মস্তিষ্কের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর যে অভ্যাসগুলো!
আমাদের দেহ পরিচালনার জন্য প্রথম এবং প্রধান কাজ করে আমাদের মস্তিষ্ক। এটি ব্যতীত আমরা একটি জড়পদার্থ। আমরা আমাদের সকল কর্মকাণ্ডের জন্য মস্তিষ্কের ওপর নির্ভরশীল।
আপনার বয়স ব্রেইনের তীক্ষ্ণ ভাব কেড়ে নিতে পারে। এটি এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে বর্তমান যে অভ্যাসগুলো আপনার মস্তিষ্কের তীক্ষ্ণ ভাব কেড়ে নিচ্ছে, তা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। অনিদ্রা, জাঙ্ক ফুড, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তাসহ বেশ কিছু কারণে আপনার মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে। সতেজ ও সুস্থ ব্রেইনের জন্য এই বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আসুন জেনে নেয়া যাক, প্রতিদিন আপনি কি ভুল করছেন-
১) অতিরিক্ত চিনি খাওয়া:
আমাদের প্রতিদিনের খাবারে চিনির ব্যবহার অবশ্যই থাকে। অতিরিক্ত চিনি সেবনের ফলে আমাদের শরীরে পুষ্টি ও প্রোটিনের অভাব হয়ে থাকে। অনেক বেশি চিনি জাতীয় খাবার দেহের বিশেষ করে ব্রেইনের প্রোটিন ও পুষ্টির শোষণ ক্ষমতা একেবারেই কমিয়ে দেয়। ফলে মস্তিষ্ক-এর নিউরন ও কোষ বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায় এবং মস্তিষ্কের উন্নতি হয় না। যা আমাদের মস্তিষ্কে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। তাই চিনি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে।
২) অনেক বেশি পরিমাণে খাওয়া:
আমরা অনেকেই একবেলা খাবার বাদ দিয়ে পরের বেলা একবারে বেশি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলি। এটি দেহের জন্য যতটা খারাপ মস্তিষ্কের জন্য আরও বেশি মারাত্মক। একবারে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে হুট করে দেহে সুগার সহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান বেড়ে যায়। মস্তিষ্কের শিরা-উপশিরা শক্ত করে ফেলে। ফলে মস্তিষ্ক স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায়।
৩) কম ঘুমানো:
আমাদের শরীরের অন্যান্য কোষের মতো মস্তিষ্কের কোষও নানাবিধ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর এই ক্ষতি মস্তিষ্ক পুষিয়ে নেয় আপনার ঘুমের সময়। তাই কম ঘুমের ফলে মানসিক অবসাদে ভুগতে পারেন আপনি। প্রতিদিন কম ঘুমানোর ফলে ভবিষ্যতে আপনার মস্তিষ্ক সংকুচিত হয়ে যেতে পারে। এমনকি যদি আপনি টানা দুদিন ভালোভাবে না ঘুমান, তবে অফিস বা বাসায় আপনার কাজের পরিমাণ কমে যায়।
৪) সকালের নাস্তা না করা:
অনেকেই সকালের নাস্তার ব্যাপারে অনেক উদাসীন। কিন্তু সারারাত আমরা থেমে থাকলেও আমাদের দেহের ভেতরটা কিন্তু থেমে থাকে না। সকালে নাস্তা না করলে দেহে ঘাটতি হয় সুগারের, যা প্রয়োজনীয় পুষ্টি মস্তিষ্কে পৌঁছোতে বাঁধা দেয়। এতে মস্তিষ্ক ঠিক মতো কাজ করতে পারে না এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যায়।
৫) ধূমপান ও মদ্যপান:
ধূমপান ও মদ্যপান দুটোই ব্রেইনের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর অভ্যাস। বিশেষ করে ধূমপান মস্তিষ্ক-এর জন্য অভিশাপে মতো। ধূমপানের ফলে মস্তিষ্কের শিরাউপশিরা সংকুচিত হয়ে আসে। এতে পুষ্টি, রক্ত, অক্সিজেন ইত্যাদির সরবরাহ সঠিক ভাবে হয় না। এতে করে স্মৃতিশক্তি লোপের মতো মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয় মস্তিষ্ক।
৬) অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড খাওয়ার অভ্যাস:
ফাস্টফুডের আরেকটি ইংরেজি নাম জাঙ্কফুড। আর এই জাঙ্কফুড আপনার মস্তিষ্ক এবং হৃদয় দুটির জন্যই ক্ষতিকর। প্রক্রিয়াজাত, মসলাদার জাঙ্কফুড ধীরে ধীরে আপনার ব্রেইনের কোষকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে।