class="post-template-default single single-post postid-20037 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

জন্ডিস ও লিভার ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়

লিভার ক্যান্সার জন্ডিস ও লিভার ক্যান্সার

জন্ডিস ও লিভার ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়

লিভার মানবদেহের একটি অত্যান্ত প্রয়োজনীয় অঙ্গ। এই লিভার অনেক সময় জণ্ডিস এবং ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। জীবনের কোন না কোন সময় লিভার জণ্ডিসে আক্রান্ত হয়নি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই ক্যান্সার এবং জণ্ডিস থেকে লিভারকে মুক্ত রাখার জন্য আমাদের বেশ কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হবে।
জন্ডিস প্রতিরোধের উপায়
জন্ডিস মোটামুটি প্রতিরোধযোগ্য অসুখ৷ জন্ডিস প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে;
•    বাইরের পানি বা শরবত থেকে সাবধান৷ সন্দেহ থাকলে পানি ফুটিয়ে পান করতে হবে৷
•    ইনজেকশন নেওয়ার সময় হুঁশিয়ার৷ ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ ব্যবহার নিরাপদ৷
•    রক্ত নেওয়ার দরকার হলে আত্মীয়স্বজনের রক্ত নেওয়া ভালো৷ পেশাদার রক্ত বিক্রেতাদের মধ্যে হেপাটাইসিস বি ভাইরাসের জীবাণু আশঙ্কাজনকভাবে বেশি৷
•    জন্ডিস আক্রান্ত অবস্থায় জণ্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খাওয়া উচিত নয়৷
•    মদ খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে৷
•    স্বামী বা স্ত্রীর যে কোনও একজনের যদি রক্তে বি ভাইরাস পজেটিভ থাকে তবে যতদিন না টেস্ট নেগেটিভ হয় ততদিন সহবাসের সময় কনডম ব্যবহার করা উচিত৷
•    সকল ঝুঁকিপূর্ণ ও অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক বা আচরণ পরিহার করুন৷
•    জন্ডিস অস্থায় কোনো ওষুধ খেলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে৷
বি ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করার জন্য ভ্যাকসিন আছে৷ এই ভ্যাকসিন তিনটি ডোজে দেওয়া হয়৷ প্রতি ডোজে থাকে ২০ মাইক্রোগ্রাম ভ্যাকসিন৷ এই ভ্যাকসিন মাংশপেশির মধ্যে ইনজেকশনের মাধ্যমে দিতে হয়৷ দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয় প্রথম ডোজের এক মাস পর আর তৃতীয় ইনজেকশন দেওয়া হয় প্রথম ডোজের তিন বা ছয় মাস পর৷ বাচ্চাদের জন্য ১০ মাইক্রোগ্রাম ডোজের ভ্যাকসিন পাওয়া যায়৷ নবজাত শিশুকেও এই ভ্যাকসিন দেওয়া যায়৷

লিভার ক্যান্সার

আমাদের দেশে লিভার ক্যান্সারের মূল কারণ হেপাটাইটিস বি এবং হেপাটাইটিস সি ভাইরাস৷ এ দুটো ভাইরাসের সংক্রামণকে প্রতিহত করলে লিভার ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়৷ লিভার ক্যান্সার হওয়ার পূর্বে সিরোসিস হয় এবং এই সিরোসিস প্রতিরোধ করতে পারলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা নেই৷ প্রাথমিক অবস্থায় খুব ছোট আকারের লিভার ক্যান্সার ধরা পড়লে তা নির্মূল করা যায়৷ আর তা না হলে, পরবর্তী সময়ে এটা মারাত্মক আকার ধারণ করে৷
সবশেষে বলা যায় লিভার সুস্থ রাখার জন্য আপনার সচেতনতাই হতে পারে সবচেয়ে ভাল উপায়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!