শুরুতে ধরেই নেওয়া হয়েছিল ‘হাউসফুল ফোর’ ছবির প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা এক মহান নারীবাদী। যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বাদ দিয়েছেন ছবির পরিচালক ও অভিনেতাকে। হাউসফুল ফোর থেকে সরে গেছেন পরিচালক সাজিদ খান ও অভিনেতা নানা পাটেকার। সম্প্রতি প্রকাশিত হলো আরেক খবর। ওই দুজনকে প্রত্যাহারের আদেশ এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।
প্রকৃত অর্থে প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা নয়, যৌন হয়রানির অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়েছিল লস অ্যাঞ্জেলেসের ফক্স স্টার স্টুডিও। এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে হাউসফুল ফোর ছবিটি নির্মিত হচ্ছে। তাদের হস্তক্ষেপেই পরিচালক সাজিদ খান ও অভিনেতা নানা পাটেকারকে বাদ দিয়েছেন প্রযোজক। হাউসফুল ফোর ছবির এক সূত্র সম্প্রতি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। ফক্সের নির্দেশ পেয়ে বিন্দুমাত্র দেরি করেননি নাদিয়াদওয়ালা। তিনি চাননি এই ইস্যুতে ফক্সের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক খারাপ হোক।
অন্তত তিনজন নারী অভিযোগ তুলেছেন সাজিদ খানের বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অভিনেত্রী সালুনি চোপড়া, র্যাচেল হোয়াইট ও সাংবাদিক কারিশমা উপাধ্যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁরা জানিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে সাজিদ খানের উৎপীড়নমূলক আচরণের ঘটনা। তাঁদের দাবি, প্রত্যেকের কাছেই নোংরা আবদার করেছেন সাজিদ খান, দিয়েছেন কুপ্রস্তাব। এঁদের মধ্যে সাংবাদিক কারিশমার করা অভিযোগটি ভয়াবহ। আর সালুনিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যা বলবে তা না করলে ছবিতেই নেবেন না সাজিদ।
পরিচালক সাজিদ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর হাউসফুল ফোর ছবির শুটিং বন্ধ করে দেন ছবির নায়ক অক্ষয় কুমার। প্রযোজককে তিনিই প্রথম বলেছিলেন, ঘটনা প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত ছবির শুটিং বন্ধ রাখতে হবে। অক্ষয়ের এই দাবির সঙ্গে সঙ্গে পরিচালক সাজিদ খান নিজেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সরে এসেছেন নিজের পদ থেকে। অভিনেত্রী সালুনি চোপড়া, র্যাচেল হোয়াইট ও সাংবাদিক কারিশমা উপাধ্যায় তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, হলিউডের ‘#মি টু’ আন্দোলনে উমা থরম্যান, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি এবং অ্যাশলে জডের মতো নামী তারকারা প্রশ্ন তুলেছিলেন মার্কিন প্রযোজক হার্ভে ওয়ানস্টিনের বিরুদ্ধে। বলিউডের ‘ওয়াইনস্টিন’-এর বিরুদ্ধে কিন্তু তেমন কাউকে কথা বলতে শোনা যাচ্ছে না।