class="post-template-default single single-post postid-12028 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে করণীয়

হৃদরোগের লক্ষণসমূহ :

০. বুকে বা বাহুতে ব্যথা হৃদরোগের অন্যতম লক্ষণ। তবে শুধু বুকে ব্যথা হলেই হৃদরোগ বলা যায় না। বাহু, চোয়ালের পিছন দিক এবং গলায় চিনচিনে ব্যথা হতে পারে।

০. অনেক সময় অনেকে বলে থাকেন বুকে জ্বালাপোড়া করার কথা। এমনটা হলে সাবধান হোন। কেননা এটিও হৃদরোগের অন্যতম লক্ষণ হতে পারে।

০. বদহজম, বমিবমি ভাব, অনিয়মিত শ্বাস-প্রশ্বাস হৃদরোগের উপসর্গ হতে পারে।

০. হৃদরোগে আক্রান্ত হলে ঘনঘন শ্বাস-প্রশ্বাস ওঠানামা করে। অনেক সময় রোগী ঘামতে থাকে। এমনটা প্রবল শীতেও হতে পারে।

০. হৃদরোগ সবসময় হঠাৎ করে হবে এমনটা নয়। অনেক সময় হৃদরোগ ধীরে ধীরে মানুষের হৃদযন্ত্রকে ব্লক করে দেয়। এ ধরনের হৃদরোগকে ‘মায়োকার্ডিয়াল ইনফারকশন’ বা হার্ট অ্যাটাক বলে। এ ক্ষেত্রে প্রবল অস্বস্তিকর অনুভ‚তি অন্যতম লক্ষণ।

 

হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে করণীয় :

০. যদি কেউ হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন তাহলে প্রথমেই জরুরি বিভাগে ডাক্তার দেখাতে হবে। কারণ অভিজ্ঞ ডাক্তার ছাড়া কোনো চিকিৎসা করতে গেলে অনেক সময় রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে পড়তে পারে।

০. হার্ট অ্যাটাকের পরপরই রোগীকে শক্ত জায়গায় হাত-পা ছড়িয়ে শুইয়ে দিন এবং গায়ের জামা-কাপড় ঢিলেঢালা করে দিন।

০. হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে বাতাস চলাচলের রাস্তাগুলো সব উম্মুক্ত করে দিন। এটি রোগীকে গভীরভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সহায়তা করবে।

০. হার্ট অ্যাটাকের পর যদি আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় তাহলে তাকে কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাস চালুর চেষ্টা করুন।

০. হার্ট অ্যাটাকের পর রোগীর যদি বমি আসে তাহলে তাকে একদিকে কাত করে দিন। যাতে সে সহজেই বমি করতে পারে। এতে ফুসফুসের মতো অঙ্গে বমি ঢুকে পড়া থেকে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত ব্যক্তি রক্ষা পাবেন।

০. হার্ট অ্যাটাকের পর হৃৎপিণ্ডে রক্তের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য বাজারে প্রচলিত ৩০০ মি.গ্রা. ডিসপ্রিন (অ্যাসপিরিন), ৩০০ মি.গ্রা. ক্লোপিডোগ্রেল (Clopidogrel), ৪০ মি.গ্রা. অ্যার্টভাস্টাটিন (Atova) এবং ৪০ মি.গ্রা. ওমিপ্রাজল খাইয়ে দ্রুত হৃদরোগ হাসপাতালে পৌঁছে দিন। সেখানে কার্ডিওলজিস্ট দ্রুত পরীক্ষা করে প্রয়োজনে জরুরি অ্যান্জিওপ্লাস্টি (urgent PTCA ) সহ অন্যান্য জীবনরক্ষাকারী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

 

প্রতিকার : হৃদরোগ থেকে বাঁচতে হলে  এর প্রতিকার সম্পর্কে জানা জরুরি, এবার জেনে নিন, কী করে হৃদরোগের প্রতিকার করা সম্ভব বা তা থেকে বাঁচার উপায়।

০. হৃদরোগের শত্রু হচ্ছে ধূমপান। তাই ধূমপান থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন।

০. ধূমপানের মতো মাদকও হৃদরোগের আরেকটি কারণ, তাই মাদককে না বলুন।

০. অযথা দুশ্চিন্তা করবেন না। নিজেকে চিন্তামুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। ভালো থাকবেন।

০. মাঝে মাঝে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। শরীরের রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করুন।

০. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। নিয়মিত হাঁটা-চলা ও ব্যায়াম করে নিজেকে সুস্থ রাখুন।

০. প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি খান।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!