ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরামর্শ । বর্তমান সময়ে বেশি প্রচলিত রোগব্যাধির মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। ২০২১ সালের এক জরিপ অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫৩৭ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক (২০-৭৯ বছর) ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরামর্শ রইল এবার
আমাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়াকলাপে বিভিন্ন হরমোনের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব থাকে। যার মধ্যে ইনসুলিন একটি। ইনসুলিন আমাদের শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। কিন্তু অনেক সময় এই বিশেষ হরমোন টি পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি হয়না কিংবা এর কার্যকলাপে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে তখন যে রোগের দেখা মেলে তা হচ্ছে ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ। সাধারণত বংশগত কারনে এ রোগ বেশি হয়ে থাকে। সাধারণত অসুস্থতা থেকে মারাত্মক অসুস্থতা এমন কি মৃত্যুর কারন ও হতে পারে ডায়াবেটিস।
ডায়াবেটিস রোগটি একেবারে নির্মূল করার মতো কোনো চিকিৎসা নেই। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরামর্শ হিসেবে বলা হয় নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন।লাইফস্টাইল পরিবর্তন, ডায়েট মেইনটেইন, এক্সারসাইজ এসবের মাধ্যমে ডায়বেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন বিষয়ক কিছু পরামর্শ।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরামর্শ – খাদ্যাভ্যাস
ডায়াবেটিস রোগিদের জন্য পরামর্শ হচ্ছে এমন খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা যা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রনে রাখার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পুষ্টি ও সরবরাহ করবে। সাধারণত ডায়াবেটিস রোগিদের নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার মধ্যে থাকতে হয় তাই খাদ্যাভ্যাস পরিকল্পনায় এই বিষয়টি ও মাথায় রাখতে হবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কি খেতে হবে এর পাশাপাশি কখন খেতে হবে এবং কি পরিমাণ খেতে হবে এই বিষয় গুলো ও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এসব মিলিয়েই একটি নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস গড়ে ওঠে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরামর্শ : ডায়াবেটিস রোগীরা যা যা খেতে পারবেন
ডায়াবেটিস হলেই নিজের প্রিয় খাবার গুলো পুরোপুরি বর্জন করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। সবই খাওয়া যেতে পারে তবে পরিমাণ মতো।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সেরা খাবার
১. সামুদ্রিক খাবার : মাছ এবং শেলফিশ সহ অন্যান্য সামুদ্রিক খাবার প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি বৃহৎ উৎস যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে থাকে। প্রোটিন ধীর হজম করতে সাহায্য করে এবং খাবারের পরে রক্তে শর্করার বৃদ্ধি রোধ করে, সেইসাথে পূর্ণতার অনুভূতি বাড়ায় যা অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করতে এবং শরীরের অতিরিক্ত চর্বি হ্রাসকে উন্নীত করতে সাহায্য করে।
২. ব্রকলি এবং ব্রকলি স্প্রাউট : ব্রকলির একটি বিশেষ উপাদান হচ্ছে সালফোরাফেন যা হল এক ধরনের আইসোথিওসায়ানেট যা রক্তে শর্করা কমাতে সাহায্য করে। টেস্ট-টিউব, প্রাণী এবং মানব গবেষণায় দেখা গেছে যে সালফোরাফেন সমৃদ্ধ ব্রোকলির নির্যাসের একটি শক্তিশালী অ্যান্টিডায়াবেটিক প্রভাব রয়েছে, যা ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং রক্তে শর্করা এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।
৩. কুমড়া এবং কুমড়ার বীজ : মেক্সিকো এবং ইরানের মতো অনেক দেশে প্রথাগত ডায়াবেটিক প্রতিকার হিসাবে কুমড়া ব্যবহার করা হয়
( তথ্যসূত্র : https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC6046431/) কুমড়াতে পলিস্যাকারাইড নামক কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে, যা তাদের রক্ত-শর্করা-নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও কুমড়োর বীজ স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং প্রোটিন দ্বারা প্যাক করা হয়, যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী।
৪. বাদাম : বাদামে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় উপকারী চর্বি। এছাড়াও রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন ই, ফোলেট,থায়ামিন,খনিজ, যেমন ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম, ক্যারোটিনয়েড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,ফাইটোস্টেরল ইত্যাদি। তবে সব ধরনের বাদাম কিন্তু ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী নয়। বিশেষ করে লবণযুক্ত বাদাম এড়ানো গুরুত্বপূর্ণ কারণ লবণ ঝুঁকি বাড়াতে পারে।চিনাবাদাম, কাজু, আখরোট এধরনের বাদাম গুলো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেকটা উপকারী।
