কিভাবে দ্রুত মাসল বাড়াবেন তা নিয়ে চিন্তিত? তাহলে ঝটপট জেনে নিন মাসল বাড়ানোর টিপস। মাসল বাড়ানোর উপায় গুলো জেনে নেওয়ার পর আজই শুরু করুন ব্যায়াম।
মাসল বাড়ানোর উপায় : অনেক ব্যায়াম একসঙ্গে
মাসল বাড়ানোর কথা মাথায় এলে কেবল হাতের বাহুর দিকে তাকালে হবে না। একইসঙ্গে শরীরের যতটা বেশি সম্ভব ততটা জয়েন্টের ব্যায়াম করতে হবে। একটি একটি মাসল বাড়ানো বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বাড়াতে হবে সব মাসল একসঙ্গে। আর এর জন্য শরীরের সব পেশীর ব্যায়াম একসঙ্গে হয়, এমন কিছু ভার বহন করতে হবে।
নিজে নিজে মাসল বাড়াতে যাবেন না
মাংসপেশী বাড়ানোটা এক ধরনের খেলা। আর এর জন্য চাই দক্ষ কোচ। নিজে নিজে ভারী ব্যায়াম করতে গেলে হিতে বিপরীত হবে। মাসল বাড়াতে দক্ষ ফিজিশিয়ানের পরামর্শ নিন। জিমে গিয়ে একজন গাইডের অধীনে ব্যায়াম করুন।
ধাপে ধাপে মাসল
আগে মাসল তৈরির ফাউন্ডেশন তৈরি করুন। ধাপে ধাপে অল্প ভার থেকে বেশি ভার তুলুন। এতে করে কোর স্ট্রেংথ, মাসলের সহনশীলতা ও স্ট্যাবিলিটি বাড়বে। এক্ষেত্রে থ্রি কোর এক্সারসাইজ, বেঞ্চ প্রেস, স্কোয়াট, ডেড লিফট, ওভারহেড প্রেস ও পুল আপ করুন ধাপে ধাপে।
মাসল বাড়ানোর উপায় : নিজেকে ছাড়িয়ে যান
যতটা আপনি সহজে পারেন, তারচেয়ে একটু বেশি করতে হবে প্রতিদিন। একে বলে প্রগ্রেসিভ ওভারলোড। মানে আজ যত পাউন্ড ভার তুলতে পারলেন সহজে, আগামীকাল তারচেয়ে সামান্য বেশি তুলতেই হবে। এভাবেই নিজের লিমিটকে ক্রমাগত এগিয়ে নিন। মাসল বাড়ানোর সহজ উপায় হলো নিজেকে সহজের ভেতর আটকে না রাখা।
মাত্র ২-৩ দিন
মাসল বাড়াতে ২৪ ঘণ্টাই আপনাকে জিমে পড়ে থাকতে হবে না। গবেষকরা বলছেন, সপ্তাহে মাত্র ২-৩ দিন গেলেই মাসল বাড়বে দ্রুত । এমনকি সপ্তাহে একদিনের ট্রেনিংও বেশ কাজে আসে। তবে এক্ষেত্রে সপ্তাহে আপনি কোন সেট ব্যায়াম করছেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি পেশীর জন্য অন্তত ৬-১০ সেট ব্যায়াম করতেই হবে।
প্ল্যান
সোমবারে যদি বেঞ্চ প্রেস, এলিভেটেড পুশ আপ ও চেস্ট ফ্লাইস করে থাকেন তবে বুধবার করুন স্কোয়াট, ডেডলিফট, ডামবেল, লেগ প্রেস। এভাবে শুক্রবার করুন, ল্যাটারেল রেইজ, ওভারহেড প্রেস, পুল-আপ, ফেইস পুল, ডামবেল।
মাসল বাড়াতে ধৈর্য লাগবেই
অনেকেই দ্রুত মাসল বাড়ানোর উপায় খুঁজেন। সিনেমার জন্য নায়করাও এ কাজ করেন। তবে তাদের ব্যাপারটাই আলাদা। তারা স্রেফ সিনেমার জন্যই করেন। দীর্ঘমেয়াদে তারা এ মাসল ধরে রাখতে বিশেষ আগ্রহী নন। তাই যেন তেন ভাবে খেয়ে খেয়ে মাত্রাছাড়া ব্যায়াম করে কোনোমতে নিজেদের পেটা শরীর দেখাতে পারলেই বর্তে যান তারা। আপনার নায়ক হওয়ার তাগাদা না থাকলে শর্টকাট পদ্ধতিতে যাবেন না। অন্তত ১-২ বছরের দীর্ঘ পরিকল্পনা নিন।
হিসাব রাখুন, ছবি তুলুন
মাসল বাড়াতে নিয়ম করে হিসাব রাখুন। কতক্ষণ ব্যায়াম করলেন, পেটের মাপ কতো হলো, ওজন বাড়লো-কমলো কতটা ইত্যাদি। নিয়ম করে ছবিও তুলুন। এতেও নিজের প্রতি এক ধরনের পজিটিভি ইমেজ তৈরি হবে।
পুষ্টিও চাই
শুধু ব্যায়াম করলেই হবে না। হিসাব করে খাওয়াও চাই। বাড়তি করে শরীরকে দিন প্রোটিন ও অন্যান্য মাসল তৈরির পুষ্টি উপাদান। এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাসল তৈরির ব্যায়াম যারা করছেন তাদের শরীরের প্রতি পাউন্ড ওজনের বিপরীতে দিনে দেড় গ্রাম করে প্রোটিনের দরকার। এতে করে তারা দ্রুত চর্বিও ঝরাতে পারবেন।