তবে শোভার বক্তব্য, এখানেই শেষ নয়। যে ব্যক্তি তাঁর এত বড় সর্বনাশ করেছিলেন, সে শাস্তি না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন তিনি। বলেছেন, ‘‘ওই সময়ের কথা মনে করলে এখনও শিউরে উঠি। আমি জানি না কীভাবে লড়তে লড়তে এত দূর পৌঁছে গেলাম। কিন্তু এর শেষ না দেখে ছাড়ব না।’’
ঘটনা ২০১৬ সালের মাঝামাঝি। লিট্টো নামে শোভার স্বামীর অফিসের এক সহকর্মী তাঁর অফিসের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেন। তাতে দেখা যায় এক মহিলা ইচ্ছাকৃতভাবে ক্যামেরার সামনে এসে পোশাক পাল্টাচ্ছেন। একটা সময় পুরো নগ্ন হয়ে যান তিনি। ওই ভিডিয়োতে শোভার স্বামী এবং তাঁর কয়েক জন সহকর্মীও রয়েছেন। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে ওই ভিডিয়োতে যে মহিলা ছিলেন, তিনি অবিকল শোভার মতো দেখতে।
অকুল পাথারে পড়েন শোভা। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে সিদ্ধান্ত নেন, লড়াই করবেন তিনি। তাই আদালতে মামলা দায়ের করেন। বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া, স্বামীর ডিভোর্সের মামলার চেয়েও তাঁর লড়াই ছিল নিজের ছেলেমেয়ের জন্য, বলছেন শোভা।
এই রিপোর্ট পাওয়ার পরই নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কে বা কারা ওই ভিডিয়ো প্রথম ছড়িয়েছিল, তা নিয়ে তথ্য জোগাড় শুরু হয়েছে।
আড়াই বছরের যুদ্ধজয়ের পর সংবাদ মাধ্যমে নিজে আর মুখ ঢাকতে চাননি শোভা। তিনি বলেন, ‘‘আমি মুখ ঢাকলে সবাই ভাববে আমি দোষী। এবার অন্তত আমার সন্তানরা বুঝবে, আমি অর্থাৎ ওদের মা খারাপ নয়।’’