দেশ একটি কঠিন পরিস্থিতি পার করছে, করোনা আতঙ্কে সবাই। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি স্পেশাল ইউনিট, আইসোলেশন এর ব্যবস্থা করেছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবির ।
১৯শে মার্চ সকালে নির্মাণাধীন ছাত্রীনিবাস পরিদর্শন শেষে এই পরিকল্পনার কথা জানান । নির্মাণাধীন নার্সিং ছাত্রী নিবাসকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি স্পেশাল ইউনিট করার সিদ্ধান্ত চলছে। চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা গত এক যুগ ধরেই অাবাসন সংকটে রয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে, চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজে পৃথকভাবে ছাত্র ও ছাত্রী হোস্টেল র কাজ চলমান আছে। দুটি বিল্ডিংই নির্মাণাধীন, কোনটিরই কাজ সম্পন্ন হয়নি সম্পূর্ণরূপে। ছাত্রীদের জন্য একটি আবাসিক ভবন তৈরি করা হচ্ছে, সেটিকে হাসপাতালের করোনা ইউনিট হিসেবে রুপান্তর করার পরিকল্পনা চলছে।
এই হোস্টেলে ৪০০জন এর বেশি নার্সিং শিক্ষার্থীরা থাকে, ২০০ জনের বেশি সিনিয়র স্টাফ নার্সরা থাকে। সরেজমিনে দেখা যায় তন্মধ্যে পর্যাপ্ত পানি, বর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা খুবই নিম্ন মানের, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশও বটে । এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের থাকার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরিই অপরিকল্পিত। যেখানে নার্স ও নার্সিং শিক্ষার্থীদেরই থাকার ব্যবস্থা অপ্রতুল, অপরিচ্ছন্ন ও অস্বাস্থ্যকর সেখানে এমন স্থানে করোনা-ইউনিট চালু করা অযৌক্তিক।
নতুন আবাসিক হোস্টেলটি, একাডেমিক ভবন ও স্টাফ বিল্ডিংয়ের মাঝখানে অবস্থান করছে, তার মানে এখানে যে পরিমাণ নার্স ও নার্সিং স্টুডেন্টদের যাতায়াত হয় বা হবে তাতে করে সংক্রামন আরো ছড়াবে নার্স ও নার্সিং স্টুডেন্টদের মধ্যে। আবার সেই নার্স এবং নার্সিং স্টুডেন্টরা এই আক্রান্ত রোগীদেরকে সেবা দিবে।