নিয়ে ড্রাইভার বলল, আসলে হয়েছে কি, গত সপ্তাহে আমার স্ত্রী এক ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। তো আপনাকে আমার পেছনে ছুটতে দেখে মনে হলো, আমার স্ত্রীকে ফেরত দিতেই আপনি আমার পিছু নিয়েছেন। ড্রাকুলার সঙ্গে কোনো মেয়ের প্রেম হয় কীভাবে? —প্রথম দংশনেই প্রেম। শিক্ষক জিজ্ঞেস করলেন, কে বলতে পারবে, আমরা কেন আগে বিদ্যুৎ চমকানো দেখি এবং পরে শুনি মেঘের গর্জন? এক বালক উঠে দাঁড়িয়ে উত্তর দিল, কারণ, আমাদের চোখের অবস্থান কানের আগে। এয়ারপোর্টে চেক-ই...
জোকস : অত্যাচারী শাসক একদিন ছদ্মবেশে বের হলো শহরে

জোকস : অত্যাচারী শাসক একদিন ছদ্মবেশে বের হলো শহরে

Stories
এক অত্যাচারী শাসক একদিন ছদ্মবেশে বের হলো শহরে। সাধারণ জনগণ তার সম্পর্কে কী ধারণা পোষণ করে সেটা জানাই তার উদ্দেশ্য। এক রেস্টুরেন্টে ঢুকে এক খদ্দেরকে জিজ্ঞেস করলো, 'আচ্ছা, বলুন তো আমাদের শাসক লোকটা কেমন?' খদ্দেরটা গম্ভীর হয়ে গেল। ভয়ে ভয়ে আশপাশে তাকিয়ে ইশারায় জানালো বাইরে যেতে। বাইরে গিয়েও বলতে ভয় পাচ্ছে লোকটা। এবার ইশারায় একটা গাড়ি দেখিয়ে তাতে উঠলো দুজন। দুজনকে নিয়ে গাড়ি গেল বহুদূরে এক জঙ্গলের পাশে। পাছে কেউ শুনে ফেলে এই ভয়ে লোকটা গাড়ি থেকে নেমে গভীর জঙ্গলে ঢুকল। ছদ্মবেশী শাসকও তার সাথে সাথে গেল। অবশেষে লোকটা থেমে মুখ কাছে এনে ফিসফিস করে বলল 'আমি লোকটাকে পছন্দ করি।'...
জ্বিন ভূতের আড্ডা হয় যেখানে!

জ্বিন ভূতের আড্ডা হয় যেখানে!

Cover Story, Stories
ভূত বিষয়ে মানুষের কৌতূহলের কমতি নেই! বিজ্ঞান যেখানে ভূতের উপস্থিতি অস্বীকার করছে সেখানে মানুষের ভূত-প্রেতের ওপর আগ্রহ বাড়ছে। অনেকের জীবনেই ভৌতিক কোনো না কোনো ঘটনার অভিজ্ঞতা রয়েছে! পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই ছড়িয়ে রয়েছে ভূতুরে স্থান। আর ভূতুড়ে জায়গা বলতে 'ক্লাব ৯৯' বা 'কিউবান হাউজ' এর কথাই সবারই মনে পরে। কিন্তু আমাদের দেশের বেশ কিছু স্থান রয়েছে যেগুলো লোকমুখে ভৌতিক স্থানের তকমা পেয়েছে। যেসব স্থান সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অজানা। নিচে এমনই কিছু স্থানের কথা উল্লেখ করা হলো- ১. ঝালকাঠির জমিদার বাড়ি: বরিশালের ঝালকাঠি জেলার কৃত্তিপাশা নামক স্থানে একটি ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি রয়েছে। এর সঠিক সময়কাল সম্পর্কে কেউ অবগত নয়। শত বছরের পুরানো এ রাজবাড়িতে দিনের বেলাও গা ছমছমে। এ জমিদার বাড়ি নিয়ে অনেক রটনা রয়েছে। বিশেষ করে এর "বায়জি কক্ষ" নিয়ে। রাতে রাজবাড়ি থেকে নাচের শব্দ শোনার দাবি করেন অনেকে। বলা হয়...
মেয়ে তুমি এতো রাতে একা কেনো রাস্তায়?

মেয়ে তুমি এতো রাতে একা কেনো রাস্তায়?

Cover Story, Stories
লুৎফর রহমান রিটন: ১ মেয়ে তুমি এতো রাতে একা কেনো রাস্তায়? তোমাকে যায় না নেয়া এতোটুকু আস্থায়। বাড়ি কই? থাকো কই? কোথা যাও বাপুরে? রাতের পুলিশ মোরা, বাবুরাম সাপুড়ে। বাজাবো তোমার বীন ঝাকানাকা আজিকে পেয়ে গেছি পেয়ে গেছি নচ্ছার পাজিকে! মেয়েরা ঘরের শোভা। কিবা দিনে কি রাতে, একা কেনো বেরিয়েছো এই রাত বিরাতে! ২ ‘ভদ্র মেয়ে’রা রাতে একা যায় বাইরে? ভালো করে তোকে আজ দেখে নিতে চাই রে। সন্দেহ করি মোরা ‘মেয়েলোক’ মাত্রে রিকশা-সিএনজিতে ঘোরাঘুরি রাত্রে! ‘ভালো মেয়ে’ একা ঘোরে? কাভি নেহি, কাভি না আইনের হাত থেকে আজ পার পাবি না। রাতের পুলিশ মানে যমদূত, বুঝলি? একবার ছুঁয়ে দিলে হয়ে যাবে খুজলি। ভেবেছিস চেকপোস্ট বসিয়েছি এম্‌নি? নেমে আয়! নেমে আয়! যতো সব ঢেমনি! ৩ কোত্থেকে এসেছেন? হোটেলের নামটা? কোনো লাভ হবে না গো মেরে মুখ ঝামটা। নাগরের সন্ধানে? রেটটা কি বান্ধা? রাতের পুলিশ মোরা বুঝি সব ধান্দা।...
জাপানে বাংলা ভাষা এবং সাহিত্যের ধারা

