আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে লিখেছেন জামাল হোসেন। আম একটি জনপ্রিয় ফল। এই অসাধারণ ফলটির পুষ্টিগুণ নিয়ে আজকের আয়োজন।
আম ক্যান্সের প্রতিরোধক
গবেষণায় দেখা গেছে যে আমে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা শরীরকে কোলন, স্তন, লিউকেমিয়া এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে। এই যৌগের পাশাপাশি আমে আরও অনেক ধরনের এসিড রয়েছে যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
আমে আছে সর্বনিম্ন কোলেস্টেরল
আমে উচ্চমাত্রার ফাইবার, প্রোটিন ও ভিটামিন সি আছে। যা আমাদের শরীরের কোলেস্টেরল এবং লিপোপ্রোটিনের ঘনত্ব কমাতে সাহায্য করে।
আম চামড়া পরিষ্কার করে
আম শরীরের ভেতরে এবং বাইরের দুই জায়গায় কাজ করে। এটি চামড়া পরিষ্কার করে এবং ব্রণ দূর করে।
চোখের সুস্থতায় আম
এক কাপ পরিমাণ আম আপনাকে দেবে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এ-এর ২৫ ভাগ। যা আপনার দৃষ্টিশক্তির জন্য ভালো এবং রাতকানা ও চোখের পানিশূন্যতা থেকে বাঁচাবে।
পুরো শরীরের ক্ষারক
আমের মধ্যে টারটারিক এসিড, ম্যালিক এসিড ও সাইট্রিক এসিড থাকে যা আমাদের শরীরের ক্ষার সংরক্ষণ করে রাখতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আম
আম পাতা রক্তের ইনসুলিনের মাত্রা স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আমের পাতা সিদ্ধ করে পুরো রাত রেখে সকালে ছেঁকে পান করতে হবে। আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৪১-৬০। যা শরীরে চিনির মাত্রা বৃদ্ধি হতে বাধা দেয়।
হজম শক্তি বাড়ায় আম
পেঁপের মতো আমেও আছে প্রোটিন ভাঙার জন্য এনজাইম। তাই আমের ফাইবার হজমে সাহায্য করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
শরীরের গরম প্রতিরোধ করে
আমের জুস বা পানি ও চিনি মিশিয়ে শরবত পান করলে গরমে শরীরে প্রশান্তি থাকে। শরীরকে অতিরিক্ত গরমের ক্ষতি থেকেও রক্ষা করে আম।
এছাড়া আমে প্রচুর ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ থাকে। আছে ২৫টি বিভিন্ন ধরনের ক্যারোটিওয়াইন, যা আপনার রোগ প্রতিরোধ সিস্টেমকে সুস্থ ও শক্তিশালী রাখে।