class="post-template-default single single-post postid-21330 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

প্রতিপক্ষ চাইছে, আমি যেন থেমে যাই: মৌসুমী

মৌসুমীবাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে নেতৃত্বকে কেন্দ্র করে গুণী শিল্পীদের মানহানির ঘটনাও ঘটছে সেখানে। সোমবার সন্ধ্যায় সে রকম একটি ঘটনা ঘটেছে সমিতির সভাপতি প্রার্থী চিত্রনায়িকা মৌসুমীর সঙ্গে। এতে চলচ্চিত্রের নায়ক-নায়িকা ও পরিচালকেরা বিস্মিত। নির্বাচন ও একে ঘিরে ঘটনাগুলো নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার কথা বলেন মৌসুমী ।

সোমবারের ঘটনায় মনে হচ্ছে চলচ্চিত্রের লোকেরা অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছেন। এই অবস্থায় কীভাবে নির্বাচন করবেন?

মৌসুমী : তারকা শিল্পীদের সবাই নির্বাচন করবেন। সে রকম কথা চূড়ান্ত হলো, প্যানেল হলো। হঠাৎ এক রাতে পুরো প্যানেল গায়েব। বড় শিল্পীদের কাউকে পাশে পেলাম না। কেউ জানতে চায়নি, কী ঘটেছে। তারপরও অনেকে পাশে ছিল। সিদ্ধান্ত নিলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হব। এখন প্রতিপক্ষ চাইছে, আমি যেন থেমে যাই। সোমবারের ঘটনার পর সত্যিই আমি খুব আপসেট হয়েছি।

ঘটনার সময় এফডিসিতে আপনার পাশে মিশা সওদাগর ছিলেন?
ছিলেন। তিনি চুপ ছিলেন। পরে কাঞ্চন ভাই (ইলিয়াস কাঞ্চন) এসে বিষয়টি সমাধান করেন। আমার কথা হচ্ছে, মিশাসহ আরও অনেকে থাকা অবস্থায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় কীভাবে!

মৌসুমী : চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নয়। এটা সব শিল্পীর সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়ানোর প্ল্যাটফর্ম। শিল্পীদের মধ্যে যে অসহিষ্ণু পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তা দূর করাটাই চ্যালেঞ্জ। পরিবেশ সুন্দর হলে বিনিয়োগকারীরাও আগ্রহী হবে।

চলচ্চিত্রের অভিভাবকেরা প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘সিনেমার খবর নেই, সমিতি নিয়ে মাতামাতি’। শিল্পী সমিতিতে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক কে—এ নিয়ে সাধারণ মানুষের ভাবনা নেই। তারপরও লড়ার দরকার আছে?
মৌসুমী : তাঁদের সঙ্গে আমি পুরোপুরি একমত। সমিতি নিয়ে সত্যি এত মাতামাতির কিছু নেই। সিনেমার কাজের চেয়ে শিল্পীর কাছে সমিতি বড় নয়। সিনেমা নেই, শিল্পী-কলাকুশলীরা বেকার। অথচ লাখ লাখ টাকা খরচ করে পিকনিক করছি। এত লোকদেখানো খরচ করার কী আছে? আমার উদ্দেশ্য শিল্পীদের স্বার্থ সংরক্ষণ। যে আত্মিক সম্পর্ক ছিল, তা ফিরিয়ে আনা। ব্যস্ত শিল্পীদের কাজের সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করা। তাই লড়ছি।

নেতা হওয়ার জন্য নাকি লাখ লাখ টাকাও খরচ হচ্ছে?
মৌসুমী : এটা তো সবাই জানেন। ওই চেয়ারে কী এমন আছে যে এত টাকা খরচ করতে হবে? সমিতির ফান্ডের টাকায় শিল্পীদের জন্মদিন পালন করা হয়, আর একজন অসহায় শিল্পী সহযোগিতা চাইলে পাঁচ হাজার টাকা হাতে দিয়ে ফেসবুকে ছবি আপলোড করা হয়, সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এটা তো শিল্পীকে ছোট করা। সত্যিকারের শিল্পী কখনোই আরেকজন শিল্পীকে এভাবে অসম্মান করতে পারে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!