ময়মনসিংহের খবর : মাত্র ৭০০ টাকার জন্য মাথা কেটে নেওয়া হয় ভ্যানচালক শাহজাহান আলী সাজুর। লাশ উদ্ধারের সাত দিন পর শনিবার একটি পচা পুকুর থেকে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করে ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশ। ঘাতক বাবুল মিয়াকে গ্রেফতারের পর মাথাটি উদ্ধার করা হয়।
রোববার ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দেন। ৩১ মার্চ সকালে মুক্তাগাছার বানিয়াকাজি গ্রামের একটি মৎস্য খামারের পাড় থেকে ভ্যানচালক শাহজাহান সাজুর মস্তকবিহীন লাশটি উদ্ধার করে মুক্তাগাছা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় মুক্তাগাছা থানায় হত্যা মামলা হয়।
মুক্তাগাছা উপজেলার গড়বাজাইল গ্রামের হালিম উদ্দিনের ছোট ছেলে শাহজাহান আলী সাজু। দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে অটোভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি। ৩০ মার্চ সারাদিন ভ্যান চালিয়ে বিকেলে বাড়িতে ফেরেন। সন্ধ্যার পর বাজারে যাওয়ার কথা বলে তিনি আবার বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। পরদিন সকালে পাশের গ্রাম বানিয়াকাজির তাজুল ইসলামের মৎস্য খামারের পাড় থেকে মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার ভাই ইসলাম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। অধিকতর তদন্তের স্বার্থে ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশের কাছে মামলাটি হস্তান্তর করা হয়। ডিবি পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বানিয়াকাজি গ্রামের বাবুল মিয়াকে শনিবার গ্রেফতার করে। তার স্বীকারোক্তিতে ওইদিন রাতে বানিয়াকাজি গ্রামের একটি পুকুর থেকে শাহজাহান সাজুর মাথা উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।
ঘাতক বাবুল মিয়ার স্বীকারোক্তির লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাবুল মিয়া মাত্র ৭০০ টাকা পেত ভ্যানচালক শাহজাহান আলীর কাছে। এ নিয়ে ঘটনার দিন রাতে এক নির্জন স্থানে তাদের সঙ্গে তর্কের একপর্যায়ে শাহজাহান সাজুকে কিলঘুষি মারে বাবুল মিয়া। এতে সাজু অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে কাঁধে করে বাড়ির পাশের একটি মৎস্য খামারে ফেলে আসে বাবুল। এরপর বাড়ি থেকে ধারালো দা নিয়ে তার দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে একটি পুকুরে ফেলে রাখে বাবুল মিয়া।