এখন আর আপনার সঙ্গী বা সঙ্গীনি আপনার প্রতি সমান আগ্রহী নয়। একসঙ্গে সময় কাটানো, মনের কথা বলা সেভাবে আর হয় না। আপনার সামনে এলেই তাঁর কেমন যেন পালাই পালাই ভাব। ফোন করলেও সহজে তোলেন না। মেসেজ-এর রিপ্লাই আসে দেরি করে। সাবধান! এসব লক্ষ্ণণ কিন্তু বিপদের সঙ্কেত। আপনার সঙ্গী বা সঙ্গীনি আপনাকে ঠকাচ্ছে না তো? আপনার নজর এড়িয়ে সে অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েনি তো? হয়তো আপনাকে জানিয়ে উঠতে পারছে না সে কথা। সুযোগ ও সঠিক খুঁজে চলেছে চরম সত্যিটা আপনাকে জানানোর জন্য। আর এরই মাঝে গোপনে চলছে অন্য সম্পর্ক। আপনি এখন ‘কাবাব মে হাড্ডি’ হয়ে রয়েছেন। প্রেমের সম্পর্কে ত্রিকোণ আকার নতুন কিছু নয়। কিন্তু সজাগ থাকতে দোষ কী! আর খামোখা ঠকতে যাবেনই বা কেন! বরং নষ্ট হয়ে যাওয়া সম্পর্কের জাল কেটে বেরিয়ে আসতে পারলে আপনিও তো জীবনটাকে নতুন মোড়ে ঘোরাতে পারেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক, কয়েকটা লক্ষ্মণ কত সহজে বুঝিয়ে দিতে পারে যে আপনি আসলে ঠকছেন কিনা-
এখন আর সেভাবে দেখা হয় না- এটা হল সব থেকে কমন লক্ষ্মণ। অনেকে ভাবেন, দেখা কম হলেও মনের বাঁধন আলগা হয় না। এই ভাবনাটা অহংকারের জন্ম দেয়। সঙ্গী বা সঙ্গীনি ভাবেন, সময় না দিলেও এই সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না। এখানেই কিন্তু ভুলটা হয়। আপনার এই ভাবনার সুযোগে সঙ্গী বা সঙ্গীনি হয়তো অন্য কারও সঙ্গে দেখা করে সময় কাটাচ্ছেন।
দূরত্ব বজায় রাখে- সঙ্গী বা সঙ্গীনি এখন আপনার সঙ্গে একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে চলে। কারণ আপনি জানেন না! আপনার কোনও ব্যাপারে তাঁর এখন আর তেমন আগ্রহও নেই। সাবধান হোন।
বন্ধুর মতো আচরণ- আপনারা এতদিন ছিলেন আদ্যপান্ত প্রেমিক-প্রেমিকা। হঠাত্ করেই আপনার সঙ্গী আপনার সঙ্গে বন্ধুর মতো ব্যবহার করছেন। অনেকে কিন্তু প্রেম ও বন্ধুত্ব সমান তালে বজায় রাখেন। সেটা আলাদা ব্যাপার। কারণ, এমন মানুষরা এটা সম্পর্কের শুরু থেকেই করতে পারেন। কিন্তু সম্পর্কের মাঝে আচমকা বন্ধুর মতো আচরণ হলে মুশকিল।
আপনাকে প্রেমিক বা প্রেমিকা বলে পরিচয় দেয় না- আপনি বারবার চাইছেন, সঙ্গী বা সঙ্গীনির বন্ধুমহলের সঙ্গে পরিচিত হতে। কালেভদ্রে হয়তো হলেনও। কিন্তু সে আপনাকে তাঁর প্রেমিক বা প্রেমিকা বলে পরিচয় দিল না। ভেবে দেখুন।
একপেশে কথাবার্তা- প্রেমিক বা প্রেমিকা সব সময় তাঁর কথাই আপনাকে বলেন। আপনি কিছু বলতে গেলেই এড়িয়ে যান। সতর্ক হোন।
পুরনো সম্পর্কের স্মৃতিচারণ- প্রেমিক বা প্রেমিকা সব সময় আপনাকে তাঁর অতীত সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন। আপনি আশ্বস্ত করলেও এ সমস্যার সুরাহা হয় না। সাবধান হোন। হতে পারে, সে তাঁর পুরনো প্রেম থেকে এখনও সম্পূর্ণরূপে বেরিয়ে আসতে পারেনি।