একেবারে শতবর্ষ পরমায়ু না হোক, অন্তত যতদিন বাঁচবে ঠিকঠাক মতো বাঁচতে কে না চায়! জন্মেছ যখন, মরতে তো হবেই। কিছুই না, একটু ‘কুল’ ভাবে বাঁচার চেষ্টা করতে মন্দ কী! এখন রোগ-বালাই হলে কিছু করার থাকে না। তবে সেসব মারণ রোগ না হলে, ছোটখাটো রোগকে প্রতিরোধ করতে পারে এমন কয়েকটা অভ্যেস তো রুটিনে এনে ফেলতেই পার—
- শরীর ঠিক রাখতে ঘুম ঠিক হওয়া প্রয়োজন। রাত জাগার অভ্যেস থেকে থাকলে সেটাকে এখনই বাই-বাই জানাও। প্রতিদিন গড়ে সাড়ে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমোনোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। অনেকসময় তার থেকে কম ঘুম হয়ে যায়, সেরকম হয়ে থাকলে দিনের কোনও সময় ‘পাওয়ার ন্যাপ’ নিয়ে নাও।
- একটু যোগা করার অভ্যেস থাকা ভাল। সেটা না-করতে পারলে, খানিক হাঁটার অভ্যেস তৈরি করো। কলেজ থেকে ফেরার সময় কোনও একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব রাখা ভাল, যেখান থেকে প্রতিদিন তুমি হেঁটে ফিরবে, এতে তোমার হাঁটার অভ্যেসটা তৈরি হবে
- ধূমপান করার অভ্যেস থাকলে, সেটা অচিরেই বন্ধ করে দেওয়া ভাল। কারণ তাতে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সমস্যাও খানিকটা এড়ানো যায়।
- বেশি কার্বোহাইড্রেটও শরীরকে ভাল রাখে না। তাই নিজের স্বাস্থ্যে ব্যালান্স রাখতে গেলে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে দাও।
- মন ভাল রাখার চেষ্টা করো। মন খারাপ থাকলে, স্ট্রেস থাকলে কিন্তু শরীরে প্রভাব পড়ে। তাই ভাল থাকতে, খুশি থাকার চেষ্টা করো।
- বছরে একবার পুরো মেডিক্যাল চেক-আপ করানো জরুরি।
- প্রচুর পরিমাণে জল খাও এবং শাক-সবজি খাও।