৫. ঢেড়স : আমেরিকান ডায়াবিটিস অ্যাসোসিয়েশন’ এর মতে ঢেড়স এমন একটি সবজি যা দূরে রাখে ডায়াবেটিস। ঢেড়সে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন বি ও ফলেট। এর প্রতিটি উপাদানই ডায়াবেটিস নিরাময়ে কার্যকরী। এছাড়াও এর গ্লাইসেমিক সূচক কম যা রক্তে শর্করার পরিমান নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৬. মটরশুটি এবং মসুর ডাল : মটরশুটিকে ডায়াবেটিসের সুপার ফুড বলা হয়ে থাকে। অন্যান্য অনেক স্টার্চি খাবারের তুলনায় মটরশুটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে বেশি কার্যকরী। মটরশুটি একটি জটিল কার্বোহাইড্রেট।আমাদের শরীর অন্যান্য কার্বোহাইড্রেটের তুলনায় এই ফর্মটি ধীরে ধীরে হজম করে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা দীর্ঘ সময়ের জন্য স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।
৭. আপেল : ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) এর তথ্য অনুসারে, একটি মাঝারি আকারের আপেলে প্রায় ২৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট রয়েছে এবং এর মধ্যে প্রায় ১৯ গ্রাম চিনি। আপেলের বেশিরভাগ চিনি প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া ফ্রুক্টোজের আকারে থাকে। ফ্রুক্টোজ চকলেট এবং বিস্কুটের মতো প্যাকেটজাত খাবারে পাওয়া পরিশোধিত এবং প্রক্রিয়াজাত শর্করা থেকে আলাদা। ২০১৮ সালে আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন ট্রাস্টেড সোর্স-এ পোস্ট করা একটি পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে ফ্রুক্টোজ দিয়ে গ্লুকোজ বা সুক্রোজ প্রতিস্থাপন করার ফলে খাবারের পরে রক্তের প্রবাহে চিনি এবং ইনসুলিন কম হয়।
৮. গাজর : অনেকেই মনে করে থাকেন যে গাজর রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করে থাকে। যা একটি ভুল ধারনা। একটি গবেষণায় দেখা গেছে ক্যারোটিন নামক একটি উপাদান টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেক কমিয়ে দেয়। গাজর হল এই ক্যারোটিনের একটি সমৃদ্ধ উৎস। প্রতি ১০০ গ্রাম গাজরে ৮২৮৫ মাইক্রোগ্রাম বিটা ক্যারোটিন এবং ৩৪৭৭ মাইক্রোগ্রাম আলফা ক্যারোটিন থাকে। এছাড়াও গাজরে প্রচুর ভিটামিন এ থাকে যা টাইপ ১ ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী।
৯. টমেটো : টমেটোর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স স্কোর কম থাকে। কম গ্লাইসেমিক স্কোরযুক্ত খাবারগুলো তাদের চিনি ধীরে ধীরে রক্ত প্রবাহে ছেড়ে দেয় এতে করে রক্তে শর্করার বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম। টমেটো প্রচুর ফাইবার সরবরাহ করে এ ছাড়াও নিয়মিত টমেটো খাওয়া টাইপ 2 ডায়াবেটিসের সাথে যুক্ত কার্ডিওভাসকুলার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরামর্শ হিসেবে টমেটো খেতে বলা হয় বেশি করে।
১০. রসুন : রসুনে ৪০০ টিরও বেশি রাসায়নিক উপাদান রয়েছে, যার মধ্যে অনেকগুলি বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে। রসুন একটি অ্যালিসি, অ্যালিল প্রোপিল ডিসালফাইড এবং এস-অ্যালিল সিস্টাইন সালফক্সাইড সহ যৌগ যা রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ায়। লিভারের ইনসুলিনের নিষ্ক্রিয়তা প্রতিরোধ করে, যাতে শরীরে আরও ইনসুলিন পাওয়া যায়। যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরামর্শ : যেসব খাবার কম খেতে হবে
খাদ্যতালিকাগত পরিবর্তনের সাথে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের একটি উপায় হল উচ্চ এবং নিম্ন গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বা জিআই খাবারের ভারসাম্য বজায় রাখা। উচ্চ জিআই খাবার কম জিআই খাবারের চেয়ে রক্তে শর্করাকে বাড়িয়ে দেয়। জিআই স্কেলে উচ্চতর খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে:
#সাদা রুটি
#পাফ করা চাল
#সাদা ভাত
#সাদা পাস্তা
#সাদা আলু
#ভুট্টার খই
#তরমুজ
#আনারস
একজন ডায়বেটিস রোগীর যতটা সম্ভব এই খাবার গুলো কম গ্রহণ করা উচিৎ। এছাড়াও বিশেষ কিছু খাদ্য গ্রহন সীমিত করে দিতে হবে।
চিনি এবং স্টার্চ : কার্বোহাইড্রেট শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এই ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টটি একজন ব্যক্তির রক্তে শর্করা বা রক্তের গ্লুকোজেও সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। কিছু ধরনের কার্বোহাইড্রেট যেমন রক্তের সুগ্যার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে আবার কিছু কার্বোহাইট্রেট এর মাত্রা অনেক বাড়িয়ে দিতে পারে। খাবারে তিনটি প্রধান ধরণের কার্বোহাইড্রেট রয়েছে: স্টার্চ, চিনি এবং ফাইবার। স্টার্চ এবং চিনি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা তৈরি করে কারণ শরীর এগুলিকে ভেঙে গ্লুকোজে রুপান্তরিত করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরামর্শ হিসেবে এসব কম খেতে বলা হয়।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরামর্শ : যেসব খাবারে প্রায়শই চিনি বেশি থাকে সেগুলির মধ্যে রয়েছে –
