আমরা জানি গাছ অক্সিজেন দেয়। কিন্তু সব গাছ কি সারাক্ষণ অক্সিজেন দেয়? না, কিছু গাছ আছে যেগুলো রাতের বেলায় অক্সিজেন তো দেয়ই না, বরং কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস ছাড়ে। তাই আজ আমরা জানবো এমন কয়েকটি গাছের কথা যেগুলো ২৪ ঘণ্টাই অক্সিজেন দেয়। এ গাছগুলো আপনি বেডরুমে বেশি বেশি করে রাখলে রাতভর পাবেন ভরপুর অক্সিজেন।
জানজিবার প্ল্যান্ট। তবে সবাই এটাকে জিজি প্ল্যান্ট নামেই চেনে। গাছটি ইনডোর প্ল্যান্ট এবং খুব অল্প যত্নতেই টিকে থাকে। জিজি প্লান্ট আপনাকে সারাক্ষণই অক্সিজেন দেবে। মজার ব্যাপার হলো এই জিজি প্ল্যান্টের পাতা সাবধানে কেটে পানিতে ভিজিয়ে রাখলেই তাতে শেকড় গজাবে। পরে ওই পাতা থেকেই তৈরি হবে নতুন গাছ। জিজি প্লান্টে সপ্তাহে একবার পানি দিলেই হয়। মাটি খুব শুকিয়ে গেলে তবেই পানি দেবেন। জিজি প্লান্টের আরেকটি গুণ হলো এটি বাতাস থেকে নানা ধরনের দূষিত উপাদান শুষে নিতে পারে। এ গাছটির দাম চারশ থেকে ছয়শ টাকার মধ্যেই থাকে।
জনপ্রিয় আরেকটি ইনডোর গাছ স্নেক প্ল্যান্ট। দিনের পর দিন পানি ছাড়া এটি টিকে থাকে আর চব্বিশ ঘণ্টাই অক্সিজেন দিয়ে বেড়ায়। তাই আপনার শোবার ঘরের কোনায় কোনায় রেখে দিতে পারেন অনেকগুলো স্নেক প্ল্য্যান্ট। এ গাছটিও বাতাস থেকে দূষিত উপাদান শোষণ করে নিতে পারে। মাঝারি ও ছোট স্নেক প্ল্যান্ট পাবেন একশ টাকাতেই।
এরিকা পাম। ইনডোর গাছ হিসেবে এর সুনাম আছে বেশ। এটি অল্প যত্নেই টিকে থাকে। মাঝে মাঝে একটু রোদে রাখতে হয় এ গাছটিকে। এটিও ২৪ ঘণ্টা অক্সিজেন ছড়াতে পারে। এর দাম ঢাকায় ২০০ থেকে আড়াইশ টাকা।
মানিপ্ল্যান্ট আমাদের সবার প্রিয়। পানিতেই টিকে থাকতে পারে গাছটি। এ গাছও কিন্তু সারাক্ষণ অক্সিজেন দেয় এবং বাতাসকে পরিষ্কার রাখে। তাই দেয়ালে ও টেবিলে যত বেশি সম্ভব মানিপ্ল্যান্ট রাখুন। মানিপ্ল্যান্টের দাম বড়জোর পঞ্চাশ টাকা।
জনপ্রিয় ও সুদৃশ্য ইনডোর গাছ অ্যাগ্লোনিমা। অনেকে একে বলে সিলভার কুইন। এটি বাতাস থেকে বিষাক্ত ফরমালডিহাইড ও বেনজিন দূষণ শোষণ করে। পাশাপাশি বাসার ভেতর অনবরত অক্সিজেন সাপ্লাই করতে থাকে এটি। এ গাছেও পানি দিতে হয় খুব কম। মাটি একদম শুকিয়ে কাঠ হয়ে এলে তবেই পানি দেবেন। আর গাছটি বেশ দ্রুতই বড় হয়। এ গাছটির দাম একশ থেকে দেড়শ টাকা।
রাবার প্ল্যান্ট বা রাবার ফিগও কিন্তু ইনডোরের অক্সিজেন ফ্যাক্টরি। এর পাতাগুলো বেশ মোটা। এর পাতাও বাতাস পরিষ্কার রাখে। জিজি প্ল্যান্টের মতো রাবার ফিগের পাতা থেকে নতুন চারাগাছ তৈরি করা সম্ভব। ছোট রাবার প্ল্যান্টের দাম ২০০ টাকা। একটু বড় হলে দামটাও বাড়ে।
ড্রাসিনা ফ্র্যাগেন্স নামের এই ইনডোর গাছটিও বেশ অক্সিজেন দেবে। তবে এর বড় গুণ হলো এটি বাতাসের আর্দ্রতা ঠিক রাখে। ঘরও ঠাণ্ডা রাখে। এটিও পাবেন দুইশ আড়াইশ টাকার মধ্যে।
অ্যালোভেরাও চমৎকার ইনডোর প্ল্যান্ট। এর আছে অনেক ভেষজ গুণ। আর ইনডোর প্ল্যান্ট হিসেবে এটিও কিন্তু সারাক্ষণ আপনাকে অক্সিজেন দিতে থাকবে। একশ টাকাতেই পাবেন একটি অ্যালোভেরা।