class="post-template-default single single-post postid-828 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

বাদাম খাবেন উপকারগুলো আগে জেনে নিন

বাদাম খাবেন উপকারগুলো আগে জেনে নিন

বাদাম আমাদের অনেকের একটি প্রিয় খাবার। কিন্তু আমরা হয়তো জানিনা বাদামের গুণাবলি। বাদামে রয়েছে অনেক গুণ। প্রতিদিন সুস্থ থাকতে চাইলে এক মুঠো করে বাদাম খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন হার্ট এতটাই চাঙ্গা হয়ে উঠবে যে স্বাভাবিকভাবেই আয়ু বাড়বে চোখে পরার মতো। সেই সঙ্গে মিলবে আরও অনেক উপকারও।

প্রায় সব ধরনের বাদামেই প্রচুর মাত্রায় পুষ্টিকর উপাদান থাকে, সেই সঙ্গে উপস্থিত থাকে ভিটামিন বি, ই,আয়রন, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রপাটিজ, যা নানাভাবে একাধিক রোগকে তো দূরে রাখেই, সেই সঙ্গে ক্যান্সারের মতো মরণ রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

. এনার্জির ঘাটিত দূর করে:

অনেকগুলো গবেষণায়  দেখা গেছে নিয়মিত বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীর ভিতর থেকে এতটাই কর্মক্ষম হয়ে ওঠে যে, এনার্জির ঘাটতি দূর হতে সময় লাগে না। তাই তো সপ্তাহের শেষে যখন দেখবেন শরীর আর চলছে না, তখন অল্প করে বাদাম খেয়ে নিতে ভুলবেন না । একমুঠো বাদাম আপনার ক্লান্তি দূর করে দিবে সহজে।

 

. খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়:

বাদামে উপস্থিত মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহাজ্য করে। অন্যদিকে বাড়াতে পারে উপকারি কোলেস্টেরলের পরিমাণ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে থাকে। আর এমনটা যত হতে থাকে, তত হার্ট অ্যাটাক এবং অন্যান্য কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।  বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, স্ট্রোকের মতো মরণ ব্যাধিকে দূরে রাখতেও বাদামের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।

 

.শরীরে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়:

নিয়মিত বাদাম খাওয়া শুরু করলে দেহের ভেতর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে একদিকে যেমন ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়, তেমনি রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় নেমে আসে। সেই সঙ্গে ব্রেস্ট, কলোন এবং প্রস্টেট ক্যান্সারের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।  ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে এবং স্কিনের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।

 

. আর্থ্রাইটিসের কষ্ট কমায়:

প্রতি বছর ঠান্ডার সময় জয়েন্টে পেনে একেবারে কাবু হয়ে যান নাকি? তাহলে তো  বছরের এই সময়টায় একটু বেশি করে বাদাম খেতে হবে। কারণ এর মধ্যে উপস্থিত উপকারি খনিজেরা হাড়কে শক্তপোক্ত করার পাশাপাশি জয়েন্টের সচলতা এত মাত্রায় বৃদ্ধি করে দেয় যে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগ ঘারে চেপে বসার সুযোগই পায় না।

 

. অ্যালঝাইমার রোগকে দূরে রাখে:

বাদামে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ব্রেন পাওয়ার এতটা বাড়িয়ে দেয় যে স্মৃতিশক্তি যেমন বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, তেমনি কগনিটিভ পাওয়ারও বাড়তে থাকে। ফলে ডিমেনশিয়া, অ্যালঝাইমারস এবং অন্যান্য স্নায়ুরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। বুদ্ধির দার বাড়াতে যদি চান তাহলেও বাদাম খাওয়া শুরু করতে পারেন। কারণ এক্ষেত্রেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি সাহায্য করে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!