সদ্য স্নাতক সম্পন্ন করা ব্যক্তিদের মধ্যে যারা করপোরেট বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্যারিয়ার গড়তে চান তাদের চাকরি শুরুর জন্য ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি বা ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণার্থী একটি জুতসই পদ। এ পদে একই সঙ্গে কাজ শেখা ও নেতৃত্বের গুণগুলো বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায়। তবে এখানে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হয়। সেগুলোই জানাচ্ছেন তানিন রহমান
ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি মানে ধরাবাঁধা কোনো দায়িত্ব নয় যে, চুপচাপ ৯-৫টা ডিউটি করে যেতে হবে। এ পদে মূলত তৈরি হয় ভবিষ্যতের ব্যবস্থাপক। তাই প্রথম থেকেই কর্মীকে হতে হবে কৌশলী। প্রতিটি ক্ষেত্রে সংযত ও বুদ্ধিদীপ্ত আচরণ দেখাতে হবে। বিশেষ করে সিনিয়র কর্মীদের কোনো প্রশ্ন বা প্রতিষ্ঠানে কোনো সমস্যা দেখা দিলে উত্তর দিতে হবে সতর্কতার সঙ্গে। যেহেতু প্রতিযোগিতামূলক পেশা, তাই আচরণ হতে হবে ডিপ্লোম্যাটিক।
সবার সঙ্গে ভালো যোগাযোগ গড়ে ফেলতে হবে শুরুতে। এ ক্ষেত্রে আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা তথা ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স খাটাতে হবে। আবেগ নিয়ন্ত্রণে রেখে যৌক্তিক একটা ক্ষেত্রে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে তুলতে হবে। সারাক্ষণ নিজের মধ্যে নবিশ আচরণ ফুটিয়ে রাখা চলবে না। থাকতে হবে অংশগ্রহণমূলক আচরণ ও কোনো সমস্যায় নিজের অবদান রাখার মনোভাব।
যে কোনো পরিস্থিতিতে নমনীয় থাকতে হবে। নতুন ধারণাকে আমন্ত্রণ জানানোর মন-মানসিকতা থাকতে হবে। নতুন কিছু দেখেই নেতিবাচক আচরণ দেখানো যাবে না। যেমন প্রতিষ্ঠানে নতুন সফটওয়্যার বা সিস্টেম এলে সেটাকে দ্রুত শিখে নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ‘আমাকে দিয়ে এটা হবে না’ এমনটা ভাবা বা বলা যাবে না কিছুতেই। বরং নতুন প্রশিক্ষণের সুযোগ থাকলে তা হাতছাড়া করা যাবে না। চাকরিতে যত বেশি প্রশিক্ষণ নেবেন, ততই বাড়বে পদোন্নতির সম্ভাবনা।
সময় সম্পর্কে সবসময় সচেতন থাকতে হবে। সময় ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে শক্তিশালী। কাজ সম্পন্ন করার শেষ সীমা মাথায় রেখে কাজ চালাতে হবে এবং সেই অনুযায়ী সহকর্মী ও অধীনদের সে অনুযায়ী নির্দেশনা দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে টাইম সিটের ব্যবহার করে নিজের দক্ষতা করা যায়।
নতুনদের মাঝেমধ্যে সমস্যার সমাধান করতে দিয়ে যোগ্যতার পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ভয় না পেয়ে শান্তভাবে সমস্যা সমাধানের পথ নিয়ে ভাবতে হবে। ভুল হলে সেটার পক্ষে সাফাই না গেয়ে তা স্বীকার করার মানসিকতাও দেখাতে হবে। নিজের কাছে কোনো কিছু উৎকৃষ্ট মনে হলেও সবার মতামত মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে।