Thursday, May 2
Shadow

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রীতির ইফতার

বছর ঘুরে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মহিমা নিয়ে আগমন ঘটে রমজান মাসের। আর এই রমজানের অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে ইফতার। কেউ ইফতার করেন পরিবারের সাথে কেউ আবার পরিবার ছেড়ে দূরে অবস্থান করায় পরিবারের সাথে ইফতার করতে পারেন না। ইফতারকে কেন্দ্র করে নানা রকম চিত্র ফুটে উঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে। তেমনি ভাবে রমজানের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ ইফতারের বৈচিত্র্যতায় ভরে উঠে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। লিখেছেন আসিফ ইকবাল সজিব

ক্যাম্পাসে বন্ধুদের সাথে ইফতার করার অনূভুতিটাই অন্যরকম। ইফতার মানে শুধু একসাথে বসে খাওয়াই নয় এর মাধ্যমে পারস্পরিক বন্ধন আরো দৃঢ় হয়। ক্যাম্পাসের সিনিয়র-জুনিয়রদের এ ইফতার কারো জন্য হয় প্রথম আবার কারো জন্য হয় শেষ। এ যেন সৃতির পাতায় এক সোনালী সময়।

নোবিপ্রবির সেন্ট্রাল ফিল্ড ইফতারকে কেন্দ্র করে মুখরিত হয়ে উঠে। ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরাও ইফতার কর্মসূচিতে অংশগ্রহনের মাধ্যমে প্রাণসঞ্চার প্রদান করে এবং ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। আসরের পর থেকেই সেন্ট্রাল ফিল্ডে আগমন ঘটতে থাকে শিক্ষার্থীদের।  বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতে আসতে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা।  গোল হয়ে, সারিবদ্ধ হয়ে বসে সবাই। ঠিক ইফতারের আগে একরকম চাঞ্চল্যতা বিরাজ করে পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে। সকলের হাতে হাতে ইফতার সামগ্রী, ইফতার আয়োজনে কেউ ব্যাস্ত, কেউ আবার পরিবেশনে ব্যাস্ত,কেউ শরবত বানাতে কেউবা ফলমুল সাজাতে। সবাই মিলে একসাথে ইফতার আয়োজন করার মধ্যেও অদৃশ্য এক উৎফুল্লতা কাজ করে। সিনিয়র -জুনিয়র, ব্যাচমেট, জেলাভিত্তিক ছাত্রকল্যাণ এসোসিয়েশন,  বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন ক্লাব ভিত্তিক ইফতার আয়োজনে পুরো পরিবেশটাই অনন্য হয়ে উঠে।

নিজের পরিবার পরিজন ছেড়ে এসে ক্যাম্পাসে রমজানের এ ইফতার প্রতিটি শিক্ষার্থীর মনে নতুন অনুভতির জন্ম দেয়। সৃতি পটে ধরা দেয় পরিবারের সাথে কাটানো ইফতারের কথা। কিন্তু মুহুর্তেই তার মোচন ঘটে মানচিত্রের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষগুলোর সাথে একসাথে ইফতারের মাধ্যমে।

সাম্প্রদায়িকতাকে দূরে ঠেলে অসাম্প্রদায়িক, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের আনয়ন ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে কাজ করে এই ইফতার কর্মসূচী।

ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ইফতার আয়োজন নিয়ে নোবিপ্রবি চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ফজলে এলাহী ফুয়াদ বলেন, প্রতিটি রমজান ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের জন্য আল্লাহর রহমত নিয়ে আসে।বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মাঝে মধুর সম্পর্কের মেলবন্ধন ঘটে।সকলে এক হয়ে গোল হয়ে বসে ইফতার করি দেশ জাতি ধর্ম বর্ণ সকলের মঙ্গল কামনায়। এ যেন এক অন্য রকম অনুভূতি।তাই প্রতি বছর রমজান ঘুরে ফিরে আসুক বারবার, একশ একের প্রতিটি মানুষ মেতে উঠুক সম্প্রতির বন্ধনে।

ক্যাম্পাসের সম্প্রতির ইফতার নিয়ে মো: হোসাইন বলেন,আমাদের মাঝে আত্নার সম্পর্ক গড়ে উঠে এই রমজান আসলে, সকলে মেতে উঠি ইফতার আয়োজনে। নিজেদের মাঝে সম্পর্কের টানাপোড়ন ভুলে এক হই আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!

error: Content is protected !!