- বেকড পণ্য যেমন ডোনাটস, ক্রসেন্টস, কেক এবং কুকিজ।
- অনেক সস এবং মশলা
- বিভিন্ন মিষ্টি
- মিল্ক চকলেট
- ম্যাপেল সিরাপ এবং অন্যান্য সিরাপ
- ক্যান্ডি বার
- বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাদ্য।
স্টার্চি শাকসবজি :
- বিট
- ভুট্টা
- মটর
- মিষ্টি আলু
- সাদা আলু
বিশেষ কিছু ফল :
- সিরাপে টিনজাত ফল
- শুকনো ফল
- প্যাকেটজাত ফলের জ্যুস।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরামর্শ : বিশেষ কিছু প্রোটিন :
- বেকন
- গরুর মাংস
- ভাজা মাংস
- উচ্চ চর্বিযুক্ত মাংস
- হট ডগ
- পেপারোনি
- সব ধরনের প্রক্রিয়াজাত মাংস
- প্রোটিন শেক
- সসেজ
- কাটা শুয়োরের মাংসের চপ (শুয়োরের মাংসের চর্বিহীন কাটা হলে সমস্যা নেই)।
কিছু দুগ্ধজাত পণ্য :
- চকোলেট, স্ট্রবেরি বা অন্যান্য স্বাদযুক্ত দুধ
- সম্পূর্ণ চর্বিযুক্ত চিজ
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরামর্শ : হিমায়িত খাদ্য :
- ডোনাটস
- কফি ক্রিমার
- প্যাকেটজাত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার
- কেক
- পায়েস
- পেস্ট্রি
- মার্জারিন
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরামর্শ : পানীয় :
- ডায়েট সোডা ছাড়া সব সোডা
- সমস্ত মিষ্টি পানীয় সহ চিনিযুক্ত কফি, ক্যাপুচিনো, ফ্র্যাপুচিনো ইত্যাদি।
- ফলের রস
- লেমনেড
- চা ইত্যাদি।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরামর্শ – ডায়াবেটিসের জন্য ব্যায়াম
ব্যায়াম প্রায় প্রত্যেকের জন্য ভালো। তবে ডায়াবেটিস থাকলে এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকদের মতেও ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত এক্সারসাইজের বিকল্প নেই।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরামর্শ হিসেবে নিয়মিত শরীরচর্চার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এটি শরীরের জন্য সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করে থাকে যেমন রক্তে শর্করা এবং রক্তচাপ কমানো, শক্তি বৃদ্ধি করা এবং ভালো ঘুমাতে সহায়তা করা ইত্যাদি।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরামর্শ : ব্যায়াম যেভাবে রক্তের সুগ্যার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে
ব্যায়াম করলে হৃদস্পন্দন কিছুটা দ্রুত হয় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস একটু ঘন ঘন হয়। এতে পেশীগুলি আরও গ্লুকোজ ব্যবহার করে যা রক্তের মাধ্যমে সরবাহিত হয়ে থাকে। সময়ের সাথে সাথে, এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে। এছাড়াও নিয়মিত ব্যায়াম ইনসুলিনের কার্যক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়।
তবে নিরাপদে ব্যায়াম করাটা জরুরি। ডায়াবেটিস রোগীদের নিরাপদে ব্যায়াম করতে ব্যায়ামের আগে এবং পরে রক্তে শর্করার মাত্রা ট্র্যাক করতে হবে। এতে করে আপনার শরীর ব্যায়ামের প্রতি কিরকম সাড়া দেয় তা বুঝা যাবে এবং রক্তে শর্করার সম্ভাব্য বিপজ্জনক ওঠানামা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরামর্শ
ডায়বেটিস রোগীরা যেসকল ব্যায়াম করতে পারেন –
- হাঁটা
- সাইকেল চালানো
- সাঁতার কাটা
- ইয়োগা বা তাই চি
- টেনিস খেলা ইত্যাদি।
এই সকল ধরনের ব্যায়াম ই রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে। অন্য কিছু সম্ভব না হলেও নিয়মিত পর্যাপ্ত সময় হাঁটা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখতে হবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরামর্শ হলো একমাত্র নিয়ন্ত্রণই দীর্ঘদিন সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার উপায়।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরামর্শ : আরও কিছু
- অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলতে হবে।
- প্রতিদিন অন্তত দুইবার রক্তে সুগ্যারের পরিমান চেক করতে হবে।
- প্রতিদিন কি পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট গ্রহন করছেন এর হিসাব রাখা শুরু করুন।
- পর্যাপ্ত ঘুম খুবই প্রয়োজনীয়।
- প্রতি ৬ মাস পর পর সম্ভব হলে চোখ পরীক্ষা করুন এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
- স্ট্রেস ফ্রি থাকার চেষ্টা করুন সবসময়।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরামর্শ গুলো বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের লেখা ও খ্যাতনামা ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া। সংকলন করেছেন সায়মা তাসনিম।