Friday, May 10
Shadow

পর্নো ছবিতে অভিনয় ছাড়লেন মিয়া খলিফা

মিয়া-খলিফামিয়া খলিফা। এক নামেই তাকে চেনেন বিশ্বের বহু মানুষ। তার জন্ম লেবাননের এক খ্রিস্টান পরিবারে। ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এমন একটি পেশা বেছে নিয়েছিলেন তিনি। হয়ে উঠেছিলেন পর্নো তারকা। এক সময় তিনিই ছিলেন একটি পর্নো বিষয়ক ওয়েবসাইটের শীর্ষ তারকা। কিন্তু পর্নো তারকার পেশা ছেড়ে দিয়েছেন মিয়া খলিফা। কেন? এর কারণ সম্পর্কে তিনি নিজেই মুখ খুলেছেন।

বলেছেন, জঙ্গি গোষ্ঠী আইসিস তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। এর ফলে নিজেকে তিনি দেখতে পেয়েছেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে। প্রচণ্ড ঝুঁকিতে। তাই ছেড়ে দিয়েছেন পর্নো দুনিয়া। এখন স্পোর্টস প্রেজেন্টার হিসেবে কাজ করছেন। এ সব নিয়ে লন্ডনের অনলাইন ডেইলি মেইলের সাংবাদিক ল্যান্স আর্মস্ট্রংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন মিয়া খলিফা। তার জন্ম মধ্যপ্রাচ্যের লেবাননের রাজধানী বৈরুতে। মাত্র ১০ বছর বয়সে তিনি পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। আস্তে আস্তে পা রাখেন পর্নো দুনিয়ায়। এ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে তোলপাড় শুরু হয়। উত্তেজনায় ফুটতে থাকে চারপাশ। তার সমালোচনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, মিডিয়ায় ঝড় ওঠে। কিন্তু পিছু ফিরে তাকাননি মিয়া খলিফা। তিনি পর্নো শিল্পে হয়ে ওঠেন বিশ্বের প্রথম সারির মুখ। এক নামেই সবাই চিনে নেয় তাকে। এমন অবস্থায় গত বছর প্রাণহানির হুমকি পান তিনি আইসিসের পক্ষ থেকে। এরপরই তিনি পর্নো জগত ছেড়ে দেন। পর্নো জগত ছেড়ে দেয়ার সময় তিনি প্রকাশ করেননি যে, কি কারণে এ জগত ছাড়ছেন। তবে এখন মুখ খুলেছেন। বলেছেন, ওই যে আইসিসের হত্যার হুমকি। ওই কারণেই পর্নো ছবিতে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছেন। মিয়া খলিফা বলেছেন, যখন আইসিসের পক্ষ থেকে প্রাণনাশের হুমকি আসা শুরু হলো, তখন সব কিছু কেমন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে থাকলো। এ সময়ই আমি এ জগত থেকে সরে আসা শুরু করি। তিনি বলেন, যখনই আমি জনপ্রিয়তা অর্জন করা শুরু করি, তখনই এই ঘটনা ঘটতে থাকে। আসলে আমি এভাবে এ জগত ছাড়তে চাইনি। আমি চেয়েছিলাম ওই হুমকির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কথা বলি। কিন্তু পারিনি। উল্লেখ্য, মিয়া খলিফা যেসব পর্নো ছবিতে অভিনয় করেছেন তাতে তাকে দেখা যায় হিজাব পরিহিত অবস্থায়। এই হিজাবকে সারা বিশ্বের মুসলিম নারীরা তাদের সম্মান হিসেবে দেখে থাকেন। আর সেই পোশাক পরা অবস্থায় পর্নো ছবিতে অভিনয় করেন মিয়া খলিফা। এ কারণেই মধ্যপ্রাচ্য উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তিনি ২০১৫ সালে ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছিলেন, হিজাব পরে পর্নো ছবিতে অভিনয় করা নিয়ে যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে তাতে তিনি বিস্মিত। আসলে তিনি স্যাটায়ার করার জন্য ওই পোশাক পরে অভিনয় করেছেন। তিনি তখন আরো বলেছিলেন, হলিউডে অনেক ছবি আছে, যেসব ছবিতে আরো খারাপ খারাপ দৃশ্য দেখানো হয়। মুসলিমদের অবমাননা করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!

error: Content is protected !!