তৌহিদা শ্রাবণ্য পেশায় চিকিৎসক। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। কিন্তু সে পরিচয় শোবিজ অঙ্গনে ক্ষীণ হয়ে গেছে। কারণ এ সময়ে যে ক’জন উপস্থাপকের সমুজ্জ্বল উপস্থিতি পর্দায় তাদের মধ্যে অন্যতম তিনি। বিশেষ করে ক্রীড়াঙ্গনে তৌহিদা শ্রাবণ্য এখন পরিচিত মুখ।
খেলা নিয়ে বেসরকারি চ্যানেলগুলোর আয়োজনে শ্রাবণ্য’র উপস্থিতি যেন অপ্রিহার্য। ক্রিকেট হোক কিংবা ফুটবল হোক। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বিশ্লেষণে বসে যাচ্ছেন তিনি। স্টুডিও থেকে সম্প্রতি তাকে মাঠেও এখন দেখা যাচ্ছে নিয়মিত। জিম্বাবুয়ে-বাংলাদেশ সিরিজের পর, বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও মাঠ থেকে জানাচ্ছেন খেলার খবরা খবর, প্রতিক্রিয়া।
তৎপর এই তরুণী সাম্প্রতিক সময়ের বিষয়ে বললেন, ‘স্টুডিওর চেয়ে মাঠে উপস্থাপনার অভিজ্ঞতা অন্যরকম। আমরা সরাসরি খেলা দেখছি, নিজের চোখে দেখা আর টেলিভিশন সেটে দেখা- এই দুইয়ের মনের ভেতরে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে এটাই স্বাভাবিক। স্টার স্পোর্টস, ইএসপিএন- ওরা মাঠ থেকেই উপস্থাপনা করে। আমাদের দেশেও এই প্রবণতা সাম্প্রতিক সময়ে তৈরি হয়েছে।
তৌহিদা শ্রাবণ্য বলেন, স্টুডিও থেকে আমাদের মাঠে যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে- এটা ইতিবাচক। স্টেডিয়াম থেকে আমরা ভক্তদের নিখাঁদ উচ্ছ্বাস, আবেগ বুঝতে পারছি এটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্টুডিও থেকে থেকে মাঠে এসে কাজ করা- এতে অনেক ভিন্নতা রয়েছে।
নার্ভাসনেস কাজ করে না? ছুঁড়ে দেওয়া প্রশ্নটাকে হাফ ভলি করে তুলে মারলেন তৌহিদা শ্রাবণ্য। ‘মোটেও না।’ ছোট একটা বাক্য, তাতে জোর বেশ। মনেই হলো আত্মবিশ্বাসের লেভেলটা অনেক উঁচু। অর্থাৎ সেটা ওভার বাউন্ডারি না হয়ে যায় না। মাঠের মধ্যে মাইক্রোফোন হাতের দৌঁড়াদৌঁড়িটা বেশ উপভোগ করছেন বলেই মনেই হলো।