class="post-template-default single single-post postid-11136 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

লন্ডনে কোটি ডলার খরচ করে ফেঁসেছেন সাজাপ্রাপ্ত ব্যাংকারের স্ত্রী

লন্ডনেজামিরা হাজিয়েভার স্বামী জাহাঙ্গীর হাজিয়েভ ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক অফ আজারবাইজানের কর্মকর্তা ছিলেন। ২০১৬ সালে রাষ্ট্রীয় ওই ব্যাংকের অর্থ জালিয়াতির দায়ে তার ১৫ বছরের জেল হয়েছিলো। এবার তার স্ত্রী জামিরা হাজিয়েভার বিরুদ্ধেও শুরু হয়েছে তদন্ত। কারণ গত এক দশকে লন্ডনের বিখ্যাত বিলাসবহুল দোকান হ্যারডসে দুই কোটি দশ লাখ ডলারের কেনাকাটা করেছেন জামিরা। এমনকি তিনি ওই দোকান ও বার্কশায়ারের একটি গলফ ক্লাবও কিনে নিয়েছিলেন।

যুক্তরাজ্যে দুর্নীতি বিরোধী নতুন একটি আইনের কারণে বিপদে পড়েছেন ৫৫ বছরে জামিরা। তার এতো অর্থ কিভাবে হলো সেটি ব্যাখ্যা করতে না পারলে সম্পদ হারানোর ঝুঁকিতে পড়তে পারেন তিনি। এখন তিনি লড়াই করছেন লন্ডনে তার দেড় কোটি ডলারের বাড়ি রক্ষার জন্য। এর মধ্যেই তার নাম গোপন থাকবে কি-না সে বিষয়ে লড়াইয়ে তিনি হেরে গেছেন। একই সাথে তাকে প্রায় চার কোটি ডলার ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো। সাত বছর আগে ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডের একটি কোম্পানিকে এ দম্পতির পক্ষ থেকে একটি বড় বাড়ির জন্য দেড় কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছিলো। আর ২০১৩ সালে বার্কশায়ারের গলফ ক্লাব কেনার জন্য মিসেস হাজিয়েভার কোম্পানি থেকে এক কোটি ডলার দেয়া হয়েছিলো। সম্পদশালী বিনিয়োগকারী হিসেবেই এ দম্পতিকে বসবাসের অনুমতি দিয়েছিলো ব্রিটিশ হোম অফিস।

মূলত গত জুলাইয়ে আদালতে শুনানির সময় হাজিয়েভার অর্থ সম্পর্কে নানা তথ্য বেরিয়ে পড়ে। গত দশ বছরে তিনি শুধু হ্যারডসেই ব্যয় করেছেন দু কোটি ডলারেরও বেশি। এজন্য তাকে দৈনিক প্রায় পাঁচ হাজার ডলার ব্যয় করতে হয়েছে। এর বাইরে বিলাসবহুল গহনার দোকানে ব্যয় করেছেন এক লাখ ১০ হাজার ডলার। তার প্রায় ৩৫টি ক্রেডিট কার্ড রয়েছে, যার সবগুলোই তার স্বামীর ব্যাংক থেকে করা।

সরকারি তথ্য থেকে জানা যায় যে হাজিয়েভা প্রায় সাড়ে চার কোটি ডলার দিয়ে একটি জেট আর হ্যারডসের নিজস্ব পার্কিং থেকে দুটি পার্কিং এরিয়াও কিনে নিয়েছেন। স্বামী ও নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন হাজিয়েভা, বলেছেন তারা বড় অন্যায়ের শিকার। তিনি আদালতে বলেছেন, তার স্বামী একজন ব্যবসায়ী এবং ব্যাংকের চেয়ারম্যান হওয়ার আগেই ব্যবসা করে সম্পদশালী হয়েছেন তিনি।

যদিও ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি আদালতে জানিয়েছে হাজিয়েভ ১৯৯৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা ছিল। সূত্র: বিবিসি বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!