class="post-template-default single single-post postid-24564 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

গ্রহাণু ধেয়ে আসলে কী হবে পৃথিবীর?

গ্রহাণুমহাকাশ বিজ্ঞানীদের মতে ৪৬০ ফুট বা এর চেয়ে বড় দুই-তৃতীয়াংশ গ্রহাণু আবিষ্কার করা যায়নি। এসব গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে এসে আঘাত করলে যথেষ্ট ক্ষতি হতে পারে। তাই মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাসহ অন্যান্যরা এমন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের গবেষণার লক্ষ্য হলো পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা গ্রহাণু ঠেকানো। এ লক্ষ্যেই সম্প্রতি একটি মহড়ার আয়োজন করে নাসা। এতে বিজ্ঞানীদের সাড়ে তিন কোটি মাইল দূর থেকে একটি গ্রহাণুর পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ঠেকাতে দেওয়া হয়েছিল।

মহড়ায় পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা কাল্পনিক গ্রহাণুকে ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার বিশেষজ্ঞরা। মহড়ার পর তারা জানিয়েছেন, ছয় মাসের মধ্যে গ্রহাণুর আঘাত ঠেকানোর মতো প্রযুক্তি পৃথিবীর কাছে নেই।

বিশেষজ্ঞরা ব্যর্থ হন। তারা সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, মহড়ায় বেঁধে দেওয়া ছয় মাস সময়ের মধ্যে গ্রহাণুকে ঠেকানোর মতো কোনও প্রযুক্তি পৃথিবীতে নেই। বিকল্প বাস্তবতায় (অল্টারনেটিভ রিয়্যালিটি) গ্রহাণুটি পূর্ব ইউরোপে আঘাত হানে।

নাসাসহ বিভিন্ন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, এই মুহূর্তে মহড়ার মতো কোনও গ্রহাণু পৃথিবীর জন্য হুমকি তৈরি করছে না।

এক বিবৃতিতে নাসার গ্রহবিষয়ক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা লিন্ডলে জনসন বলেন, এই মহড়া গ্রহ প্রতিরক্ষা সম্প্রদায়ের একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় আমাদের সবার সমন্বিত থাকার বিষয়টি যাতে সরকারগুলো নিশ্চিত করে সেজন্য সহযোগিতা করবে।

কল্পিত এই গ্রহাণুর নাম দেওয়া হয়েছিল ২০২১পিডিসি। সিমুলেশনের বর্ণনায় নাসা এটিকে ১৯ এপ্রিল শনাক্তের কথা জানিয়েছে। এক সপ্তাহ গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা হিসাব করে বের করেন যে, ২০ অক্টোবর পৃথিবীতে এটির আঘাতের সম্ভাবনা ৫ শতাংশ।

দ্বিতীয় দিনের মহড়া এগিয়ে আনা হয় ২ মে। এসময় নতুন গতিপথ-প্রভাব হিসাবে দেখা যায়, ২০২১পিডিসি নিশ্চিতভাবে ইউরোপ বা উত্তর আফ্রিকায় আঘাত হানবে। মহড়ায় অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন মহাকাশযান যান দিয়ে গ্রহাণু ধ্বংস ও পৃথিবীর পথ থেকে সরানোর বিষয়টি বিবেচনা করেন।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা সিদ্ধান্ত টানেন যে, এত অল্প সময়ে এমন অভিযান পৃথিবী থেকে পরিচালনা করা সম্ভব নয়।

এক অংশগ্রহণকারী বলেন, কাল্পনিক এমন অবস্থা বাস্তবে ঘটলে বর্তমান সামর্থ্যে এত কম সময়ের ভেতরে আমরা কোনও মহাকাশযান উৎক্ষেপন করতে পারব না।

মহড়ায় অংশগ্রহণকারীরা গ্রহাণুটি পারমাণবিক বোমা দিয়ে বিস্ফোরিত বা পথচ্যুত করার কথা ভেবেছিলেন। তাদের মতে, পারমাণবিক মিশন মোতায়েন করলে পৃথিবীতে আঘাতের ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসবে।
সূত্র:বিজনেস ইনসাইডার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!