খাঁটি মধু ও এর গুণাগুণ ও ১০টি উপকারিতা  
Saturday, December 13

খাঁটি মধু ও তার গুণাগুণ এবং ১০টি উপকারিতা  

মধু হল এক প্রকারের মিষ্টি ও ঘন তরল পদার্থ, যা মৌমাছি বিভিন্ন প্রতঙ্গ ফুলের মধ্য থেকে সংগ্রহ করে মৌচাকে সংরক্ষন করে। যা পরবর্তিতে মানুষ তাদের নিজেদের প্রয়োজনে মৌচাক থেকে খাঁটি মধু সংগ্রহ করে থাকে। খাঁটি মধু একটি সুপেয় ঔষধিগুণ সম্পন্ন তরল ভেষজ পদার্থ। এটি স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও রোগ মুক্তিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

মধুতে যে সকল রাসায়নিক উপাদান আছে তা হলো ফ্রুক্টোজ এবং ডেক্সট্রোজ। এছাড়াও মধুতে থাকে সুক্রোজ, প্রোটিন, পটাসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, লৌহ, অ্যালুমিনিয়াম, তামা, ক্লোরিন, গন্ধক এবং ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’, ‘কে’ ও ‘ই’ ।

 

মধুর এই গুণাগুন থাকার ফলে মধু মানুষের জন্য খুবই উপকারি। মধু মানুষের শরীরে অনেক রোগের প্রতিষেধক হিসেবে অনেক ক্ষেত্রে ঔষধের চেয়েও ভালো কাজ করে।

 

খাঁটি মধু খেলে কী হবে

 

১। প্রতিদিন এক চামচ মধু পানে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

২। প্রতিদিন ভোরে দুই চা- চামচ মধু পানিতে মিশিয়ে একাধারে চার-পাঁচ মাস ধরে পান করলে চুলকানি, রোগ একেবারে নির্মূল হয়ে যায় ।

৩। পানিতে অল্প মধু মিশিয়ে খেলে পাকস্থলীর ক্ষত সারে।

৪। এক কাপ দুধে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে রোজ সকালে খেলে শক্তি বৃদ্ধি পায়।

৫। বাসকপাতার রসের সাথে দুই চা চামচের সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে খেলে সর্দি ও কাশি সেরে যায়।

৬। মধুর সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে খেলে শরীরের মেদ কমে।

৭। সৌন্দর্যচর্চাতেও রয়েছে মধুর বড় ভূমিকা এটি ত্বককে উজ্জ্বল, কোমল ও মসৃণ করে।

৮। মাড়ির ব্যথায় মুখ কুলকুচি করার জন্য মধু মিশ্রিত পানি ব্যবহার করলে মাড়ির ব্যথা অনেকাংশে কমে যায়।

৯। অলিভ অয়েলের সাথে মধু মিশিয়ে লাগালে ত্বকের অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় সমস্যা দূর হয়।

১০। মধুতে খুব বেশি পরিমাণে কপার, লৌহ ও ম্যাঙ্গানিজ থাকায় রক্তে হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে বলে।

মধুর পরিপূর্ণ উপকার পেতে হলে খাঁটি মধুর প্রয়োজন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *