ভারতের উত্তর প্রদেশের (ইউপি) সম্বল এলাকায় সন্ত্রাসীদের তাড়া করছিল পুলিশ। সন্ত্রাসীরা প্রাণপণে পালাচ্ছে। এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তদের কাবু করার জন্য পুলিশদল গুলি শুরু করে। গুলি শুরু হলো। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন থানার দারোগাও। কিন্তু দেখা গেল তার হাতের পিস্তলটি জ্যাম হয়ে গেছে। গুলি ছুটছে না। তখন তিনি এক অদ্ভুত কাণ্ড করলেন- মুখ দিয় ঠা ঠা আওয়াজ শুরু করলেন।
এই ঘটনা নিয়ে ইউপি পুলিশ ব্যাপক ঠাট্টা মশকরার শিকার হচ্ছে এখন সামাজিক মাধ্যমে। কারণ ওই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে পড়ায় ইউপি পুলিশকে নিয়ে ব্যাপক ঠাট্টা মশকরার সমান্তরালে সামভাল জেলা এসপি বলেছেন, এ বিষয়ে পুলিশ কর্মীদের প্রশিক্ষিত করা হবে।
ভারতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা যায়, শনিবার গভীর রাতে একদল দুর্বৃত্তকে পুলিশ ঘিরে ফেলেছিল। এ সময় তাদের কাবু করার জন্য গুলি ছোড়ে পুলিশ। সন্ত্রাসীরা গুলি করেনি। কিন্তু দারোগা সাহেব নিজেদের ফায়ারিংয়ে ঘাবড়ে গিয়ে পিস্তল বের করে গুলি করতে যান। কিন্তু যখন দেখলেন তার পিস্তল থেকে গুলি ছুটছে না তখন তিনি অপ্রত্যাশিতভাবে মুখ দিয়ে গুলির শব্দ শুরু করেন “ঠা ঠা ঠা”!
তবে পাশে থাকা অপর পুলিশ সদস্য নিজের পিস্তল থেকে এক সন্ত্রাসীর পায়ে গুলি করে। পরে আহত অবস্থায় তাকে পাকড়াও করে যার জন্য ২৫ হাজার রুপি পুরস্কা ঘোষণা করা ছিল।
এই ঘটনার ভিডিও রবিবার সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনা ভিডিও কীভাবে হলো? এর জবাব হচ্ছে পুলিশ ওই অভিযানে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে কয়েকজন সাংবাদিককে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল। সে সূত্রে ঘটনার ভিডিও করা হচ্ছিল।
তো এই ভিডিও নিয়ে যখন সামাজিক মাধ্যমে ট্রোলের পর ট্রোলের শিকার হচ্ছে সাম্বাল পুলিশ তখন সেখানকার এসপি পক্ষ নিয়েছেন তার দারোগার।
তিনি বলেন, খবর পেয়েছি সন্ত্রাসীদের ধরতে ওই অভিযানে এক দারোগার পিস্তল জ্যাম হয়ে যায়। তো পুলিশ দল তখন সন্ত্রাসীদের ধরার জন্য “ধর ধর, থামা থামা” চিৎকার দেয়। এসময় এর সঙ্গে (মুখ দিয় করা) ‘ঠা ঠা’ আওয়াজও শোনা যায়।
তিনি জানান, তবে এই বিষয়টাতে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এখন থেকে পুলিশ সদস্যদের ট্রেনিংয়ে এটাও শেখানো হবে- হঠাৎ পিস্তল জ্যাম হয়ে গেলে দ্রুত কীভাবে তাকে ফের কর্ম উপযোগী করা যায়।