class="post-template-default single single-post postid-16184 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

নিপা ভাইরাসে হতে পারে মানসিক সমস্যা!

নিপা ভাইরাসে

নিপা ভাইরাসে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। সাধারণত যেসব বাদুড় ফল খায়, তাদের থেকেই পশুপাখি ও মানুষের মধ্যে ছড়ায় এটি। ১৯৯৮ সালে এটি মালয়শিয়ার সুঙ্গাই নিপা গ্রামে প্রথম চিহ্নিত হয়। এক বছরের মধ্যে এই রোগ প্রথমে শূকর ও পরে ৩০০ লোকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, এর মধ্যে ১০০ জন মারা যান। মহামারী রোধে লাখ লাখ শূকর মেরে ফেলা হয়।

তবে শুধু বাদুড় থেকেই নয়, ভাইরাস আক্রান্ত মানুষ ও গৃহপালিত পশু, যেমন গরু, শূকর ইত্যাদি থেকেও এটি ছড়ায়। ভাইরাস আক্রান্ত ফল থেকেও ছড়াতে পারে নিপা। ২০০৪ সালে বাংলাদেশে খেজুরের রস খেয়ে অনেকেই আক্রান্ত হয়েছিলেন এ রোগে। গবেষণা বলছে, বাদুড়ের মুখের লালা ও মূত্র থেকেই খেজুরের রস দূষিত হয়েছিল।কেরালায় সম্প্রতি এক পরিবারের কুয়োর মধ্যে মৃত বাদুড় থেকে ছড়ায় নিপাহ ভাইরাস।

নিপা ভাইরাসের কারণে মস্তিষ্কে প্রদাহ হয়, যাকে বলা হয় এনসেফেলাইটিস। গবেষকদের মতে, আক্রান্ত হবার তিন পর থেকে ১৪ দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয়া শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে জ্বর, বমি ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। পরের এক দুই দিনের মধ্যেই একজন কোমায় চলে যেতে পারেন, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, ৭০ ভাগ আক্রান্তই শেষ পর্যন্ত মারা যান৷

এখন পর্যন্ত মানুষ বা পশুপাখির জন্য নিপা ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি। একমাত্র চিকিৎসা হল উপসর্গগুলো রোধ করা ও নিবিড় পরিচর্যায় রাখা। আক্রান্ত ব্যক্তিকে অন্যদের থেকে আলাদা রাখা হয়, যেন তা না ছড়ায়।

যদি এই রোগে কেউ বা কোনো পশু আক্রান্ত হয়, তাহলে তাদের কাছ থেকে দূরে থাকুন। সেখানকার খেজুর ও এর কাঁচা রস, এমনকি অন্যান্য কাঁচা ফল খাওয়া থেকেও বিরত থাকুন। সূত্র: ডিডব্লিউ

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!