অত্যন্ত শক্তিশালী চুম্বক ব্যবহার করে মানবদেহের নিখুঁত ত্রিমাত্রিক মানচিত্র বের করার প্রযুক্তি হচ্ছে এমআরআই। কম্পিউটেড টোপোগ্রাফি স্ক্যান (সিটি স্ক্যান)-এর চেয়েও এমআরআই শরীরের টিস্যুর পরিপূর্ণ ছবি তোলে। এতে কোনো এক্স-রে ব্যবহার করা হয় না। শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্রের সঙ্গে রেডিও তরঙ্গ পাঠানো হলে শরীরের ভেতরকার তরল অংশের প্রোটন কণাগুলো সুবিন্যস্ত আকারে নিজেদের সাজিয়ে নেয়। পরে চৌম্বক ক্ষেত্র দূর করা হলে কণাগুলো আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায়। এই সময় একটি রেডিও সংকেত তৈরি হয়। যা সনাক্ত করার পরই কম্পিউটারে তৈরি হয় ভেতরের ছবি।
মার্কিন গবেষক ড. রেমন্ড ডামাডিয়ান, ড. ল্যারি মিনকফ ও ড. মাইকেল গোল্ডস্মিথ সাত বছর গবেষণা করে তৈরি করেছেন এ প্রযুক্তি। তারা প্রথম এমআরআই স্ক্যান করেছিলেন ১৯৭৭-এর ৩ জুলাই।
এমআরআই স্ক্যানের সময় আশেপাশে চৌম্বক জাতীয় বস্তু একেবারেই নিষিদ্ধ। টিউবের ভেতর আস্ত ট্রলিসহ টেনে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে এর চুম্বক।
শরীরের ভেতর পেসমেকার থাকলেও এমআরআই করা যায় না। এতে মুহূর্তের মধ্যে পেসমেকার নষ্ট যাবে। এমনকি আশপাশে ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড থাকলেও বিপদ। চুম্বকের কারণে কার্ডের সব তথ্য মুছে যাবে।
চিকিৎসায় ব্যবহƒত এমআরআই মেশিনের চৌম্বকশক্তি দশমিক ৫ থেকে ২ টেসলা ফিল্ড পর্যন্ত হয়।