পরকীয়া, গোয়েন্দাগিরি আর ব্ল্যাকমেইল এর জটিল কাহিনী - Mati News
Friday, December 5

পরকীয়া, গোয়েন্দাগিরি আর ব্ল্যাকমেইল এর জটিল কাহিনী

শেরপুরের নালিতাবাড়ী সম্পর্কে আপন খালু ও ভাগ্নি পরকীয়ার টানে পালিয়ে বিয়ে করায় তাদের ভিডিও ধারণ করে চাঁদা দাবি করেছে চার গ্রাম্য মাতব্বর। এমন অভিযোগে মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) রাতে পর্ণোগ্রাফি আইনে অভিযুক্ত চার মাতব্বরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে উপজেলার সিধূলী গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পেশায় একটি কীটনাশক কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি সিধূলী গ্রামের খোকন মিয়া (৪০) তারই ভায়রা মজিবর রহমানের এইচএসসি পড়ুয়া কন্যাকে প্রায়সই কলেজে আনা নেয়া করতো। বর্তমানে ওই তরুণী এইচএসসি উর্ত্তীণ।

একপর্যায়ে খালু-ভাগ্নির এ সম্পর্কের মাঝে গড়ে উঠে পরকীয়ার সম্পর্ক। সবার অজান্তে গড়ে ওঠা এ পরকীয়া দাম্পতির রূপ দিতে সম্প্রতি এলাকা থেকে পালিয়ে ঢাকায় গিয়ে জনৈক মৌলভী দিয়ে বিয়ে পড়ায় এবং সংসার জীবন শুরু করে তারা।

এদিকে খোকন ও স্বজনেরা ওই তরুণীর উধাও হওয়ার ঘটনায় স্থানীয় কিছু ব্যক্তিদের দোষী করে প্রচারণা ও চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। কয়েকদিন আগে ঘটনাক্রমে ওই তরুণী বাড়িতে বেড়াতে আসে। এরপর ঢাকায় ফিরে যাওয়ার সময় স্থানীয় চার ব্যক্তি পথ অনুসরণ করে। একপর্যায়ে ঠিকানামত পৌছে যায় এবং গত ৪ অক্টোবর নতুন দম্পতি এক ঘরে থাকাবস্থায় তাদের ভিডিও ধারণ করে অনুসরণকারীরা।

ভিডিওটি প্রকাশের হুমকী দিয়ে দাবি করা হয় ১ লাখ টাকা। কথামতো ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করে ওই দম্পতি। পরে মাতব্বরেরা টাকা ও মোবাইল সেট নিয়ে চলে আসে। কিন্তু বাধ সাধে বাকী ৭০ হাজার টাকা। এ টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকলে মঙ্গলবার (৯ অক্টোবার) ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত চার মাতব্বর বনকুড়া গ্রামের মীর হোসেন, সিধূলী গ্রামের জিয়াউর রহমান ও হাবিবুর রহমান এবং মৌয়াকুড়া গ্রামের নূর ইসলামকে রাতেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আমিনুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *