class="post-template-default single single-post postid-15216 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

বয়সের ছাপ কমাবে যে খাবার

বয়সেরত্বক ও চেহারার সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসের যোগসূত্র রয়েছে। আমাদের ত্বক টান টান করে রাখে কোলাজেন নামের প্রোটিন। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে দেহে কোলাজেনের উৎপাদন কমে যায়। ফলে ত্বক কুঁচকে যেতে থাকে, বলিরেখা পড়তে শুরু করে। খাদ্যতালিকায় কোলাজেনসমৃদ্ধ খাবার থাকলে তা বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে। আসুন জেনে নিই কী কী খাবার চেহারায় তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।

গাঢ় সবুজ শাকসবজি: গাঢ় সবুজ শাকসবজিতে আছে প্রচুর খনিজ উপাদান ও ভিটামিন এ, সি এবং ই। এগুলো কোলাজেন তৈরির জন্য দরকারি। খাদ্যতালিকায় শাক, বিশেষ করে পালংশাক, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শালগম ও শিম রাখুন।

গাজর: গাজরে প্রচুর ভিটামিন এ থাকে, যা ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকে কোলাজেন পুনরুৎপাদন করে। এর পাশাপাশি মিষ্টি আলু, অ্যাপ্রিকট, খরমুজ ও আমও খাওয়া যেতে পারে।

টমেটো: টমেটোতে প্রচুর লাইকোপিন থাকে, যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ত্বকের কোলাজেন ভেঙে দেয়। ফলে বলিরেখা পড়ে।

সামুদ্রিক মাছ: সামুদ্রিক মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ডি ত্বককে কোমল ও হাড় মজবুত রাখে। সপ্তাহে অন্তত দুদিন সামুদ্রিক মাছ খাওয়া দরকার।

রসুন ও কাঁচা হলুদ: রসুন উচ্চ সালফারযুক্ত মসলা, যা কোলাজেনের ভেঙে যাওয়া রোধ করে। আর হলুদকে বলা হয় পাওয়ার হাউস বা শক্তিঘর। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পানি দিয়ে কয়েক টুকরো কাঁচা রসুন ও হলুদ খেলে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে, ত্বকও মসৃণ থাকে।

লেবু: ত্বকের বলিরেখা ও ক্ষত দূর করতে লেবুর জুড়ি নেই। রোজ সকালে চিনি ছাড়া এক গ্লাস লেবুর রস খেলে ত্বক সজীব থাকে।

কাঠবাদাম: কাঠবাদামে প্রচুর ভিটামিন ই, সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। ভিটামিন ই ভিটামিন সিয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কোলাজেন তৈরি করে। তাই ৩০ বছর বয়সের পর নিয়মিত পাঁচ-ছয়টি করে কাঠবাদাম খাদ্যতালিকায় রাখুন।

কিউই ও বেরি: কিউই ও বেরিজাতীয় ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। ভিটামিন সি অ্যামাইনো অ্যাসিড প্রোলিন ও গ্লাইসিনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হাইড্রোক্সিপ্রোলিন তৈরি করে। এটি কোলাজেনের ভেঙে যাওয়া রোধ করে।

বিটরুট: বিটরুটের ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম ও সুপার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের মৃত কোষকে দূর করে ত্বক পরিষ্কার রাখে, ত্বকের পোর বা ছিদ্রগুলো মেরামত করে। প্রতিদিন ৫০০ মিলি বিটরুটের জুস পান করলে বা সালাদ হিসেবে বিটরুট খেলে ত্বক ভালো থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!