তাইওয়ান নিয়ে জাপানের সাম্প্রতিক অবস্থান শেষ পর্যন্ত জাপানের বিরুদ্ধেই যেতে পারে বলে সাম্প্রতিক এক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে। এর মূল কারণ হলো, জাপানের অর্থনীতি এবং দেশটির প্রধান শিল্পগুলো চীনের বাজারের ওপর গভীরভাবে নির্ভরশীল।
জাতিসংঘের কমট্রেড ডাটাবেস, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জাপানের মেশিন টুল বিল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে জাপানের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার এবং আমদানির প্রথম উৎস চীন। ২০২৪ সালে দুই দেশের বাণিজ্যের আকার ছিল ৩০৮ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
এ ছাড়া জাপানের সেমিকন্ডাক্টর রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য চীন। দেশটির উৎপাদিত সেমিকন্ডাক্টরের ৩১ শতাংশের বেশি চীনে রপ্তানি হয়। ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত চীনে জাপানের সেমিকন্ডাক্টর রপ্তানি গড়ে বেড়েছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ।
অন্যদিকে মেটাল কাটিং মেশিন টুল খাতে জাপানের মোট বৈদেশিক অর্ডারের ৭০ শতাংশের বেশি আসে বিদেশ থেকে, যার মধ্যে চীন থেকেই আসে ৩২ শতাংশ।
বিশ্লেষকদের মতে, এমন পরিস্থিতিতে জাপানি প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির সাম্প্রতিক উত্তেজনাপূর্ণ বক্তব্য শুধু রাজনৈতিকভাবেই নয়, অর্থনৈতিকভাবেও জাপানের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছে।
সূত্র: সিএমজি বাংলা





















