Monday, December 23
Shadow

টিনএজার টিপস : অনলা্ইন ডেট ? সাবধান!

অনলাইন ডেটহ্যান্ডু দেখতে একটা ছেলে বা মিষ্টি একটা মেয়ে তোমাকে ফেসবুকে রিকোয়েস্ট পাঠাল, আর তুমিও গলে গিয়ে তাকে না চিনেই দুম করে অ্যাকসেপ্ট করে ফেললে তার রিকোয়েস্ট। দু’দিনের চ্যাট, তারপর ঘনিষ্ঠতা, ব্যস, তারপরেই তোমাকে ডেটে যাওয়ার প্রস্তাব দিল সেই ছেলে বা মেয়েটি। সাবধান! মানছি এখন ডিজিটাল যুগ, সারাক্ষণ অনলাইন না থাকলে বা লোকজনের সঙ্গে বকবক না করলে তোমার বোর লাগে। অজানা অচেনা ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে আলাপ করাতেই তুমি খুঁজে পাও তোমার আনন্দ। মানছি যে প্রেমের ফাঁদ পাতা সর্বত্র। কিন্তু সাবধান বন্ধুরা, এমন ফাঁদ কিন্তু ফাঁদই, তা যতই সেটা ঝাঁ চকচকে হোক না কেন! অনলাইনে সোশ্যাল নেটওয়ার্কই হোক, কী ডেটিং সাইটই হোক, আর তোমার জীবনে প্রেমের যতই অভাব থাকুক না কেন, এ পথে পা বাড়ানোর আগে কিন্তু চোখ বুলিয়ে নাও ‘১৯ ২০’-র টিপসে।

 

প্রথম আলাপ

অনলাইনে যার সঙ্গেই তোমার আলাপ হোক না কেন, একটা কথা কিন্তু তোমার মাথায় এক্কেবারে ঢুকিয়ে নাও, সেটা হল উলটোদিকের লোকটিকে (সে ছেলে বা মেয়ে যে-ই হোক না কেন) তুমি একদমই চেনো না। ফলে তার সঙ্গে আলাপ করার সময়েও সতর্ক থাকো। প্রথম আলাপেই অত মাখো-মাখো সম্পর্কে যাওয়ার দরকারটা কি? আর যদি দেখো, তোমার ওই ‘নতুন বন্ধু’ শুরুতেই বেশি ঢলাঢলির চেষ্টা করছে, তোমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে, তা হলে কিন্তু বিপদঘণ্টি বাজছে বলেই ধরে নাও। আর আমরা তো বলব অচেনা লোকের রিকোয়েস্ট না-ই বা অ্যাকসেপ্ট করলে!

 

একঘেয়ে? ফেক নয় তো?

অনলাইনে বেশি ফ্লার্ট যারা করে, তাদের কিন্তু বেশ একঘেয়ে একটা প্যাটার্ন হয়। তুমি যদি এ লাইনে পুরনো খিলাড়ি হও, তা হলে সহজেই সেই ছকটা ধরে ফেলতে পারবে। মোটামুটি একটু ভাল করে দেখলেই তো বোঝা যায় কে আসল আর কে ফেক। যদি দেখো, তুমি যে ছেলে/মেয়েটার উপর চাপ খাচ্ছ, সে প্রচণ্ড হ্যান্ডসাম, সেক্ষেত্রে কিন্তু সাবধান! কিংবা হয়তো তার নিজের ছবি ডিপি-তে নেই। নেট-দুনিয়ায় গুগল করে অমন হ্যান্ডু ছেলের ছবি জোগাড় করা কিন্তু আজকের দিনে কোনও ব্যাপার নয়। তাই নিশ্চিন্তে তাদের ফেক বলে ব্লক করে ফেলতে পার বা অন্তত সন্দেহটুকু করতে পার। আর হ্যাঁ, যার সঙ্গে রাত-দিন এত কথা বলছ, তার প্রোফাইলটা কিন্তু ভাল করে ঘেঁটে দেখো।

 

ব্যক্তিগত কথা বা ছবি?

তোমার উলটোদিকের মানুষটি কি তোমার সঙ্গে সারাক্ষণ কথা বলতে চাইছে? মানছি প্রথম-প্রথম কথা বলতে দিব্য লাগে, কিন্তু তাই বলে সারাক্ষণ? বেশি কথা বললেঅবধারিতভাবে ব্যক্তিগত জীবনের কথা আসবে, সে তোমার পার্টনার, সম্পর্কের খবর জানতে চাইবে। কিন্তু ব্যাপার যদি বেশি বাড়াবাড়ির দিকে যায়, তা হলে সাধু সাবধান! আর বেশি ছবি, সেলফি কিন্তু নো ওয়ে!

 

ফোন নম্বর দেবে নাকি?

এসব ক্ষেত্রে ফোন নম্বর চাইতেই পারে উলটোদিকের মানুষটি। তুমি যদি ব্যাপারটাকে এগোতে দিতে চাও, তা হলে ফোন নম্বর দিতে পার। কিন্তু তার আগে বারবার ভেবে নিয়ো। কারণ একবার তুমি ফোন নম্বর দিলে, আর তারপর সে তোমাকে উত্ত্যক্ত করে মারল, এটা হতেই পারে। যেচে ঝামেলা এড়ানোই তো ভাল, তাই না?

 

অনলাইন ডেট ? বন্ধুদের পরামর্শ নাও

অনলাইনের ব্যাপারটা যদি সিরিয়াস যায় এবং তুমিও যদি এ ব্যাপারে কনফিডেন্ট থাকো, তা হলে তোমার বন্ধুদের সঙ্গে পরামর্শ নিতে পার। হাজার হোক, উলটোদিকের মানুষটিকে কিন্তু তুমি চেনো না। তাই বিপদ হতে কতক্ষণ!

 

দেখা করবে?

অনলাইনে এইসব ক্ষেত্রে খানিক পরেই আসে দেখা করার প্রস্তাব। তুমি কনফিডেন্ট হলে দেখা করতেই পার, আর যদি না চাও, তা হলে সোজা কাটিয়ে দাও। দেখা করার ক্ষেত্রেও মাথায় রাখো কয়েকটা জিনিস। তোমার অচেনা জায়গায় একদম যাবে না। সোজা ব্যাপার কোন একটা কফিশপে গিয়ে কথা-টথা বলে ফেলতে পার। প্রথম দেখাতেই বেশি আদিখ্যেতা না-ই বা করলে! একে অপরকে বুঝে নেওয়া বেস্ট। আর যদি দেখা করার পর দেখো এ বেশি দূর এগোনোর নয়, তা হলে সুযোগ বুঝে কেটে পড়তে পার নিশ্চিন্তে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!