ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতালের চিফ কার্ডিয়াক সার্জন ডা. লুৎফর রহমানের পরামর্শ : কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করুন হৃদ্যন্ত্রের কার্যক্ষমতা অনুযায়ী
আমরা হৃদ্যন্ত্রকে সচল রাখতে অনেকেই শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করে থাকি। তবে যার হৃৎপিণ্ড যেমন সচল, তার তেমন ধরনের পরিশ্রম বা ব্যায়াম করা উচিত। স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড, সিঁড়ি ভাঙা, উঁচু স্থানে ওঠা, সাঁতার কাটা বা অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমে যাদের বুক ধড়ফড় করে বা শ্বাসকষ্ট হয়, তাদের হার্টের স্ক্রিনিং করে হার্টের কার্যক্ষমতা জানা জরুরি। হার্টে স্ক্রিনিংয়ের মধ্যে রয়েছে ইসিজি, ইটিটি, ইকো, বুকের এক্স-রে ইত্যাদি।
হার্টের ভাল্বের সমস্যা, মাংসপেশির সমস্যা, জন্মগত হৃৎদেরাগ, রক্তনালিতে ব্লক, অতীতে হার্ট অ্যাটাক ইত্যাদি কারণে অনেকের হার্টের কার্যক্ষমতা কমে গিয়ে নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি ফুসফুসের কোনো সমস্যা রয়েছে কি না তা-ও জানতে হবে। অনেক সময় যক্ষ্মা, হাঁপানি, অতিরিক্ত ধুলাবালি, অ্যালার্জি, ফুসফুসের বাইরে পানি জমা, পালমনারি হাইপারটেনশন বা ফুসফুসের উচ্চ রক্তচাপের কারণে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেয়।
যাঁদের বয়স চল্লিশের ঊর্ধ্বে, তাঁদের হৃদেরাগের ঝুঁকি বেশি থাকে। ফলে হঠাৎ অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম যেমন—দৌড়ানো, খেলাধুলা করা, সাঁতার কাটা, পর্বত আরোহণ ইত্যাদির আগে স্ক্রিনিং করে হার্টের কার্যক্ষমতা দেখা জরুরি। না হলে অনেক সময় অপ্রত্যাশিত বিপদে পড়তে হতে পারে। আবার ব্যায়াম করার আগে বা অন্য কোনো শারীরিক পরিশ্রমের আগে অবশ্যই ‘ওয়ার্ম আপ’ করে শরীর প্রস্তুত করাও প্রয়োজন।
https://www.youtube.com/watch?v=Geg0SPadJxM&feature=youtu.be&fbclid=IwAR0QsvcqjH0dMmsEQj-NPglRMt4gW5oe32oH3C-jCb4BnnI893b6ABrzpvk