class="post-template-default single single-post postid-10905 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

গর্ভাবস্থায় মায়ের ব্যায়াম

গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করাই যাবে না—এমন কোনো কথা নেই। বরং এই সময়ে যত বেশি কর্মক্ষম থাকা যায়, ততই ভালো। জেনে নিন গর্ভকালীন ব্যায়াম কেন ভালো?
হালকা ব্যায়াম
– মা ও শিশুর মধ্যে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়
– কোমর, পা ইত্যাদি ব্যথার উপশমে সাহায্য করে, সন্ধি, লিগামেন্ট, পেশিকে শিথিল করে।
– কাজে উদ্যম আনে, ফিটনেস বাড়ায়
– অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি থেকে বাঁচায়
– পরিপূর্ণ ও গভীর ঘুমে সাহায্য করে
– কোষ্ঠকাঠিন্য, অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি দূর করে
– পায়ের রক্তনালি ফুলে ওঠা দূর করে
– স্বাভাবিক প্রসবে সাহায্য করে।
ব্যায়াম শুরুর আগে জেনে নিন
ব্যায়াম শুরুর আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার গর্ভাবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ নয়। নানা কারণে চিকিৎসক আপনাকে পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলতে পারেন, সে সময় ব্যায়াম করা যাবে না।
-আপনি যদি আগে থেকেই কিছু হাঁটাহাঁটি বা হালকা ব্যায়ামে অভ্যস্ত থাকেন, তবে তা চালিয়ে নিতে পারেন। তবে পেটের ওপর চাপ পড়ে এমন কোনো ব্যায়াম করা যাবে না। একজন অভিজ্ঞ ব্যায়াম প্রশিক্ষক, যিনি গর্ভকালীন ব্যায়াম সম্পর্কে জানেন—এমন কারও কাছে পরামর্শ নিতে পারেন।
-ব্যায়ামের সময় হালকা ও ঢিলেঢালা আরামদায়ক সুতির পোশাক পরুন। পায়ের জুতা নরম ও মাপমতো হওয়া চাই।
-প্রথমে খানিকটা হালকা ধরনের ব্যায়াম দিয়ে শুরু করুন। হাঁপিয়ে ওঠার মতো বা কষ্টকর ব্যায়াম দরকার নেই। প্রয়োজনে গতি কমান। অস্বস্তি, খারাপ লাগা থাকলে ব্যায়াম বন্ধ করুন।
-ব্যায়ামের দুই ঘণ্টা আগে দুই গ্লাস পানি পান করবেন, ১৫ মিনিট পরও দুই গ্লাস।
-ধীরে অবস্থান পরিবর্তন করুন, যেন ভারসাম্য না হারায়। শেষে হালকা হাঁটাহাঁটি করুন, তারপর কিছুটা বিশ্রাম নিন।
ব্যায়াম নিষেধ
উচ্চ রক্তচাপ, রক্তশূন্যতা, হূৎপিণ্ড ও ফুসফুসের রোগ, গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ, ফুল নিচের দিকে থাকা বা প্লাসেন্টা প্রিভিয়া থাকলে ব্যায়াম নিষেধ। আগে গর্ভপাত হওয়ার ইতিহাস থাকলেও ঝুঁকি নেবেন না। ডাইভিং, জিমন্যাস্টিক, হকি, কারাতে, সাইক্লিং, নেট বল প্র্যাকটিস বা পাহাড়ে ওঠা জাতীয় পরিশ্রম গর্ভাবস্থায় করা যাবে না।
নিরাপদ ব্যায়াম
১ সম্পূর্ণ গর্ভকালীন সময়েই হাঁটাহাঁটি করা যায়। দিনে আধা ঘণ্টা হাঁটাই যথেষ্ট।
২ দিনে ১৫ মিনিট জগিংও করতে পারেন, তবে বেশি হয়রান লাগলে ধীরে হাঁটুন।
৩ গর্ভাবস্থায় সাঁতার খুবই নিরাপদ ও ভালো ব্যায়াম এবং এতে দেহের বিভিন্ন অস্থিসন্ধি, লিগামেন্ট ইত্যাদির ব্যথা কমে।
৪ গর্ভাবস্থার জন্য বিশেষভাবে উপযোগী কিছু যোগব্যায়াম বা আসন আছে, যা প্রশিক্ষকের কাছে শিখে নিতে পারেন।

ডা. উম্মে রুমান
 স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!