জাপানে বাংলা ভাষা এবং সাহিত্যের ধারা

Stories
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কার অর্জনের আগেই বহির্বিশ্বের যে দেশটিতে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সংবাদ পাওয়া যায় সেটি প্রাচ্যের জাপান। এই দেশে বিগত শতবর্ষ ধরে যে সকল জাপানি বাংলা ভাষাকে ভালোবেসে বাংলা সাহিত্য নিয়ে গবেষণা ও অনুবাদ করে আসছেন তাঁদের অধিকাংশেরই সূচনা এবং অনুপ্রেরণা  ‘তাগো-রু’ বা  ‘টেগোর’ অর্থাৎ ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’। মনে করা হয় আধুনিককালে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে জাপানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সূচনাকাল ১৯০২। এ বছর জাপানের নমস্য পণ্ডিত শিল্পাচার্য ওকাকুরা তেনশিন কলকাতায় যান এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ ঘটে স্বামী বিবেকানন্দের মাধ্যমে। কলকাতায় প্রায় দশ মাস অবস্থানের পর ওকাকুরা জাপানে ফেরার সময় ‘মল্লিক’ নামে একটি কিশোরকে জাপানে নিয়ে এসেছিলেন। ছেলেটি জাপানি ভাষা ও জুজুৎসু ক্রীড়া শিখে ছয় মাস পর স্বদেশে ফিরে যায় ওকাকুরার শিষ্য শিল্পী য়োকোয়ামা তাইকানের সঙ্গে ১৯০৩ সালে। ওকাকুর...
দূর পরবাস জাপান: সময়ের ডায়েরি

দূর পরবাস জাপান: সময়ের ডায়েরি

Stories
গ্রন্থের ‘কিছু কথা’র ভূমিকায় লেখক নিজেকে বলেছেন হাতুড়ে লেখক। এই বক্তব্যের গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন কোথাও খুঁজে পেলাম না ২৩২ পৃষ্ঠার বইটিতে। তবে তথ্যের সংকট ও বিন্যাস চিন্তা করলে এ দায় লেখকের ঘাড়ে বর্তায় বই কী! তথাপি আলোচ্য ‘দূর পরবাস জাপান’ গ্রন্থের রচয়িতা কাজী ইনসানুল হক কথায় ও লেখায় দুটোতেই পারদর্শী। জাপানে লেখক, সাংবাদিক, সম্পাদক ও সংগঠক কাজী ইনসানুল হক অতিপরিচিত একটি নাম। বহু আগে থেকেই তিনি লেখালেখির সঙ্গে জড়িত। জাপানে প্রবাসী হওয়ার আগে তাঁর লেখার সঙ্গে আমি পরিচিত। রংপুর-কুড়িগ্রামের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, অবিভক্ত বাংলা ও সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের দীর্ঘ ৩৫ বছরের জনপ্রতিনিধি ‘টাইগার অব বেঙ্গল’ খ্যাত কাজী ইমদাদুল হকের সন্তানই হচ্ছেন কাজী ইনসানুল হক। তিনি কখনোই পিতৃপরিচয় দেন না, ফলে আমরা অনেকেই সেই তথ্যটি জানি না। এটা তার দ্বিতীয় গ্রন্থ। প্রথম গ্রন্থ ‘মেড ইন জাপান’ ২০০৭ সালে ঢাকার জাগৃতি প্রকাশনী ...
প্রবাসীর গল্প : বাসর রাত ও মায়াবতী

প্রবাসীর গল্প : বাসর রাত ও মায়াবতী

Stories
আমার বাসর রাত। বিছানার ঠিক মাঝখানে নববধূ বসে আছে। মাথায় লম্বা ঘোমটা দেওয়া। আমি বিছানার এক কোণায় বসে আছি। রুমে এসি চলছে তবু ঘামছি। বুকের ভেতর হৃৎপিণ্ড এমন ভাবে লাফাচ্ছে, মনে হচ্ছে ড্রাম বাজছে। চেষ্টা করছি কিন্তু মুখ থেকে কোনো কথা বের হচ্ছে না। মনে হচ্ছে সব কথাই ভুলে গেছি। সে এক অস্বস্তিকর অবস্থা। অথচ এমন হওয়ার কথা না। আমি যথেষ্ট সাহসী ও স্মার্ট একটি ছেলে। তা ছাড়া, এই বাসর রাতের জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতিও নিয়েছি। বাংলা সিনেমার বাসর ঘরের সিনগুলো বারবার দেখেছি এবং বিভিন্নজনের কাছ থেকে অনেক পরামর্শ নিয়েছি। সবচেয়ে বেশি পরামর্শ পেয়েছি আমার ভাবির কাছ থেকে। তবে তিনি একজন বোকা টাইপের সহজ সরল মহিলা। আর তার অধিকাংশ পরামর্শই ছিল উদ্ভট ও ভয়ংকর। : শোন বাসর রাতেই কিন্তু বউকে ঠিকমতো টাইট দিবি। : তুমি যখন বলেছ, অবশ্যই দেব। কোনো ছাড়াছাড়ি নাই। কিন্তু কী দিয়ে টাইট দেব? প্লাস, স্ক্রু ড্রাইভার, নাকি রেঞ্জ দিয়ে...

Please disable your adblocker or whitelist this site!